Dhaka 7:56 pm, Sunday, 22 December 2024

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সব অর্জন

বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, সবকিছুই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গত বৃহস্পতিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে বাজেট আলোচনায় দেওয়া এক উপস্থাপনায় এমন কথা বলেন তিনি। পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প দিয়েছেন। আজ বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, সবকিছুই এসেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। আগামীর বাংলাদেশ হবে সমস্যা সমাধানকারী, সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বের অন্তর্ভুক্তিমূলক স্মার্ট বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পে আমাদের নিজস্ব আর্থ অবজারভেটরি স্যাটেলাইট, ডিফেন্স স্যাটেলাইট, সিকিউরিটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা করেছেন। আগামী ৪ বছরের মধ্যে আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করতে চাই। সোস্যাল অবলিগেশন ফান্ড তথা বিটিআরসি। সেটি প্রধানমন্ত্রী ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব আয় দিয়েছে ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় করা হচ্ছে। সোস্যাল অবলিগেশন ফান্ড থেকে আমরা ১১৭টি চর, দ্বীপ ও দুর্গম অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট থেকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছি।

বিএনপির সমালোচনা করে পলক বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার ১৯৯২ সালে দেশের ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। তখন খালেদা জিয়া বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবল সংযোগ পাওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করেছিলেন শুধু জ্ঞানের অভাবে। ওই সময় তিনি বলছিলেন, সাবমেরিন কেবলে বাংলাদেশ যুক্ত হলে নাকি দেশের সব তথ্য পাচার হয়ে যাবে। হয়তো তার জানা ছিল না কোনটা সাবমেরিন জাহাজ, কোনটা যুদ্ধজাহাজ আর কোনটা সাবমেরিন কেবল।

সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তনের যে গল্পটা শেয়ার করছি এটা কিন্তু সহজ ছিল না। আজ যার বয়স ১৮ বছর, ১৫ বছর আগে তার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। যারা এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ গেলে কিংবা ইন্টারনেটের গতি একটু স্লো হলে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে সমালোচনা করে কিংবা সরকারের প্রতি বিরাগভাজন হয় তাদের উদ্দেশ্যে এই উপস্থাপনা। ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দেশ বাংলাদেশ। ২ হাজার ৫০০ ডিজিটাল সেবা, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট মহাকাশে। ১১ কোটি ভ্যাকসিন নিবন্ধন, ১২ কোটি স্মার্ট এনআইডি কার্ড, স্টার্টআপে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এসেছে। দেশে এখন ১৯ কোটি সিম কার্ড ব্যবহারকারী। ৫ লাখ ২৫ হাজার কিলোমিটার ফাইভার অপটিক্যাল কেবল গ্রাম, দ্বীপ, পাহাড় পৌঁছে গেছে। টেলিডেনসিটির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ছিল ৩২ শতাংশ। ২০১৩ সালে এসে পৌঁছেছে ১১১ শতাংশে। সেলুলার ফোন সংযোগ ১৯ কোটি। ফোর-জি, থ্রি-জি নেটওয়ার্কই ছিল না। এখন শুধু ফোর-জি সংযোগ ব্যবহারকারী ১০ কোটি। পৃথিবীর খুব কম দেশ আছে যাদের জনসংখ্যা ১০ কোটি। দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক কভারেজ আছে ৯৮ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১৩ কোটি। ২০০৮ সালের আগে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের (এক এমবিপিএস) মাসিক সর্বনিম্ন দাম ছিল ৮৫ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে তার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৬০ টাকা। এ জন্যই কিন্তু দেশে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

সংসদে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আমরা চারটি স্তম্ভের ওপর কাজ করার নির্দেশনা পেয়েছি। এই চারটি স্তম্ভের ওপর ২০৪১ সালে গড়ে ওঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ। আমাদের স্মার্ট নাগরিকরা শুধু উচ্চশিক্ষিত বা আর্থিকভাবে সচ্ছল হবে না। তারা হবে প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, সৃজনশীল, উদ্ভাবনী দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ। যারা নারী-পুরষের বিভেদ করবে না। ধনী-দরিদ্রে বৈষম্য করবে না। সেরকম সমস্যা সমাধানকারী উদার মানসিকতা নিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তুলতে চান। প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন স্মার্ট অর্থনীতি হবে ক্যাশলেস। কোনো ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। যেখানে কোনো ঋণখেলাপি করার সুযোগ থাকবে না। দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচারের সুযোগ থাকবে না। সবকিছু হবে ট্রান্সপারেন্ট, ডিজিটালি ইন্টারকানেক্টেড। স্মার্ট সরকার হবে পেপারলেস, দুর্নীতিমুক্ত, ফেসলেস; সরকারের সব সেবা থাকবে আমাদের স্মার্টফোনে। সেটিই হবে বঙ্গবন্ধুকন্যার স্মার্ট সরকার ব্যবস্থা। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ স্মার্ট অর্থনীতির সম্ভাবনার জায়গা হচ্ছে এখানে সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহী। সেখানে কিছু রাজনৈতিক দল আর কিছু অর্থনীতিবিদের বিশ্লেষণ শুনলে মনে হয় বাংলাদেশ হাঁটছে অন্যপথে।

পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’, সেটাকে বিবেচনা করে আমরা সব সংসদীয় আসনে গত সময়ের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখ পরিবারের অন্তত একজন ছেলে বা মেয়ের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়ে ভবিষ্যৎ আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় আগামী চার বছরে স্মার্ট অর্থনীতিতে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন টাকাপে। যেটা দিয়ে আমরা এখন লেনদেন করছি ক্যাশলেস উপায়ে। কিউআর কোড বেইজড বিনিময় উদ্বোধন করেছি। ক্যাশলেস ট্রানজেকশন এবং আমাদের যে চূড়ান্ত লক্ষ্য ক্যাশলেস সোসাইটি, ক্যাশলেস ইকোনমির মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৫০০ ডলারে নিয়ে যাব। ৫০টি স্টার্টআপ হবে বিলিয়ন ডলারের। উচ্চগতির ইন্টারনেট থাকবে দেশের সর্বত্র এবং সবার জন্য।

বাজেট জিপিটি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, www.gbrainbd.ai এই ওয়েব অ্যাড্রেস থেকে এআইকে জিজ্ঞেস করলে বাংলাদেশের বাজেট সম্পর্কে যে কোনো প্রশ্নের উত্তর এবং নির্দেশনা পাওয়া যাবে। আমরা আগামী দিনে স্মার্ট পার্লামেন্ট গড়ে তুলতে চাই।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সব অর্জন

আপলোড সময় : 05:29:02 pm, Saturday, 22 June 2024

বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, সবকিছুই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গত বৃহস্পতিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে বাজেট আলোচনায় দেওয়া এক উপস্থাপনায় এমন কথা বলেন তিনি। পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প দিয়েছেন। আজ বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, সবকিছুই এসেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। আগামীর বাংলাদেশ হবে সমস্যা সমাধানকারী, সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বের অন্তর্ভুক্তিমূলক স্মার্ট বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পে আমাদের নিজস্ব আর্থ অবজারভেটরি স্যাটেলাইট, ডিফেন্স স্যাটেলাইট, সিকিউরিটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা করেছেন। আগামী ৪ বছরের মধ্যে আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করতে চাই। সোস্যাল অবলিগেশন ফান্ড তথা বিটিআরসি। সেটি প্রধানমন্ত্রী ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব আয় দিয়েছে ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় করা হচ্ছে। সোস্যাল অবলিগেশন ফান্ড থেকে আমরা ১১৭টি চর, দ্বীপ ও দুর্গম অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট থেকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছি।

বিএনপির সমালোচনা করে পলক বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার ১৯৯২ সালে দেশের ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। তখন খালেদা জিয়া বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবল সংযোগ পাওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করেছিলেন শুধু জ্ঞানের অভাবে। ওই সময় তিনি বলছিলেন, সাবমেরিন কেবলে বাংলাদেশ যুক্ত হলে নাকি দেশের সব তথ্য পাচার হয়ে যাবে। হয়তো তার জানা ছিল না কোনটা সাবমেরিন জাহাজ, কোনটা যুদ্ধজাহাজ আর কোনটা সাবমেরিন কেবল।

সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তনের যে গল্পটা শেয়ার করছি এটা কিন্তু সহজ ছিল না। আজ যার বয়স ১৮ বছর, ১৫ বছর আগে তার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। যারা এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ গেলে কিংবা ইন্টারনেটের গতি একটু স্লো হলে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে সমালোচনা করে কিংবা সরকারের প্রতি বিরাগভাজন হয় তাদের উদ্দেশ্যে এই উপস্থাপনা। ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দেশ বাংলাদেশ। ২ হাজার ৫০০ ডিজিটাল সেবা, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট মহাকাশে। ১১ কোটি ভ্যাকসিন নিবন্ধন, ১২ কোটি স্মার্ট এনআইডি কার্ড, স্টার্টআপে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এসেছে। দেশে এখন ১৯ কোটি সিম কার্ড ব্যবহারকারী। ৫ লাখ ২৫ হাজার কিলোমিটার ফাইভার অপটিক্যাল কেবল গ্রাম, দ্বীপ, পাহাড় পৌঁছে গেছে। টেলিডেনসিটির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ছিল ৩২ শতাংশ। ২০১৩ সালে এসে পৌঁছেছে ১১১ শতাংশে। সেলুলার ফোন সংযোগ ১৯ কোটি। ফোর-জি, থ্রি-জি নেটওয়ার্কই ছিল না। এখন শুধু ফোর-জি সংযোগ ব্যবহারকারী ১০ কোটি। পৃথিবীর খুব কম দেশ আছে যাদের জনসংখ্যা ১০ কোটি। দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক কভারেজ আছে ৯৮ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১৩ কোটি। ২০০৮ সালের আগে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের (এক এমবিপিএস) মাসিক সর্বনিম্ন দাম ছিল ৮৫ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে তার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৬০ টাকা। এ জন্যই কিন্তু দেশে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

সংসদে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আমরা চারটি স্তম্ভের ওপর কাজ করার নির্দেশনা পেয়েছি। এই চারটি স্তম্ভের ওপর ২০৪১ সালে গড়ে ওঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ। আমাদের স্মার্ট নাগরিকরা শুধু উচ্চশিক্ষিত বা আর্থিকভাবে সচ্ছল হবে না। তারা হবে প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, সৃজনশীল, উদ্ভাবনী দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ। যারা নারী-পুরষের বিভেদ করবে না। ধনী-দরিদ্রে বৈষম্য করবে না। সেরকম সমস্যা সমাধানকারী উদার মানসিকতা নিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তুলতে চান। প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন স্মার্ট অর্থনীতি হবে ক্যাশলেস। কোনো ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। যেখানে কোনো ঋণখেলাপি করার সুযোগ থাকবে না। দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচারের সুযোগ থাকবে না। সবকিছু হবে ট্রান্সপারেন্ট, ডিজিটালি ইন্টারকানেক্টেড। স্মার্ট সরকার হবে পেপারলেস, দুর্নীতিমুক্ত, ফেসলেস; সরকারের সব সেবা থাকবে আমাদের স্মার্টফোনে। সেটিই হবে বঙ্গবন্ধুকন্যার স্মার্ট সরকার ব্যবস্থা। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ স্মার্ট অর্থনীতির সম্ভাবনার জায়গা হচ্ছে এখানে সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহী। সেখানে কিছু রাজনৈতিক দল আর কিছু অর্থনীতিবিদের বিশ্লেষণ শুনলে মনে হয় বাংলাদেশ হাঁটছে অন্যপথে।

পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’, সেটাকে বিবেচনা করে আমরা সব সংসদীয় আসনে গত সময়ের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখ পরিবারের অন্তত একজন ছেলে বা মেয়ের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়ে ভবিষ্যৎ আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় আগামী চার বছরে স্মার্ট অর্থনীতিতে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন টাকাপে। যেটা দিয়ে আমরা এখন লেনদেন করছি ক্যাশলেস উপায়ে। কিউআর কোড বেইজড বিনিময় উদ্বোধন করেছি। ক্যাশলেস ট্রানজেকশন এবং আমাদের যে চূড়ান্ত লক্ষ্য ক্যাশলেস সোসাইটি, ক্যাশলেস ইকোনমির মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৫০০ ডলারে নিয়ে যাব। ৫০টি স্টার্টআপ হবে বিলিয়ন ডলারের। উচ্চগতির ইন্টারনেট থাকবে দেশের সর্বত্র এবং সবার জন্য।

বাজেট জিপিটি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, www.gbrainbd.ai এই ওয়েব অ্যাড্রেস থেকে এআইকে জিজ্ঞেস করলে বাংলাদেশের বাজেট সম্পর্কে যে কোনো প্রশ্নের উত্তর এবং নির্দেশনা পাওয়া যাবে। আমরা আগামী দিনে স্মার্ট পার্লামেন্ট গড়ে তুলতে চাই।