চিকিৎসা করার কিংবা ঔষধ কেনার জন্য টাকা নেই , গরীব বাবার কন্যার বিয়ের খরচ সামাল দিতে পারছেন না, টাকার জন্য ভর্তি হতে কিংবা বই কিনতে পারছেন না দরিদ্র শিক্ষার্থী,এমন অসংখ্য দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন মেঘনা উপজেলার লুটেরচর ইউনিয়ন’র লক্ষীপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক এবং দানবীর হাজ্বী আঃ রহমান মুন্সি ।
মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাঁ, কবরস্থান, স্কুল, গরীব অসহায় মানুষদের চিকিৎসার জন্য এতিমখানা থেকে যুব কিশোরদের খেলাধুলা সব স্থানেই মিলনের উৎসাহ মুলক অনুদান, শীতার্তদের শীত বস্ত্র এবং রমজানের ইফতার সামগ্রী বিতরণ তাকে সবার কাছে প্রিয় পাত্র করে তুলেছে।
এই দানবীর সম্পর্কে জানতে চাইলে শৈশব বয়স থেকেই তিনি সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। নিজেকে অর্থনীতিক ভাবে স্বাবলম্বী করার পর থেকে নীরবে নিবৃতে সমাজের অসংখ্য অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মুক্তহস্তে দান করে যাচ্ছেন হাজ্বী রহমান মুন্সি।
এলাকবাসী আরো বলেন হাজ্বী রহমান মুন্সি উনার সেবামূলক কাজগুলোকে প্রচারে আগ্রহী নই, তিনি নিরবেই সমাজের বিভিন্ন অসহায় শ্রেণীর সাহায্য করতে পছন্দ করেন।
হাজ্বী আঃ রহমান মুন্সি সমাজের সামর্থ্যবানদের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে এলাকাবাসীরা বলেন, আমাদের সমাজে অনেকেই সামর্থ্যবান হলেও অসহায় মজলুমের পাশে বিপদে আপদে দাঁড়ানোর মানসিকতা অনেকের নাই। ওনার এই নীরব সমাজ সেবা অন্য সামর্থ্যবানদের মধ্যে সমাজের অসহায় মানুষের প্রতি তাঁদের দায়িত্ব ও কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দিবে বলে মনে করেন এলাকাবাসীরা।
দরিদ্র, অসহায় কিংবা সহায় সম্বলহীনদের জন্য সাহায্যের সুপারিশ করে কখনোই খালি হাতে ফিরতে হয় না। বস্তুত অসহায় কাউকে কোন যৌক্তিক সাহায্যের বিষয়ে না বলার সামর্থ্য হাজ্বী আঃ রহমান মুন্সি’র নেই।
হাজ্বী আঃ রহমান মুন্সি সম্পর্কে জানতে তাকে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন আমি কোন প্রচারের জন্য কাজ করিনা । আমার মত নগণ্য মানুষ দিয়ে যদি জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারন মানুষের বিন্দু পরিমান ও যদি উপকার হয় তাতেই আমি ধন্য।