Dhaka 4:56 pm, Saturday, 21 December 2024
বেকিং নিউজ :

তালাক দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে সংসার, টাকা-স্বর্ণালংকার হাতিয়ে আবারও তালাক

যশোরের মনিরামপুরে আব্দুল্লাহ-আল মামুন নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তালাক দেওয়া স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করার অভিযোগ উঠেছে। তালাক দেওয়ার পর আগের স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করে টাকা-স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আবারও তালাক দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ-আল মামুন মনিরামপুর উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ফরিদপুরের সদরপুর গ্রামীণ ব্যাংকের এরিয়া ম্যানেজারের দায়িত্বে আছেন।

এ ঘটনায় যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। গত বুধবার ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আব্দুল্লাহ-আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলার বল্লা গ্রামের তুরফান তুল্লাহ মোড়লের মেয়ে খাদিজা খাতুনকে গত ২০ জুন বিয়ে করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। তখন মামুনের কর্মস্থল ছিল ঝিনাইদহের শৈলকুপায়। সেখানে সাত দিন সংসার করেন তাঁরা। পরবর্তীতে বাবার বাড়ি আসেন খাদিজা। পরে মামুনের মালয়েশিয়া প্রবাসী ভাই খাদিজাকে শৈলকুপায় দিয়ে আসেন। সেখানে মামুনের কাছে ২০ আগস্ট পর্যন্ত থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন খাদিজা। ২৭ আগস্ট পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠানো মামুনের দেওয়া তালাকনামা পান তিনি। তাতে দেখা যায়, ৫ জুলাই খাদিজাকে তালাক দেন মামুন। অথচ খাদিজাকে নিয়ে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সংসার করেন তিনি।

এরপর মামুন প্রলোভন দেখিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর খাদিজাকে আবার শৈলকুপায় নিয়ে যান। সেখানে সহকর্মীদের উপস্থিতিতে খাদিজাকে আবারও বিয়ে করেন। এ সময় খাদিজার কাছে থাকা টাকা ও সোনার গয়না হাতিয়ে নেন। একদিন পরই মামুন ফরিদপুরে বদলি হন। তখন খাদিজাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে বলেন, নতুন বাসা নিয়ে তাঁকে নিয়ে যাবেন। খাদিজা বাবার বাড়ি গেলে ৮ সেপ্টেম্বর পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আবারও তালাকের নোটিশ পান।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণ ব্যাংকের ফরিদপুর বিভাগীয় ম্যানেজার আবু তালেব বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আব্দুল্লাহ আল মামুন একজন দুশ্চরিত্র প্রকৃতির লোক। তাঁর বিষয়ে হেড অফিসে অভিযোগ দেওয়া হবে। আর খাদিজা আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইলে তাঁকে সহায়তা করা হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

তালাক দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে সংসার, টাকা-স্বর্ণালংকার হাতিয়ে আবারও তালাক

আপলোড সময় : 12:36:22 am, Sunday, 29 September 2024
যশোরের মনিরামপুরে আব্দুল্লাহ-আল মামুন নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তালাক দেওয়া স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করার অভিযোগ উঠেছে। তালাক দেওয়ার পর আগের স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করে টাকা-স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আবারও তালাক দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ-আল মামুন মনিরামপুর উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ফরিদপুরের সদরপুর গ্রামীণ ব্যাংকের এরিয়া ম্যানেজারের দায়িত্বে আছেন।

এ ঘটনায় যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। গত বুধবার ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আব্দুল্লাহ-আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলার বল্লা গ্রামের তুরফান তুল্লাহ মোড়লের মেয়ে খাদিজা খাতুনকে গত ২০ জুন বিয়ে করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। তখন মামুনের কর্মস্থল ছিল ঝিনাইদহের শৈলকুপায়। সেখানে সাত দিন সংসার করেন তাঁরা। পরবর্তীতে বাবার বাড়ি আসেন খাদিজা। পরে মামুনের মালয়েশিয়া প্রবাসী ভাই খাদিজাকে শৈলকুপায় দিয়ে আসেন। সেখানে মামুনের কাছে ২০ আগস্ট পর্যন্ত থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন খাদিজা। ২৭ আগস্ট পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠানো মামুনের দেওয়া তালাকনামা পান তিনি। তাতে দেখা যায়, ৫ জুলাই খাদিজাকে তালাক দেন মামুন। অথচ খাদিজাকে নিয়ে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সংসার করেন তিনি।

এরপর মামুন প্রলোভন দেখিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর খাদিজাকে আবার শৈলকুপায় নিয়ে যান। সেখানে সহকর্মীদের উপস্থিতিতে খাদিজাকে আবারও বিয়ে করেন। এ সময় খাদিজার কাছে থাকা টাকা ও সোনার গয়না হাতিয়ে নেন। একদিন পরই মামুন ফরিদপুরে বদলি হন। তখন খাদিজাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে বলেন, নতুন বাসা নিয়ে তাঁকে নিয়ে যাবেন। খাদিজা বাবার বাড়ি গেলে ৮ সেপ্টেম্বর পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আবারও তালাকের নোটিশ পান।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণ ব্যাংকের ফরিদপুর বিভাগীয় ম্যানেজার আবু তালেব বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আব্দুল্লাহ আল মামুন একজন দুশ্চরিত্র প্রকৃতির লোক। তাঁর বিষয়ে হেড অফিসে অভিযোগ দেওয়া হবে। আর খাদিজা আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইলে তাঁকে সহায়তা করা হবে।