Dhaka 11:58 am, Wednesday, 25 December 2024

এবার ৪৫ টাকা কেজিতে চাল ও ৩২ টাকায় ধান কিনবে সরকার

এবারের বোরো মৌসুমে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ১ লাখ টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন গম কিনবে সরকার। আগের বারের চেয়ে কেজিপ্রতি ধানের দর দুই টাকা এবং চালে এক টাকা বাড়িয়ে এবারের মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রতি কেজি বোরো ধানের ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা আর প্রতিকেজি সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা দরে কেনা হবে।

গতকাল সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে কৃষকের কাছ থেকে ৫ লাখ টনের বেশি ধান কেনা হবে। ধানের পাশাপাশি এবার ৪৫ টাকা কেজি দরে ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হবে। গতবার এটি ৪৪ টাকা কেজি দরে কেনা হয়েছিল। এ ছাড়া ৪৪ টাকা কেজি দরে ১ লাখ টন আতপ চাল কেনা হবে। ৩৪ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন গমও কেনা হবে। আগামী ৭ মে থেকে ধান কেনা শুরু হবে ও ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বেশি ধান কেনা হবে হাওর থেকে। কৃষক যাতে তাঁর উৎপাদনের ন্যায্যমূল্য পান, সে জন্য এবার ধান কেনা কেজিতে দুই টাকা বাড়ানো হয়েছে এবং এতে কৃষক উৎপাদনে উৎসাহিত হবেন বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে এখন খাদ্য মজুত আছে ১২ লাখ টন। বন্দরে ১ লাখ ২০ হাজার টন গম এসে পৌঁছেছে। আরও ৩ লাখ গম কেনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কোনো ঘাটতি নেই। ধান কেনার সঙ্গে প্রশাসনের সবাইকে যুক্ত করা হয়েছে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, বোরো ধান-চালের উৎপাদন খরচ গত বছরের থেকে বেশি হওয়ায় এবার সংগ্রহ মূল্য কিছুটা বেড়েছে। দামের কারণে কৃষক একটু উৎসাহিত হোক। কেননা, কৃষক অন্য শস্যে চলে যাচ্ছে, আমাদের চালের প্রয়োজন। পয়লা বৈশাখ থেকে চালের বস্তায় ধানের জাতের নাম ও মিলগেট মূল্য লেখা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা- জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অলরেডি সেটি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা ঘিরে প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় সজাগ আছি। খাদ্যের ঘাটতি হয়েছে, এমন কথা বাংলাদেশে বলা যায় না। এবার উৎপাদন ভালো হয়েছে।

 

সভায় কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন- শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বেগম রোকেয়া সুলতানাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।

ট্যাগস :

Write Your Comment

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

এবার ৪৫ টাকা কেজিতে চাল ও ৩২ টাকায় ধান কিনবে সরকার

আপলোড সময় : 01:30:55 pm, Tuesday, 23 April 2024

এবারের বোরো মৌসুমে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ১ লাখ টন আতপ চাল এবং ৫০ হাজার টন গম কিনবে সরকার। আগের বারের চেয়ে কেজিপ্রতি ধানের দর দুই টাকা এবং চালে এক টাকা বাড়িয়ে এবারের মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রতি কেজি বোরো ধানের ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা আর প্রতিকেজি সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা দরে কেনা হবে।

গতকাল সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে কৃষকের কাছ থেকে ৫ লাখ টনের বেশি ধান কেনা হবে। ধানের পাশাপাশি এবার ৪৫ টাকা কেজি দরে ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হবে। গতবার এটি ৪৪ টাকা কেজি দরে কেনা হয়েছিল। এ ছাড়া ৪৪ টাকা কেজি দরে ১ লাখ টন আতপ চাল কেনা হবে। ৩৪ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন গমও কেনা হবে। আগামী ৭ মে থেকে ধান কেনা শুরু হবে ও ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তা চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বেশি ধান কেনা হবে হাওর থেকে। কৃষক যাতে তাঁর উৎপাদনের ন্যায্যমূল্য পান, সে জন্য এবার ধান কেনা কেজিতে দুই টাকা বাড়ানো হয়েছে এবং এতে কৃষক উৎপাদনে উৎসাহিত হবেন বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে এখন খাদ্য মজুত আছে ১২ লাখ টন। বন্দরে ১ লাখ ২০ হাজার টন গম এসে পৌঁছেছে। আরও ৩ লাখ গম কেনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কোনো ঘাটতি নেই। ধান কেনার সঙ্গে প্রশাসনের সবাইকে যুক্ত করা হয়েছে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, বোরো ধান-চালের উৎপাদন খরচ গত বছরের থেকে বেশি হওয়ায় এবার সংগ্রহ মূল্য কিছুটা বেড়েছে। দামের কারণে কৃষক একটু উৎসাহিত হোক। কেননা, কৃষক অন্য শস্যে চলে যাচ্ছে, আমাদের চালের প্রয়োজন। পয়লা বৈশাখ থেকে চালের বস্তায় ধানের জাতের নাম ও মিলগেট মূল্য লেখা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা- জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অলরেডি সেটি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা ঘিরে প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় সজাগ আছি। খাদ্যের ঘাটতি হয়েছে, এমন কথা বাংলাদেশে বলা যায় না। এবার উৎপাদন ভালো হয়েছে।

 

সভায় কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন- শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বেগম রোকেয়া সুলতানাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।