স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, পুলিশের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। পুলিশের ট্রেনিংয়ের সময় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তারিতভাবে ট্রেনিং দেওয়া হয়। যাতে তারা মেন্টাল স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনার কারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী হবে, সেটি নিয়ে আইজিপি রিসার্চ করছেন। গতকাল রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে হাইওয়ে পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঈদে সড়কে যানজট কমাতে এবারও হাইওয়ে পুলিশ মাঠে থাকবে। হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে জেলা পুলিশও কাজ করবে। শুধু যানজট নয়, চুরি-ডাকাতি, মাদক চোরাচালান রোধেও কাজ চলমান থাকবে। বিভিন্ন সময় পুলিশ ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অবৈধ মালামাল চেক করার জন্য সড়কে গাড়ি থামায়। এটা কোনো চাঁদাবাজির অংশ নয়। এটা নিয়মিত চেকিংয়ের বিষয়। চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতারাও চাঁদাবাজির বিষয়ে খেয়াল রাখছেন। আমরা আশা করি, এবার ঈদে চাঁদাবাজি অনেক কম দেখব।
তিনি বলেন, আমরা মহাসড়কে চাঁদাবাজি অ্যালাও করি না। কোন স্টেশনে কত টাকা সার্ভিস চার্জ দেবে সেই তালিকা পরিবহন নেতারা আমাদের দিয়ে দেন। এর বাইরে গেলে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে বলেন। আমরা সেই তালিকা প্রাধান্য দিয়ে থাকি। পাশাপাশি পরিবহনের সার্ভিস চার্জ নির্দিষ্ট স্থান থেকে নেওয়া হোক। নির্দিষ্ট স্থান থেকে না নেওয়ায় পুলিশও বিব্রত হয়। অনেকে মনে করে চাঁদাবাজি হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে নসিমন-করিমন চলাচলের বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা চাই অবৈধ কোনো যান যেন মহাসড়কে না আসে। মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে আমাদের হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে। এমপি আনার হত্যাকান্ডের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমপি আনার, তা আমরা কখনোই বলিনি। আমরা সবসময় বলে আসছি ঝিনাইদহ সন্ত্রাসপূর্ণ একটি এলাকা। ওখানে সত্যিকারে কী হয়েছে, সেটা আমাদের জানতে হবে। আমরা তদন্ত করছি, তদন্তের পর আপনাদের সবকিছু জানাব।