Dhaka 5:46 am, Monday, 23 December 2024

শিশুদের আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন করে গড়ে তোলা হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারে তাঁর সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেছেন, প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের ছেলেমেয়েরাও পিছিয়ে থাকবে না। শিশুদের আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন  করে গড়ে তোলা হবে। কেউ পিছিয়ে থাকবে না। বিশ্ব প্রযুক্তির যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শিশুরা পিছিয়ে থাকবে না। আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান দিয়ে আমরা তাদের গড়ে তুলব।

মঙ্গলবার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানরমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার ৯৯তম, শততম, ১০১তম, ১০২ তম, ১০৩তম এবং ১০৪তম জন্মবার্ষিকীর প্রতিযোগিতার বিজয়ী ৩০৪ প্রতিযোগির মাঝে এই পুরস্কার বিতরণ করেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সভাপতি ও বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হাশেম খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন আমাদের ঘোষণা ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সেজন্য আমরা স্কুলে স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব করে দিয়েছি, কম্পিউটার ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার করে দেওয়া হয়েছে যেখানে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।

 

তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি তথা ডিজিটাল সিস্টেমের প্রসার আমরা ঘটাচ্ছি। তার কারণ প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ^ এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা পিছিয়ে থাকবে না। তাদেরও সেভাবে একটি আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জাতি হিসেবে গড়ে তুলব। আর ’৪১ এর যে স্মার্ট বাংলাদেশ, আজকের শিশু ও তরুণরাই হবে সেই স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তোমরাই বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেভাবেই আমরা দেশকে গড়তে চাই।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত দূরেই থাকি না কেন, এই ছোট্ট সোনামণিরা তোমরা আছ আমরা অন্তরে। আমরা শিশুদের সুরক্ষায় আইন করেছি, নীতিমালা করেছি। শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করেছি। শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে প্রি-প্রাইমারি থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূল্য পাঠ্যপুস্তক প্রদান করছে। বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছে, উচ্চ শিক্ষায় বৃত্তি দিচ্ছে।

বিভিন্ন জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফ্যাশন ডিজাইন, অ্যারোস্পেস ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশে বিভিন্ন বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছে। পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়ে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারও উদ্যোগ নিয়েছি।

টানা চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের গৃহীত এসব পদক্ষেপের ফলে আজকে স্বাক্ষরতার হার যা ২০০৬ সালে মাত্র ৪৫ ভাগ ছিল তা থেকে বর্তমানে ৭৬ দশমিক ৮ ভাগে উন্নীত হয়েছে। দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান এবং দুস্থদের সহায়তার জন্য তাঁরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গঠন করেছেন।

তিনি এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত সেই ধানমন্ডির বাড়ি যেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল তাকে জাদুঘরে রূপান্তর ঘটিয়েছেন উল্লেখ করে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, শেখ মুজিব তো জনগণের ছিলেন কাজেই ওই বাড়ির ওপর এখন আমাদের অধিকার নেই, সেখানে মানুষের অধিকার।

সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানের একটি হলোগ্রামও করা হয়েছে। বাড়িটিতে সেই স্মৃতি ধরে রাখার চেষ্টা হয়েছে যেখান থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, বসবাস করেছেন এবং শেষে সপরিবারে তাঁকে যেখানে নির্মমভাবে হত্যাও করা হয়েছিল। কাজেই সেই বাড়ি আমরা দু’বোন ব্যবহার করব না, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

শিশুদের আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন করে গড়ে তোলা হবে

আপলোড সময় : 11:16:48 am, Thursday, 6 June 2024

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারে তাঁর সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেছেন, প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের ছেলেমেয়েরাও পিছিয়ে থাকবে না। শিশুদের আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন  করে গড়ে তোলা হবে। কেউ পিছিয়ে থাকবে না। বিশ্ব প্রযুক্তির যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শিশুরা পিছিয়ে থাকবে না। আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান দিয়ে আমরা তাদের গড়ে তুলব।

মঙ্গলবার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানরমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার ৯৯তম, শততম, ১০১তম, ১০২ তম, ১০৩তম এবং ১০৪তম জন্মবার্ষিকীর প্রতিযোগিতার বিজয়ী ৩০৪ প্রতিযোগির মাঝে এই পুরস্কার বিতরণ করেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সভাপতি ও বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হাশেম খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

‘আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন আমাদের ঘোষণা ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সেজন্য আমরা স্কুলে স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব করে দিয়েছি, কম্পিউটার ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার করে দেওয়া হয়েছে যেখানে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।

 

তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি তথা ডিজিটাল সিস্টেমের প্রসার আমরা ঘটাচ্ছি। তার কারণ প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ^ এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা পিছিয়ে থাকবে না। তাদেরও সেভাবে একটি আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জাতি হিসেবে গড়ে তুলব। আর ’৪১ এর যে স্মার্ট বাংলাদেশ, আজকের শিশু ও তরুণরাই হবে সেই স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তোমরাই বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেভাবেই আমরা দেশকে গড়তে চাই।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত দূরেই থাকি না কেন, এই ছোট্ট সোনামণিরা তোমরা আছ আমরা অন্তরে। আমরা শিশুদের সুরক্ষায় আইন করেছি, নীতিমালা করেছি। শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করেছি। শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে প্রি-প্রাইমারি থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনামূল্য পাঠ্যপুস্তক প্রদান করছে। বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছে, উচ্চ শিক্ষায় বৃত্তি দিচ্ছে।

বিভিন্ন জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফ্যাশন ডিজাইন, অ্যারোস্পেস ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশে বিভিন্ন বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছে। পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়ে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারও উদ্যোগ নিয়েছি।

টানা চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের গৃহীত এসব পদক্ষেপের ফলে আজকে স্বাক্ষরতার হার যা ২০০৬ সালে মাত্র ৪৫ ভাগ ছিল তা থেকে বর্তমানে ৭৬ দশমিক ৮ ভাগে উন্নীত হয়েছে। দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান এবং দুস্থদের সহায়তার জন্য তাঁরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গঠন করেছেন।

তিনি এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত সেই ধানমন্ডির বাড়ি যেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল তাকে জাদুঘরে রূপান্তর ঘটিয়েছেন উল্লেখ করে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, শেখ মুজিব তো জনগণের ছিলেন কাজেই ওই বাড়ির ওপর এখন আমাদের অধিকার নেই, সেখানে মানুষের অধিকার।

সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানের একটি হলোগ্রামও করা হয়েছে। বাড়িটিতে সেই স্মৃতি ধরে রাখার চেষ্টা হয়েছে যেখান থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, বসবাস করেছেন এবং শেষে সপরিবারে তাঁকে যেখানে নির্মমভাবে হত্যাও করা হয়েছিল। কাজেই সেই বাড়ি আমরা দু’বোন ব্যবহার করব না, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।