Dhaka 9:53 pm, Saturday, 21 December 2024

সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা হচ্ছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীকে আরও উন্নত ও বৈশ্বিক মানদণ্ডে গড়ে তোলার জন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আমার বাবার হাতে গড়া সশস্ত্র বাহিনীকে আরও উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) সদর দপ্তরে এর ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। খবর: বাসস।

পিজিআর সদস্যদের দায়িত্ব পালনকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি আমার জীবনটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এখানে যারা দায়িত্ব পালনে আসেন, তারাও ঝুঁকি নিয়েই আসেন। তাই তাদের নিরাপদ জীবনের জন্য তিনি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করেন বলেও উল্লেখ করেন। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দেশে ফিরে আসার প ওই বছরের ৭ জুন ৬ দফা দিবস পালনকালে তার প্রথম বক্তৃতার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সেদিন বলেছিলাম, আমি সশস্ত্র বাহিনীতে আর কোনো বিধবার কান্না শুনতে চাই না। সন্তানহারা পিতার বা পিতাহারা সন্তানের কান্না শুনতে চাই না। তখন থেকে আমার প্রচেষ্টাই ছিল যারা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে, সেখানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং সেটাকে আরও উন্নত সমৃদ্ধশালী করা। যেখানে সংঘাত নয়, শান্তি থাকবে। পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ কামাল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী তার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকালে আত্মাহুতি দানকারী পিজিআর সদস্যদের পরিবারের কাছে অনুষ্ঠানে অনুদান ও উপহার হস্তান্তর করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী পিজিআর সদর দপ্তরে পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

 

বিমানবাহিনী প্রধানের এয়ার চিফ মার্শাল র‌্যাঙ্ক পরিধান: বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খানের পদমর্যাদা এয়ার চিফ মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গণভবনে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান বিমানবাহিনী প্রধানকে এয়ার চিফ মার্শাল র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেন। এ সময় সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইইউ রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে গতকাল বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র ১১ হাজার ঘর তৈরি করে হস্তান্তর করলেই বাংলাদেশ একটি গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত দেশে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

 

ইইউ রাষ্ট্রদূত লেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে গ্র্যাজুয়েশন কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যেতে ইইউ বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশ-ভারত সংযোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের মাধ্যমে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চায় এবং ভারতও বাংলাদেশের মাধ্যমে দেশটির বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আমরা এভাবে ট্রান্স-এশিয়ান রেল সংযোগের কথাও বিবেচনা করছি। অ্যাম্বাসাডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা হচ্ছে

আপলোড সময় : 08:25:33 pm, Tuesday, 9 July 2024

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীকে আরও উন্নত ও বৈশ্বিক মানদণ্ডে গড়ে তোলার জন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আমার বাবার হাতে গড়া সশস্ত্র বাহিনীকে আরও উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) সদর দপ্তরে এর ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। খবর: বাসস।

পিজিআর সদস্যদের দায়িত্ব পালনকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি আমার জীবনটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এখানে যারা দায়িত্ব পালনে আসেন, তারাও ঝুঁকি নিয়েই আসেন। তাই তাদের নিরাপদ জীবনের জন্য তিনি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করেন বলেও উল্লেখ করেন। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দেশে ফিরে আসার প ওই বছরের ৭ জুন ৬ দফা দিবস পালনকালে তার প্রথম বক্তৃতার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সেদিন বলেছিলাম, আমি সশস্ত্র বাহিনীতে আর কোনো বিধবার কান্না শুনতে চাই না। সন্তানহারা পিতার বা পিতাহারা সন্তানের কান্না শুনতে চাই না। তখন থেকে আমার প্রচেষ্টাই ছিল যারা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে, সেখানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং সেটাকে আরও উন্নত সমৃদ্ধশালী করা। যেখানে সংঘাত নয়, শান্তি থাকবে। পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ কামাল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী তার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকালে আত্মাহুতি দানকারী পিজিআর সদস্যদের পরিবারের কাছে অনুষ্ঠানে অনুদান ও উপহার হস্তান্তর করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী পিজিআর সদর দপ্তরে পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

 

বিমানবাহিনী প্রধানের এয়ার চিফ মার্শাল র‌্যাঙ্ক পরিধান: বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খানের পদমর্যাদা এয়ার চিফ মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গণভবনে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান বিমানবাহিনী প্রধানকে এয়ার চিফ মার্শাল র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেন। এ সময় সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইইউ রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে গতকাল বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র ১১ হাজার ঘর তৈরি করে হস্তান্তর করলেই বাংলাদেশ একটি গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত দেশে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

 

ইইউ রাষ্ট্রদূত লেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে গ্র্যাজুয়েশন কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যেতে ইইউ বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশ-ভারত সংযোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের মাধ্যমে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চায় এবং ভারতও বাংলাদেশের মাধ্যমে দেশটির বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আমরা এভাবে ট্রান্স-এশিয়ান রেল সংযোগের কথাও বিবেচনা করছি। অ্যাম্বাসাডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।