জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগ চিকিৎসায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
তিনি বলেন, জীবন ধারণ পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে হৃদরোগ সমস্যার সমাধান করা যায়, তাই প্রত্যেক কমিউনিটিকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
স্পিকার আজ রাজধানী ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে ‘বাংলাদেশ লাইভ ২০২৪: আইপিডিআই কার্ডিওভাস্কুলার কনফারেন্স’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের পরিচিতি তুলে ধরেন ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. মহসিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ড. মো. তৌহিদুজ্জামান এমপি এবং প্রফেসর ড. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি বক্তব্য রাখেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনসের দক্ষ চিকিৎসকরা কার্ডিওভাস্কুলার রোগের চিকিৎসায় নিরলস কাজ করে চলেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন এ দেশের মেডিকেল সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।
স্পিকার বলেন, দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের সংখ্যা রোগীদের তুলনায় অপ্রতুল হলেও দেশের মেধাবী ও দক্ষ চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্রত্যন্ত এলাকাতেও ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া হচ্ছে। ১২ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের ৩২ ধরণের ঔষধ বিনামূল্যে রোগীদের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কার্ডিওভাসকুলার রোগের চিকিৎসায় ডিজিটাল বিজ্ঞানকে কাজে লাগানো অত্যাবশ্যক। এই সেমিনার স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল বিজ্ঞানের সাথে ঐতিহ্যগত পদ্ধতির সেতুবন্ধন তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে।
স্পিকার বলেন, কার্ডিওভাসকুলার রোগীর চিকিৎসায় এই সেমিনার উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীগণ নেটওয়ার্কিং এবং আইডিয়া শেয়ারের মাধ্যমে কার্ডিওলজি চিকিৎসাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।