পবিত্র ঈদুল আজহা কেন্দ্র করে প্রবাসীরা বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে ডলার রেট বাড়ায় রফতানিও আয়ও বেড়েছে। দুই মিলিয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খানিকটা বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ রেকর্ড গড়েছিল ২০২১ সালের আগস্টে (৪ হাজার ৮০০ কোটি বা ৪৮ বিলিয়ন ডলার)। তারপর ইউক্রেন যুদ্ধের মতো নানা বৈশ্বিক সংকটের কারণে রিজার্ভ ক্রমাগত কমতে থাকে।
দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১২ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী, গ্রস রিজার্ভ ১৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন। মাসের শুরুতে অর্থাৎ ৫ জুন গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ২৩ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ ছিল ১৮ দশমিক ৬২ বিলিয়ন।
তবে এর বাইরেও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটা হিসাব রয়েছে। এটি শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। এটি প্রকাশ করা করা হয় না। আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি জুন মাসের প্রথম ১২ দিনে প্রবাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে ১৪৬ কোটি (১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন। এর আগে গত মে মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২৫ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত ৪৬ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।