Dhaka 2:57 pm, Monday, 23 December 2024

মান্দায় অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

নওগাঁর মান্দায় অবৈধ নিয়োগে ২৪ বছর ধরে চাকরি করছেন মান্দা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ রমজান আলী সাকিদার। দফায় দফায় তদন্তে এর সত্যতাও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে একাধিকবার পত্রও দিয়েছে সংশ্লিস্ট অধিদপ্তর।

কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অধ্যক্ষ রমজান আলী সাকিদারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়নি কলেজ পরিচালনা কমিটি। বন্ধ করা হয়নি অধ্যক্ষের সরকারি বেতনভাতার অংশের টাকাও।
এ অবস্থায় কলেজ পরিচালনা কমিটির গড়িমসি ও টালবাহানায় দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকেরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র প্রভাষক বজলুর রশিদ, ট্রেড ইন্সট্রাক্টর আশরাফ আলী, শিক্ষার্থী অভিভাবক আফজাল হোসেন, নৈশপ্রহরী আব্দুল আজিজ, এমএলএসএস একরামুল হক প্রমুখ।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষ রমজান আলী সাকিদার সালের ১৪ ডিসেম্বর জয়পুরহাট জেলার মঙ্গলবাড়ী ময়েজ মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক পদে চাকরিতে যোগদান করেন। ৯৫ সালের ১ মে তিনি ওই কলেজে এমপিওভূক্ত হন।

সেখানে চাকরিরত অবস্থায় ১৯৯৮ সালে তিনি মান্দা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটির ৯৮ সালের ৭ অক্টোবর ও ৯৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর নিয়োগ অনুমোদন সভায় অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি নিজেই সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০০ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। এ সময় তাঁর ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতাও ছিল না।

এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ১ আগস্ট এবং হাইকোর্টে রিটের প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর দুই দফা তদন্ত করে। এসব তদন্তে অধ্যক্ষ রমজান আলীর অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এবিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ রমজান আলী সাকিদারের মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউএনও লায়লা আঞ্জুমান বানুর মোবাইলফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

মান্দায় অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

আপলোড সময় : 10:17:40 pm, Thursday, 5 September 2024

নওগাঁর মান্দায় অবৈধ নিয়োগে ২৪ বছর ধরে চাকরি করছেন মান্দা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ রমজান আলী সাকিদার। দফায় দফায় তদন্তে এর সত্যতাও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে একাধিকবার পত্রও দিয়েছে সংশ্লিস্ট অধিদপ্তর।

কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অধ্যক্ষ রমজান আলী সাকিদারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়নি কলেজ পরিচালনা কমিটি। বন্ধ করা হয়নি অধ্যক্ষের সরকারি বেতনভাতার অংশের টাকাও।
এ অবস্থায় কলেজ পরিচালনা কমিটির গড়িমসি ও টালবাহানায় দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকেরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র প্রভাষক বজলুর রশিদ, ট্রেড ইন্সট্রাক্টর আশরাফ আলী, শিক্ষার্থী অভিভাবক আফজাল হোসেন, নৈশপ্রহরী আব্দুল আজিজ, এমএলএসএস একরামুল হক প্রমুখ।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষ রমজান আলী সাকিদার সালের ১৪ ডিসেম্বর জয়পুরহাট জেলার মঙ্গলবাড়ী ময়েজ মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক পদে চাকরিতে যোগদান করেন। ৯৫ সালের ১ মে তিনি ওই কলেজে এমপিওভূক্ত হন।

সেখানে চাকরিরত অবস্থায় ১৯৯৮ সালে তিনি মান্দা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটির ৯৮ সালের ৭ অক্টোবর ও ৯৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর নিয়োগ অনুমোদন সভায় অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি নিজেই সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০০ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। এ সময় তাঁর ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতাও ছিল না।

এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ১ আগস্ট এবং হাইকোর্টে রিটের প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর দুই দফা তদন্ত করে। এসব তদন্তে অধ্যক্ষ রমজান আলীর অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এবিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ রমজান আলী সাকিদারের মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউএনও লায়লা আঞ্জুমান বানুর মোবাইলফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।