Dhaka 11:38 am, Wednesday, 25 December 2024

দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে

 

প্রতিবছর যেখানে দেশের বাইরে বেশি মানুষ ঈদের ছুটিতে ভ্রমণ করত, সেখানে এ বছর দেশের মধ্যে ভ্রমণকারীর সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। বিজ্ঞজনেরা বলছেন, গতবছর ঈদকে কেন্দ্র করে দেশীয় পর্যটন শিল্পে আয় ছিল এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার কোটি টাকায়। তারা আশা করছেন, পর্যটন খাতে আয় জিডিপিতে ৩ শতাংশ, যা এ বছরই ৪ শতাংশ করা সম্ভব।

দেশের মধ্যে বিলাসবহুল রিসোর্টের সংখ্যা বাড়ছে, যা  দেশের মধ্যে ভ্রমণ কয়েকগুণ বাড়িয়েছে বলে জানান ট্যুরিজম ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিডাব) সাবেক চেয়ারম্যান এবং সেন্টার ট্যুরিজম স্টাডিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জামিউল আহমেদ। ইত্তেফাককে তিনি বলেন, ঈদকে কেন্দ্রে করে এ বছর কয়েক লাখ মানুষ দেশের মধ্যে ও দেশের বাইরে ভ্রমণ করেছে। দেশের মধ্যে ভালো ভালো রিসোর্ট হওয়ার কারণে অনেকেই এখন উৎসবের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে দেশের মধ্যে ভ্রমণ করছে। এতে যারা অল্প খরচে দেশের বাইরে ট্যুর করত, তারা দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহী হচ্ছে। ফলে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে দেশে আয়ও বেড়েছে কয়েকগুণ।

পর্যটন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব জানান, ঈদের ছুটিতে অন্য বছর বেশি দেশের বাইরে ভ্রমণ করলেও এবছর বেশি মানুষ দেশের মধ্যে ভ্রমণ করেছে। এ বছর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ বৃহত্তর সিলেটে ভ্রমণ করেছে। টাঙ্গুয়ার হাওর, জাফলং, মাধবকুণ্ড, শ্রীমঙ্গল, লাউয়াছড়া, বিছানাকান্দি প্রভৃতি স্থানে প্রকৃতিপ্রেমীরা ভিড় করেছে। এছাড়া কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন দেশীয় ভ্রমণকারীদের পছন্দের তালিকায় উচ্চস্থানে রয়েছে।

ড. সন্তোষ কুমার দেব আরও বলেন, দেশের মধ্যে ভ্রমণে নিরাপত্তা আগের চেয়ে বেড়েছে। অনেক মানুষ এখন পর্যটননির্ভর বিনিয়োগ করছেন, মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। দেশের মধ্যে ভ্রমণের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। তবে রিসোর্টের ব্যয়, খাদ্যের মান ও দাম, নিরাপত্তাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা দেশে ভ্রমণের জন্য এখনো অন্তরায় বলে তিনি মনে করেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে

আপলোড সময় : 09:24:04 pm, Saturday, 20 April 2024

 

প্রতিবছর যেখানে দেশের বাইরে বেশি মানুষ ঈদের ছুটিতে ভ্রমণ করত, সেখানে এ বছর দেশের মধ্যে ভ্রমণকারীর সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। বিজ্ঞজনেরা বলছেন, গতবছর ঈদকে কেন্দ্র করে দেশীয় পর্যটন শিল্পে আয় ছিল এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার কোটি টাকায়। তারা আশা করছেন, পর্যটন খাতে আয় জিডিপিতে ৩ শতাংশ, যা এ বছরই ৪ শতাংশ করা সম্ভব।

দেশের মধ্যে বিলাসবহুল রিসোর্টের সংখ্যা বাড়ছে, যা  দেশের মধ্যে ভ্রমণ কয়েকগুণ বাড়িয়েছে বলে জানান ট্যুরিজম ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিডাব) সাবেক চেয়ারম্যান এবং সেন্টার ট্যুরিজম স্টাডিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জামিউল আহমেদ। ইত্তেফাককে তিনি বলেন, ঈদকে কেন্দ্রে করে এ বছর কয়েক লাখ মানুষ দেশের মধ্যে ও দেশের বাইরে ভ্রমণ করেছে। দেশের মধ্যে ভালো ভালো রিসোর্ট হওয়ার কারণে অনেকেই এখন উৎসবের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে দেশের মধ্যে ভ্রমণ করছে। এতে যারা অল্প খরচে দেশের বাইরে ট্যুর করত, তারা দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহী হচ্ছে। ফলে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে দেশে আয়ও বেড়েছে কয়েকগুণ।

পর্যটন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব জানান, ঈদের ছুটিতে অন্য বছর বেশি দেশের বাইরে ভ্রমণ করলেও এবছর বেশি মানুষ দেশের মধ্যে ভ্রমণ করেছে। এ বছর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ বৃহত্তর সিলেটে ভ্রমণ করেছে। টাঙ্গুয়ার হাওর, জাফলং, মাধবকুণ্ড, শ্রীমঙ্গল, লাউয়াছড়া, বিছানাকান্দি প্রভৃতি স্থানে প্রকৃতিপ্রেমীরা ভিড় করেছে। এছাড়া কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন দেশীয় ভ্রমণকারীদের পছন্দের তালিকায় উচ্চস্থানে রয়েছে।

ড. সন্তোষ কুমার দেব আরও বলেন, দেশের মধ্যে ভ্রমণে নিরাপত্তা আগের চেয়ে বেড়েছে। অনেক মানুষ এখন পর্যটননির্ভর বিনিয়োগ করছেন, মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। দেশের মধ্যে ভ্রমণের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। তবে রিসোর্টের ব্যয়, খাদ্যের মান ও দাম, নিরাপত্তাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা দেশে ভ্রমণের জন্য এখনো অন্তরায় বলে তিনি মনে করেন।