কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না গ্যাসের অবৈধ্য সংযোগ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এসব অবৈধ সংযোগের ফলে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, পুরাণ ঢাকার বিভিন্ন এলাকা, টঙ্গী, গাজীপুরে বিদ্যমান অবৈধ গ্যাসের সংযোগে নিয়মিত দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষজন। তাই এবার গ্যাসের অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, গত দুই বছরের চেষ্টায় আমরা সিস্টেম লস ২২ ভাগ থেকে কমিয়ে ৮ ভাগে আনতে সক্ষম হয়েছি। চেষ্টা করছি সিস্টেম লস শূন্যে নামিয়ে আনতে।
বৃহস্পতিবার তিতাস কার্যালয় পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিতাসের এলাকায় অনেক ভূতুড়ে গ্রাহক পাওয়া গেছে। এখন তিতাসকে বলা হয়েছে প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাইনগুলো পরীক্ষা করে দেখতে। এর মাধ্যমে আরও অবৈধ গ্রাহক পাওয়া যাবে।
এখন থেকে সিএনজি স্টেশনগুলোর এনার্জি অডিট করা হবে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, এই প্রক্রিয়াতে সিএনজি স্টেশনগুলো কী পরিমাণ গ্যাস বিক্রির অনুমোদন নিয়ে কী পরিমাণ বিক্রি করছে তা যাচাইবাছাই করা হবে। একইসঙ্গে সিএনজি স্টেশনের মিটারগুলো ক্যালিব্রেশন করার পাশাপাশি বিস্ফোরকের অনুমোদন রয়েছে কিনা তা দেখা হবে।
এসময় তিনি জানান, গত দুই বছরের প্রচেষ্টায় ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৩৬টি শিল্প সংযোগ, ৪৭৫টি বাণিজ্যিক সংযোগ, ৯৭টি ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১৩টি সিএনজি স্টেশন রয়েছে। এর বাইরে বাকি সংযোগগুলো গৃহস্থালির। একই সময়ে ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ লাইন অপসারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৬০৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সিস্টেম লস কমাতে তিতাস প্রত্যেক বিতরণ এলাকায় নিজস্ব মিটার স্থাপন করেছে উল্লেখ করে এসময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, যেখানে গড়মিল পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়াতে ৪০ ভাগ সিস্টেমলস ধরা পড়ে। সেখানে সব লাইন বন্ধ করে অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহসহ তিতাসের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।