উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। যার প্রভাবে আগামী তিন দিন দেশের আট বিভাগেই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে। এ পরিস্থিতি শেষে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ অবস্থায় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবার রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বৃষ্টি হতে পারে রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়। ওইদিন ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, চট্রগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
একইসঙ্গে বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা পর্যালোচনায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টাঙ্গাইলে। যার পরিমাণ ২১১ মিলিমিটার। এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা বিভাগের কয়রায় ৩৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের সন্দ্বীপে। যার পরিমাণ ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।