প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা খোলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুর্নীতিসংক্রান্ত এক মামলার লিভ টু আপিলের শুনানিতে তিনি আইনজীবীদের উদ্দেশে এমন মন্তব্য করেন। এ সময় দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও বর্তমানে বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য।
পরে রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, প্রসঙ্গক্রমে প্রধান বিচারপতি যেটা বলেছেন যে, দেখেন নির্বাহী বিভাগের যে কোনো আদেশ চ্যালেঞ্জ করার জন্য বিচার বিভাগের কাছে আসে।
তখন আমি বলেছি যে, এ আদালতের যেসব ভূমিকা আছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সরকারি যে কোনো পদক্ষেপ যদি আমরা মনে করি ন্যায়সঙ্গত নয়, তখন সেটাকে চ্যালেঞ্জ করি। তখন প্রধান বিচারপতি আমাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আপনি তো বারের নেতা, রাজনৈতিক কর্মী। আপনি পেশাজীবীদের নেতা হিসাবে আপনারও দায়িত্ব আছে, যারা আন্দোলন করছেন তাদের বোঝানোর জন্য এটা আল্টিমেটলি আদালতের সামনে এবং আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে। এটিই উনি মূলত বোঝাতে চেয়েছেন।
খুরশীদ আলম খান বলেন, প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছেন তারা আদালতে আসুক। তারা আদালতে এসে তাদের কথাগুলো বলুক। আদালতের দরজা সবার জন্য খোলা। তারা তাদের অভিযোগগুলো বলুক। তারা শুধু বলছে নির্বাহী বিভাগকে। নির্বাহী বিভাগ যদি কোনো আদেশ দেয়, সেটা আবারও আদালতে আসবে।
সেজন্য প্রধান বিচারপতি গুরুত্ব দিয়েছেন আদালতের দরজা সবার জন্য খোলা। যে কেউ এখানে আসতে পারে। এর আগে ১০ জুলাই বুধবারও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। এদিন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিষয়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিমকোর্টের পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ। আগামী ৭ আগস্ট এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।