চলতি অর্থবছর সরকারের লক্ষ্যমাত্রা মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার। কিন্তু মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়া কিছুতেই সামলানো সম্ভব হচ্ছে না। দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশে রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু সে জায়গায়ও রাখা যাচ্ছে না। ফেব্রুয়ারিতে দেশের মূল্যস্ফীতি জানুয়ারি থেকে কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জানুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ এই তথ্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোনো পণ্যের মূল্য ১০০ টাকা হলে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তা ১০৯ টাকা ৬৭ পয়সায় কিনতে হয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে দেশের খাদ্যের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যেখানে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।
শহরের তুলনায় গ্রামের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। গ্রামের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ, যেখানে শহরের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বড় ধরনের অর্থ সংকটের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে কর্মসংস্থানের সংকট যেমন দেখা দিয়েছে, উৎপাদনেও দেখা দিয়েছে ঘাটতি। দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাব গত প্রায় দুই বছর ধরেই চলছে।
২০২২ সালের আগস্ট মাসের ৫ তারিখ দেশে তেলের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। এখনো সেই উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাব রয়েছে অর্থনীতিতে। কোনোভাবেই গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৯ শতাংশের নিচে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
চলতি বছরের শুরুতে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী এজেন্ডায় প্রথম লক্ষ্যমাত্রাই ছিল দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা।