নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় হাত বাড়ালেই মিলছে হেরোইন,ইয়াবা,ফেন্সিডিল ও গাঁজা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই মাদকদ্রব্য বিক্রয় করা হলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন। ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে ও প্রশাসন কে ম্যানেজ করেই সমগ্র উপজেলা জুড়ে চলছে মাদক ব্যবসা। সরেজমিন সমগ্র উপজেলা ঘুরে জানা যায়, ভবানীগঞ্জ বাজারের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সের সামনে মাছের আড়তে চায়ের দোকান গুলো হলো মাদকের হটস্পট। এখানে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছেন মাদক সম্রাজ্ঞী জুলেখা ওরফে জেলে।তিনি বাগমারা উপজেলা সহ আত্রাই, রানীনগর ও নলডাংগা থেকে আসা মাদক সেবীদের ফেন্সিডিল সরবরাহ করেন অনেকটা প্রকাশ্যেই।ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাসছে এই মাদক সম্রাজ্ঞী র মাদক বিক্রয়ের একটি ভিডিও।পৌরসভার উত্তর একডালা গ্রামে ফেন্সিডিল ও ইয়াবা সরবরাহ করছেন আরেক মাদক সম্রাট রিপন।
তাহেরপুর পৌরসভায় গাঁজা সরবরাহ করেন পার্শ্ববর্তী উপজেলা দূর্গাপুরের কিসমত গনকৈড় ইউনিয়নের আশরাফুল আর ফেন্সিডিল সরবরাহ করেন একই ইউনিয়নের মজনু। এছাড়াও তাহেরপুর ও পাশ্ববর্তী ইউনিয়নে হিরোইন ও ইয়াবা সরবরাহ করেন কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী কহিনুর ও পারুল আর গাঁজা সরবরাহ করেন খিরকি পাড়ার মুক্তি ও আজিজ। বাসুপাড়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও গাঁজা সরবরাহ করেন মফিজ ও উজ্জ্বল। গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের তালতলি বাজারে গাজাঁ সরবরাহ করেন সাবেক ইউপি সদস্য আবেদ মেম্বার ও তার ছেলে রাজু। মাড়িয়া ইউনিয়নের গাঙ্গোপাড়া বাজার ফেন্সিডিল সরবরাহ করেন জামিল।
গনিপুর ইউনিয়নের মোহনগঞ্জ ও মাদারীগঞ্জ বাজারে ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও গাজা সরবরাহ করছেন স্বপন, কুদ্দুস, দেলশাদ ও শিল্পী। সোনাডাংগা ইউনিয়নের শিমলা বাজারে গাঁজা সরবরাহ করছেন সাইফুল। যুগিপাড়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুরে গাঁজা সরবরাহ করেন দুলাল এবং কাতিলায় ইয়াবা, গাঁজা ও ফেন্সিডিল সরবরাহ করেন বিশু খামারু ও সুমন। বারইহাটিতে ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও গাঁজা সরবরাহ করেন উজ্জ্বল, মিঠু, সিহাব ও লতিফ। হামিরকুৎসা ইউনিয়নের মাঝিগ্রামে ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও গাঁজা সরবরাহ করেন বাদলা ও জাহাঙ্গীর। আউচপাড়া ইউনিয়নের খুজিপুর বাজারে ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও গাঁজা সরবরাহ করেন আশাদুল ও শহিদ।হাটগাংগোপাড়া বাজারে ফেন্সিডিল সরবরাহ করেন সিএনজি মাষ্টার সাজু। স্থানীয়রা বলেন, যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে এসব মাদক ব্যবসায়ীদের এখনি আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা থানার অফিসার্স ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার বলেন,আমরা মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি।তথ্য দেন আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বাগমারা আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন,বাগমারায় মাদকে বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। আমি বাগমারার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হতে বলেছি।