দেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিগগির থ্রি-হুইলার নীতিমালা করা হবে। এছাড়া আগামী একমাসের মধ্যে স্পিড গাইডলাইন করা হবে। গতকাল শনিবার খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকারব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি এবং তথ্য অধিকার সংক্রান্ত অংশীজন সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী এ কথা বলেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘সরকার সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কখনো গোপন করতে চায় না। বরং সরকার এ ব্যাপারে অত্যন্ত সংবেদনশীল; বিধায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৫ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ৩ লাখ টাকা এবং আহতদের ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, সরকার সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে কোনো আপস করা হবে না। এছাড়াও সড়কে ওভারলোড নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট জনগণ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ফিরোজ শাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। অংশীজন সভায় বিআরটিএ, বিআরটিসি, পরিবহন মালিক সমিতি, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।