নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুস সালাম (৬৬) কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে রাজশাহীর উপশহর নিউমার্কেট এলাকা থেকে থাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ্যাড. আব্দুস সালাম উপজেলার মহিষকুন্ডি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। এছাড়া তিনি সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন এমপির আপন দুলাভাই।
এদিকে, এ্যাড. আব্দুস সালামকে আটকের পর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এমনকি তার ফাঁসির দাবিতে উপজেলা সদরে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেন উপজেলা বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোহনপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব অর রশিদ, সদস্য সচিব বাচ্চু রহমান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন বকুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলম, সদস্য আবুল আজাদ, যুবদল নেতা মির্জা শওকত, ধুরইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোকলেসুর রহমান, মৌগাছি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি নুর এ আলম সিদ্দিকী মুকুল, সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী, জাহানাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদল আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম লিটন, মোহাম্মদ আলী, যুবদল নেতা আব্দুর রহিম, ধুরইল ইউনিয়ন ছাত্রদল আহবায়ক ইসমাইল হোসেনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
বক্তারা বিচার ও ফাঁসির দাবি চেয়ে বলেন, ২০১৮ সালে জাহানাবাদ পাকুড়িয়া ভোট কেন্দ্রে নিরহ একজন মানুষকে হত্যা, হেলমেট বাহিনীর গড ফাদার, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য এবং মানুষকে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এই এ্যাড. আব্দুস সালাম।
এবিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, মোহনপুর থানায় নাশকতা, ভাংচুরসহ চারটি মামলা রয়েছে এ্যাড. আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে। মামলা গুলো তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে আসামীকে আদালতে চালান করা হয়েছে।