ইসরায়েলের বর্বরোচিত আগ্রাসন-হামলায় বিধ্বস্ত ও অসহায় গাজাবাসীদের সাহায্যার্থে ‘হেল্প গাজা’ প্রচারাভিযানের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে দুই হাজার টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রীসহ একশ ট্রাকের একটি বহর মিশরের রা’ফা সীমান্ত দিয়ে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে।
আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণের যত চালান গেছে, সেসবের মধ্যে এই চালানটি সবচেয়ে বড় । বাংলাদেশ ছাড়া আরো যে আটটি দেশের ত্রাণ এই চালানে যুক্ত হয়েছে, দেশগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি।
ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, পাস্তা, মটরশুঁটি, চিনি, তেল, চা, খেজুর, পনির, শিশুদের জন্য দুধ, জুস ছাড়াও শীত নিবারণের কম্বল, পরিচ্ছন্ন ও ব্যক্তিগত ব্যবহারিক সামগ্রী।
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হোজাইফা খান বিষয়টি নিয়ে জানায়, আল-আজহার কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অন উম্মাহ ফাউন্ডেশন চ্যারিটি ফান্ড’র মাধ্যমে রমজানের শুরুতেই বাংলাদেশি টাকায় মোট ৩৫ লাখ টাকার ত্রাণ পাঠিয়েছি গাজা’র অসহায় মানুষের জন্য। এই অর্থ আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠনের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছিলো।
তাছাড়া বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বেভারেজ কোম্পানি ৪৮ লাখ টাকার ত্রাণ পাঠানোর জন্য উপায় বের করতে দ্যা ওয়ার্ল্ড অন উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ই অক্টোবর, ২০২৩ সাল থেকে ব্যাপক ইহুদিবাদী আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ৭১ হাজারের অধিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু, মহিলা এবং বৃদ্ধ । এছাড়া দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।