রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হড়গ্রাম নতুনপাড়া সিটি বাইপাস সড়কের রেল ক্রসিং এ দুই লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফলক উন্মোচন এবং সুইচ চেপে পাইলিং এর কাজ শুরুর মাধ্যমে ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
উল্লেখ্য,রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হড়গ্রাম নতুনপাড়া সিটি বাইপাস সড়কের রেল ক্রসিং এ দুই লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় হবে ৭৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। ফ্লাইওভারের ধরণ বক্স গার্ডার,আরসিসি (কাষ্ট ইন সিটু)। ফ্লাইওভারটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ৭৭৫ মিটার। ফ্লাইওভারের মূল কাঠামোর দৈর্ঘ্য ৪৮৫ মিটার। ভায়া ডাক (পূর্ব) ১৪৫ মিটার এবং ভায়া ডাক (পশ্চিম) ১৪৫ মিটার। ফ্লাইওভারে ৩০ মিটার ও ২৫ মিটারের ১৮টি স্প্যান থাকবে,পিলার থাকবে ১৭টি,এ্যাবার্টমেন্ট ২টি,মোট পাইলের সংখ্যা ৯৭টি। পাইলের গভীরতা হবে ৩৬ থেকে ৪৬ মিটার। ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন,রাজশাহী শহরে মধ্য দিয়ে রেল লাইন বয়ে গেছে। শহরের মধ্যে রেলক্রসিং এ মৃত্যুঝুঁকি কমাতে এবং যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে নগরীতে আরো ৫টি ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে আজকে একটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হলো। এটি নগরীর উন্নয়নের আরেকটি মাইলফলক।
রাসিক মেয়র আরো বলেন,রাস্তা,ড্রেন,পার্ক,বিনোদনকেন্দ্র সহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে,আরো হবে। এখন আমার এক নম্বর কাজ হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এ লক্ষ্যে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করতে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে কম্পিউটারের বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। আগামীতে রাজশাহী কবে কম্পিউটার হাব।
তিনি আরো বলেন,গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জে নৌবন্দর চালু হয়েছে। ভারতের মুর্শিদাবাদের মায়া হতে সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। এটি আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছিল। প্রথম পর্যায় বাস্তবায়ন হয়েছে। এবার রাজশাহী শহরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের পাশে রাজশাহী নৌবন্দর করা হবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে,কর্মসংস্থান হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আগামী দিনে রাজশাহীর মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। আমরা যে প্রশংসা অর্জন করেছি,এটি দিনে দিনে আরো বৃদ্ধি করতে চাই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাসিকের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী ও স্বাগত বক্তব্য দেন রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী ও সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নুর ইসলাম তুষার।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল,রাসিকের রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম,প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা খাতুন মিলি, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডিয়েনকো লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিঃ এস.এম খোরশেদ আলম,রাসিকের ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম,৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন,৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম,৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ কামরুজ্জামান,২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহের হোসেন সুজা,৩০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আলাউদ্দিন,সংরক্ষিত ২নং আসনের মোছাঃ শিউলি,সংরক্ষিত ৯নং আসনের মোছাঃ ফেরদৌসী, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবু,সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসরুল হক খিচ্চু, মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান,মহানগর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট গোলাম মুর্শেদ, প্রকল্পের উপ-পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান,সহকারী প্রকৌশলী আসিফুল হাবিব নিবিড়, সহকারী প্রকৌশলী ফররুখ আহমেদ (শিশির),সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম,ডিয়েনকো লিমিটেডের ডিরেক্টর সুশান্ত কুমার সাহা,প্রকল্প পরিচালক সুবোধ চন্দ্র চিত্র,প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ মাহমুদুল হাসান (টুটুল) সহ কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ,স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।