Dhaka 8:14 pm, Sunday, 22 December 2024

নওগাঁয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকতা পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে এসে ২ কথিত সাংবাদিক কারাগারে

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: নওগাঁর মান্দায় গোয়েন্দা সংস্থার বিভাগীয় কর্মকতা পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে এসে আটককৃতদের কারাগারে (শ্রীঘর) পাঠিয়েছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রামের ইব্রাহীমের ছেলে রেজাউল করিম ওরফে রেজা (৫২) এবং তার ক্যামেরা পার্সন এয়ারপোর্ট থানার বায়া বাজার এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে রফিক (৪০)। এসময় স্থানীয়দের তোপের মুখে, রেজাউল করিম ওরফে রেজা ভোরের চেতনা নামক একটি পত্রিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ বিশেষ প্রতিনিধির পরিচয় পত্র (কার্ড) দেখান। তবে তার ক্যামেরা পার্সন রফিক কোন পরিচয় পত্র (কার্ড) দেখাতে পারেননি।

উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের পানিয়াল গ্রামের ভূক্তভোগী মৃত নছর আলীর ছেলে হারেজ আলী বলেন, পেশায় তিনি একজন ভাংড়ি ব্যাবসায়ী। সাবাইহাটে তার একটি ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত প্রায় ২ বছর যাবৎ বিভিন্ন সময় তার ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে এসে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়ে গেছেন রেজাউল করিম ওরফে রেজা এবং রফিক নামে ওই দুই যুবক। রবিবার বেলা ১১ টার দিকে ওই ২ জন যুবক পূনঃরায় তার ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে এসে মোটা অঙ্কের চাঁদাদাবি করেন। এরপর তিনি বিষয়টি স্থানীয় ব্যাবসাীয়দের জানালে, স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা ওই দুই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। এসময় তারা দু’জন প্রথমে নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী পরিচয় দেন। পরে তারা উভয়ে নিজেদেরকে রাজশাহী মডেল প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক বলে দাবি করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ দেখা দেওয়ায় তাদেরকে আটকের পর পুলিশে সোপার্দ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভূক্তভোগী জানান,এর আগেও রেজাউল করিম ওরফে রেজা এবং রফিক নামে ওই দুই যুবক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান,ডাক্তারদের চেম্বার, ক্লিনিক, ইটভাটা,পুকুর,গরুর হাট,বিয়েবাড়ি, কাজী অফিস,ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে এসে চাঁদাদাবি করতেন। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে বিভিন্ন রকমের হুমকি প্রদান করতেন।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১২ মে তারিখের ১৭০/৩৮৫/৩৮৬ পেনাল কোডের মামলায় আজ সোমবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মান্দা থানার মামলা নম্বর ১৮।

ওসি আরও বলেন,আটককৃত রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে নাটোরের সিংড়া থানায় জালনোটের একটি মামলা রয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

নওগাঁয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকতা পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে এসে ২ কথিত সাংবাদিক কারাগারে

আপলোড সময় : 01:11:06 pm, Tuesday, 14 May 2024

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: নওগাঁর মান্দায় গোয়েন্দা সংস্থার বিভাগীয় কর্মকতা পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে এসে আটককৃতদের কারাগারে (শ্রীঘর) পাঠিয়েছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার ছোট বনগ্রামের ইব্রাহীমের ছেলে রেজাউল করিম ওরফে রেজা (৫২) এবং তার ক্যামেরা পার্সন এয়ারপোর্ট থানার বায়া বাজার এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে রফিক (৪০)। এসময় স্থানীয়দের তোপের মুখে, রেজাউল করিম ওরফে রেজা ভোরের চেতনা নামক একটি পত্রিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ বিশেষ প্রতিনিধির পরিচয় পত্র (কার্ড) দেখান। তবে তার ক্যামেরা পার্সন রফিক কোন পরিচয় পত্র (কার্ড) দেখাতে পারেননি।

উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের পানিয়াল গ্রামের ভূক্তভোগী মৃত নছর আলীর ছেলে হারেজ আলী বলেন, পেশায় তিনি একজন ভাংড়ি ব্যাবসায়ী। সাবাইহাটে তার একটি ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত প্রায় ২ বছর যাবৎ বিভিন্ন সময় তার ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে এসে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়ে গেছেন রেজাউল করিম ওরফে রেজা এবং রফিক নামে ওই দুই যুবক। রবিবার বেলা ১১ টার দিকে ওই ২ জন যুবক পূনঃরায় তার ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে এসে মোটা অঙ্কের চাঁদাদাবি করেন। এরপর তিনি বিষয়টি স্থানীয় ব্যাবসাীয়দের জানালে, স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা ওই দুই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। এসময় তারা দু’জন প্রথমে নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী পরিচয় দেন। পরে তারা উভয়ে নিজেদেরকে রাজশাহী মডেল প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক বলে দাবি করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ দেখা দেওয়ায় তাদেরকে আটকের পর পুলিশে সোপার্দ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভূক্তভোগী জানান,এর আগেও রেজাউল করিম ওরফে রেজা এবং রফিক নামে ওই দুই যুবক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মী পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান,ডাক্তারদের চেম্বার, ক্লিনিক, ইটভাটা,পুকুর,গরুর হাট,বিয়েবাড়ি, কাজী অফিস,ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে এসে চাঁদাদাবি করতেন। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে বিভিন্ন রকমের হুমকি প্রদান করতেন।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১২ মে তারিখের ১৭০/৩৮৫/৩৮৬ পেনাল কোডের মামলায় আজ সোমবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মান্দা থানার মামলা নম্বর ১৮।

ওসি আরও বলেন,আটককৃত রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে নাটোরের সিংড়া থানায় জালনোটের একটি মামলা রয়েছে।