তিতাসের কলাকান্দি ইউনিয়নের দড়িমাছিমপুর গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত ২ জন।
জানা যায়, শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেল তিনটায় দড়িমাছিমপুর গ্রামের মৃত আছমত আলীর ছেলে মোঃ কামাল হোসেন গ্রুপ ও মুকুল গ্রুপের মধ্য সংঘর্ষ বাঁধে। এতে কামাল গ্রুপের মনু মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম ও আলী মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম নামে দুজনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আহত শফিকুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অপরদিকে আহত আবুল কাশেমের হাতে ২২ টি সেলাই লেগেছে। সেও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বর্তমানে দড়িমাছিমপুর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।
এবিষয়ে কামাল গ্রুপের মোঃ কামাল হোসেন বলেন, অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মুকুল কয়েকজনের ফসলি জমি ধ্বংস করে ফেলেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জমির মালিকগণ দরখাস্ত করায় ড্রেজার বন্ধ হয়ে যায়। এতে মুকুলগংরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং গতকালকের ঘটনাটি ঘটায়।
এবিষয়ে মুকুলের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে কলাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইব্রাহিম সরকার বলেন, আমি উভয়পক্ষকে বলব শান্ত থাকার জন্য। যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কান্তি দাশ বলেন, দড়িমাছিমপুর গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনা স্থলে পুলিশ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান পরিচালনা করে, ঘটনার সাথে জরিত সন্দেহে রাহাত নামে একজনকে আটক করে। এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে দড়িমাছিমপুর গ্রামে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এই ঘটনায় আহত শফিক মিয়ার বড় ভাই ফরিদ মিয়া বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে।