নরসিংদীর রায়পুরায় ভোট চাইতে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় জোড়া মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে নিহত সুমন মিয়ার বাবা হাজী নাছির উদ্দীন বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত একজন আসামিসহ মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলায় চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের হরজত আলীর ছেলে ও অপর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেলকে প্রধান আসামি করে আরো পঁচিশ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন হাজী নাছির উদ্দীন। শনিবার রাতে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আব্দুল হালিম।
মামলায় আবিদ হাসান রুবেলসহ মোট ২৬ জন আসামির নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে দ্রুত বিচার আইন ২০০২ ধারায় আবিদ হাসান রুবেলকে প্রধান আসামি করে আরো একটি মামলা দায়ের করে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমপি পুত্র রাজিব আহমেদ পার্থ। এ মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে আল-আমিন ও বাছেদ নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় রায়পুরা থানা পুলিশ। এছাড়া আজ মামলা দায়েরের পর এ মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি রামিম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যপারে রায়পুরা থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই আব্দুল হালিম বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া হত্যার ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত একজন আসামিসহ মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ মে ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে নিহত সুমন মিয়ার মরদেহ দাফন করা হয়। ইতিমধ্যে সুমন মিয়ার মৃত্যুর খবরে গোটা উপজেলা জুড়ে বইছে শোকের ছায়া। এর মধ্যেই এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি আবিদ হাসান রুবেলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপি। নয়তো সড়ক, রেল ও নৌপথ বন্ধের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। সেই সঙ্গে আবিদ হাসান রুবেলের সন্ধানদাতাকেও ১ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন তিনি।