নরসিংদীর রায়পুরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সুমন মিয়ার ময়না তদন্ত শেষে প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপজেলার সিরাজনগর এম এ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অশ্রুসিক্ত নয়নে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে এ জানাজা সম্পন্ন হয়। প্রথম জানাজায় অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু (এমপি), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ পার্থ সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ সহ হাজারো মানুষ। জানাজা পূর্বে স্থানীয় এমপি রাজি উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, রায়পুরাবাসী সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি। তারা মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী, তারা ভূমিদুস্য তাদের কাছে মানুষ জিম্মি। বাবার কাছে পাহাড়সোমহ কষ্ট হচ্ছে বাবার কাঁধে যখন সন্তানের লাশ। আজ সেই কষ্ট বহন করতে হচ্ছে তার বাবাকে। তিনি আরও বলেন, কি অপরাধ ছিল সুমনের? জন্মদাতা পিতা হয়ে সন্তানকে দেখে যেতে পারলো না। খুনখারাবি, জুলুম রায়পুরা থেকে চিরতরে বন্ধ করতে হবে। রায়পুরাবাসী শান্তি চায়। আমার কাছে খবর আছে খুনি রুবেল দেশ ত্যাগ করার পায়তারা করছে। আমি প্রশাসনকে বলবো এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার না করতে পারলে জেলায় নৌ, রেল সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবে।
উল্লেখ, গতকাল বুধবার (২২ মে) দুপুরে রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চরাঞ্চলের পাড়াতলী ইউনিয়নের মিরেরকান্দী গ্রামে দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী চশমা প্রতীক আবিদ হাসান রুবেল ও তালা প্রতীক মোঃ সুৃমন মিয়ার প্রচারণার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তালা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ সুমন মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন প্রতিপক্ষ চশমা প্রতীকের প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল ও তার সমর্থকরা। পরে তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় পুলিশী প্রহরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত মোঃ সুমন মিয়া চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী নাসির উদ্দিন আহমেদের ছেলে। তিনি রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।