Dhaka 7:54 pm, Wednesday, 25 December 2024
বেকিং নিউজ :

চলতি বছর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড

চলতি বছর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি দৃঢ় করেছে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। সম্প্রতি ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী সেরেথা থাভিসিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দুই দেশ একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষর করে। এরপরই এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

 

চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর পারস্পরিক অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ।

এছাড়াও বৈঠকে এফটিএ আলোচনার পাশাপাশি দুই দেশের সরকার প্রধানদের উপস্থিতিতে একটি অতিরিক্ত চুক্তি ও তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে থাই বিনিয়োগের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি হাসপাতাল ও চিকিৎসা সুবিধায় বিনিয়োগ অনুসন্ধানেরও আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে দুই দেশের সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন।

 

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয় তুলে ধরেন। এতে উভয় দেশের কর্মকর্তারা খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবেন।

বৈঠকে জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। থাইল্যান্ডকে এই সেক্টরে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সংক্রান্ত আরেকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়েও আলোচনা হয়েছে যার মাধ্যমে শুল্ক ব্যবস্থা ও বাণিজ্য সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে।

তদুপরি, পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আরেকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে উন্নত করার জন্য থাই দক্ষতা এবং সর্বোত্তম পন্থাকে কাজে লাগানোর প্রচেষ্টার প্রতিফলন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

About Author Information

জনপ্রিয়

কুমিল্লায় জিএমপিএ এর আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

চলতি বছর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড

আপলোড সময় : 10:16:08 pm, Monday, 29 April 2024

চলতি বছর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি দৃঢ় করেছে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। সম্প্রতি ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী সেরেথা থাভিসিনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দুই দেশ একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষর করে। এরপরই এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

 

চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর পারস্পরিক অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ।

এছাড়াও বৈঠকে এফটিএ আলোচনার পাশাপাশি দুই দেশের সরকার প্রধানদের উপস্থিতিতে একটি অতিরিক্ত চুক্তি ও তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে থাই বিনিয়োগের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি হাসপাতাল ও চিকিৎসা সুবিধায় বিনিয়োগ অনুসন্ধানেরও আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে দুই দেশের সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন।

 

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয় তুলে ধরেন। এতে উভয় দেশের কর্মকর্তারা খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবেন।

বৈঠকে জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। থাইল্যান্ডকে এই সেক্টরে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সংক্রান্ত আরেকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়েও আলোচনা হয়েছে যার মাধ্যমে শুল্ক ব্যবস্থা ও বাণিজ্য সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে।

তদুপরি, পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আরেকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে উন্নত করার জন্য থাই দক্ষতা এবং সর্বোত্তম পন্থাকে কাজে লাগানোর প্রচেষ্টার প্রতিফলন।