কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনের জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার ‘অলওয়েদার’ সড়কে আবহমান বাংলার সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার লক্ষ্যে আলপনা আঁকা হয়েছে। যা বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা অঙ্কন বলে দাবি করছে কর্তৃপক্ষ। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লেখানোর প্রত্যয়ে অষ্টমবারের মতো এ আলপনার নাম দেওয়া হয় ‘আলপনায় বৈশাখ-১৪৩১ উৎসব’।
এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েনশিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে এ আলপনা অঙ্কনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৬৫০ জন শিল্পী অংশ নেয়।
গত শুক্রবার আলপনা অঙ্কনের মধ্য দিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় ‘আলপনায় বৈশাখ-১৪৩১ উৎসব’ শুরু হয়। আজ রবিবার সকালে মিঠামইন জিরো পয়েন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রং তুলি দিয়ে আলপনায় শেষ আঁচড় কেটে বৈশাখ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন।
এসময় কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুর রহমান, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিককে সঙ্গে নিয়ে আলপনায় রঙিন অলওয়েদার সড়কে মোটরসাইকেল চালিয়ে আলপনা উপভোগ করেন।
এরপর মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর বিরতির পর পয়লা বৈশাখের আলপনার উৎসব আবার ফিরে আসায় বাঙালি চেতনার উদযাপন আবার তার চির চেনা রূপ লাভ করেছে। আয়োজকদের প্রতি আমি শুভকামনা জানাচ্ছি। তারা ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন করে দেশবাসীকে আনন্দে ভাসাতে পারে। এ আয়োজন ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাবে।’
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বাংলালিংক-এর চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বৈচিত্রময় সব উৎসব উদযাপনে বাংলালিংক গভীরভাবে দায়বদ্ধ। দেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসব পহেলা বৈশাখ এ সকল উৎসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলালিংক-এর এই আয়োজন ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও দেশীয় উৎসবকে তুলে ধরার একটি প্রয়াস।’
বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, রূপালী চৌধুরী তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘আলপনার বিশ্বরেকর্ডে আমাদের অংশগ্রহণ নিজেদের সামর্থ্যকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মাধ্যমে ইতিহাস তৈরিতে আমাদের উৎসর্গকে প্রকাশ করে। সামনের দিনগুলোতেও আমরা এমন রঙিন ও স্মরণীয় বৈশাখ পালন করতে আশাবাদী।’
এশিয়াটিক থ্রি সিক্সটি-এর গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইরেশ জাকের বলেন, ‘দেশব্যপী বৈশাখের এই আয়োজনগুলো বাঙালি সংস্কৃতি ও সৃষ্টিশীলতার বহিঃপ্রকাশ। বাংলালিংক ও বার্জারের সাথে যৌথভাবে ‘আলপনায় বৈশাখ ১৪৩১’ আয়োজন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। কারণ এতে দেশ ও দেশের সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হবে।’