Dhaka 7:52 am, Saturday, 28 December 2024

লালপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

Exif_JPEG_420

নাটোরের লালপুরে অনাবৃষ্টি ও দাবদাহ হতে মুক্তি পেতে সালাত ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের কলসনগর এলাকাবাসীর আয়োজনে কলসনগর কওমি মাদরাসা মাঠে খোলা আকাশের নিচে প্রচণ্ড রোদ্রে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।এসময় নামাজের ইমামতি ও খুতবা পাঠ করেন কলসনগর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. হাফিজুর রহমান। নামাজে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কৃষক, চিকিৎসক, শিক্ষক, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে চোখের পানি ফেলে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন মুসল্লিরা।

আলিয়াহসান মুজাহিদ মুসল্লি বলেন, প্রচণ্ড গরম ও তাপদাহে বৃষ্টির দেখা নেই। তাই নামাজ পড়ে আল্লাহপাকের কাছে বৃষ্টির জন্য দোয়া চেয়েছি। এত রোদ্রে মানুষ ঘরেও থাকতে পারছে না। আল্লাহ আমাদের পাপ ক্ষমা করে কুদরতি বৃষ্টি দেন।আব্দুল আওয়াল নামে আরেক মুসল্লি বলেন, গত কয়েক মাসও লালপুরে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। প্রচণ্ড রোদ্রে তাপদাহে মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে। বৃষ্টি ছাড়া এ তাপদাহ কিছুতেই কমবে না। সেজন্য আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি।

আয়োজকরা বলেন, বৈশাখের তীব্র খরায় ঘরে-বাইরে কোথাও ছিটেফোঁটা স্বস্তি নেই। একটু বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে এই অঞ্চলে। শ্রমজীবী মানুষ রোদে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহর দরবারে একটু প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি। আল্লাহ আমাদের কবুল করে অনাবৃষ্টি দূর করে জমিনকে শীতল করার জন্য প্রার্থনা জানিয়েছি।দীর্ঘ দাবদাহের কারণে মহান আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি কামনায় ইসতিসকার নামাজের অংশগ্রহনের জন্য এলাকায় মাইকিং করে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হয়।

Write Your Comment

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

লালপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

আপলোড সময় : 08:20:25 pm, Tuesday, 23 April 2024

নাটোরের লালপুরে অনাবৃষ্টি ও দাবদাহ হতে মুক্তি পেতে সালাত ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের কলসনগর এলাকাবাসীর আয়োজনে কলসনগর কওমি মাদরাসা মাঠে খোলা আকাশের নিচে প্রচণ্ড রোদ্রে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।এসময় নামাজের ইমামতি ও খুতবা পাঠ করেন কলসনগর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. হাফিজুর রহমান। নামাজে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কৃষক, চিকিৎসক, শিক্ষক, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে চোখের পানি ফেলে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন মুসল্লিরা।

আলিয়াহসান মুজাহিদ মুসল্লি বলেন, প্রচণ্ড গরম ও তাপদাহে বৃষ্টির দেখা নেই। তাই নামাজ পড়ে আল্লাহপাকের কাছে বৃষ্টির জন্য দোয়া চেয়েছি। এত রোদ্রে মানুষ ঘরেও থাকতে পারছে না। আল্লাহ আমাদের পাপ ক্ষমা করে কুদরতি বৃষ্টি দেন।আব্দুল আওয়াল নামে আরেক মুসল্লি বলেন, গত কয়েক মাসও লালপুরে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। প্রচণ্ড রোদ্রে তাপদাহে মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে। বৃষ্টি ছাড়া এ তাপদাহ কিছুতেই কমবে না। সেজন্য আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি।

আয়োজকরা বলেন, বৈশাখের তীব্র খরায় ঘরে-বাইরে কোথাও ছিটেফোঁটা স্বস্তি নেই। একটু বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে এই অঞ্চলে। শ্রমজীবী মানুষ রোদে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহর দরবারে একটু প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি। আল্লাহ আমাদের কবুল করে অনাবৃষ্টি দূর করে জমিনকে শীতল করার জন্য প্রার্থনা জানিয়েছি।দীর্ঘ দাবদাহের কারণে মহান আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি কামনায় ইসতিসকার নামাজের অংশগ্রহনের জন্য এলাকায় মাইকিং করে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হয়।