Dhaka 9:10 pm, Monday, 23 December 2024

এমপি-নেতারা প্রার্থী দিতে পারবেন না উপজেলায়

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র এমপিরা কাউকেই প্রার্থী করতে পারবেন না। দলের জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বশীল কোনো নেতাও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবেন না। তবে স্থানীয় কোনো নেতা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। তবে দল থেকে কোনো অবস্থায়ই কাউকে সমর্থন করা যাবে না।

গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের লক্ষ্যে সিরিজ বৈঠকের প্রথম দিনে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে রংপুরের কেন্দ্রীয় বিভাগীয় নেতারা ছাড়াও ৯টি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর নেতারা এবং দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের ডাকা হয়েছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া কেন্দ্রীয় ও জেলার কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ, উন্মুক্ত নির্বাচনে কাউকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না। এই অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিরাসহ স্থানীয় নেতারা যার যার মতো করে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব ধরে রাখতে কিংবা নতুন করে প্রভাব বলয় গড়ে তুলতে উপজেলায় পছন্দের নেতাদের প্রার্থী করার এই প্রবণতাকে ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় দলের মধ্যে নতুন করে দ্বন্দ্ব-কোন্দল দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিসহ স্থানীয় নেতাদের প্রার্থী ঘোষণার ওপর নিষেধাজ্ঞা এলো।

এর আগে সূচনা বক্তব্যে বৈঠকের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার বা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না বলে জানান। পরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সব ধরনের দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের কঠোর তাগিদের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচন প্রভাবিত করতে এমপি কিংবা নেতাদের কারও হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করে দেন।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো আগামীতে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তাই এসব নির্বাচনকে ঘিরে দ্বন্দ্ব-কোন্দলের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। দলীয় কোন্দলের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ও উন্নয়ন কর্মককাণ্ড ম্লান না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা আরও জানান, রংপুর মহানগরসহ রংপুরের মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, পীরগঞ্জ, কাউনিয়া ও পীরগাছায় আওয়ামী লীগে আগে থেকেই অন্তর্কোন্দল রয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধার জেলা-উপজেলায়ও নতুন করে কোন্দল রয়েছে। এই কোন্দল নিরসনসহ দল গোছাতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। বিশেষ দুর্গম চরাঞ্চলে সাংগঠনিক শক্তি জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সূত্রমতে, বৈঠকে রংপুর মহানগরীর ছয় থানা কমিটি অনুমোদনের ক্ষমতা খর্ব করা হয় মহানগর আওয়ামী লীগের, যা এখন কেন্দ্রীয় কমিটি করবে। একইভাবে কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া কোনো জেলা কমিটি উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন কিংবা ভাঙতে পারবে না এবং কাউকে পদ থেকে অব্যাহতিও দিতে পারবে না বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রংপুর মহানগর কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও ফের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মহানগরের ছয় থানা কমিটি গঠনের এক বছর পার হলেও অনুমোদন না দেওয়া, আহ্বায়কের একক সিদ্ধান্তে বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করাসহ নানা কারণে দলের ভেতরে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়। দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে চরম স্থবিরতা বিরাজ করে, নেতকর্মীর মাঝেও দেখা দেয় বিভক্তি। গতকালের বৈঠকে এই বিষয়গুলো তুলে ধরে স্থানীয় নেতারা এর অবসানে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চান। এই অবস্থায় কেন্দ্র থেকে থানা কমিটি অনুমোদনের ওই সিদ্ধান্ত আসে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সমকালকে বলেন, অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করা হয়েছে। যেখানে দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল ও মতানৈক্য দূর করে দলকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে জেলা-উপজেলা নেতাকর্মীর ভূমিকা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দলের পঞ্চগড় জেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের কোনো নেতা কিংবা এমপি উপজেলায় চেয়ারম্যান বা কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবেন না।

দলের রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রংপুরসহ বিভাগের কিছু কিছু সাংগঠনিক জেলায় সমস্যা আছে। যার সমাধানে বৈঠকে নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এ ছাড়া থানা বা উপজেলা কমিটি গঠন বা ভাঙতেও কেন্দ্রের নির্দেশনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

নীলফামারী জেলা সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ এবং লালমনিরহাট জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান এমপি জানান, বৈঠকে দলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা জানান, আগামী নির্বাচনগুলো যাতে করে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য সব নেতাকর্মীকে সজাগ থাকাসহ সংসদ নির্বাচন নিয়েও মনোক্ষণ্ন কিংবা হতাশা না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই রকম কথা জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা সাধারণ সম্পাদক দীপক রায় ও কুড়িগ্রাম জেলার সহসভাপতি সাঈদ হাসান লোবান।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

এমপি-নেতারা প্রার্থী দিতে পারবেন না উপজেলায়

আপলোড সময় : 12:25:54 pm, Monday, 1 April 2024

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র এমপিরা কাউকেই প্রার্থী করতে পারবেন না। দলের জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বশীল কোনো নেতাও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবেন না। তবে স্থানীয় কোনো নেতা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। তবে দল থেকে কোনো অবস্থায়ই কাউকে সমর্থন করা যাবে না।

গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের লক্ষ্যে সিরিজ বৈঠকের প্রথম দিনে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে রংপুরের কেন্দ্রীয় বিভাগীয় নেতারা ছাড়াও ৯টি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর নেতারা এবং দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের ডাকা হয়েছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া কেন্দ্রীয় ও জেলার কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ, উন্মুক্ত নির্বাচনে কাউকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না। এই অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিরাসহ স্থানীয় নেতারা যার যার মতো করে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব ধরে রাখতে কিংবা নতুন করে প্রভাব বলয় গড়ে তুলতে উপজেলায় পছন্দের নেতাদের প্রার্থী করার এই প্রবণতাকে ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় দলের মধ্যে নতুন করে দ্বন্দ্ব-কোন্দল দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিসহ স্থানীয় নেতাদের প্রার্থী ঘোষণার ওপর নিষেধাজ্ঞা এলো।

এর আগে সূচনা বক্তব্যে বৈঠকের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার বা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না বলে জানান। পরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সব ধরনের দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের কঠোর তাগিদের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচন প্রভাবিত করতে এমপি কিংবা নেতাদের কারও হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করে দেন।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো আগামীতে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তাই এসব নির্বাচনকে ঘিরে দ্বন্দ্ব-কোন্দলের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। দলীয় কোন্দলের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ও উন্নয়ন কর্মককাণ্ড ম্লান না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা আরও জানান, রংপুর মহানগরসহ রংপুরের মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, পীরগঞ্জ, কাউনিয়া ও পীরগাছায় আওয়ামী লীগে আগে থেকেই অন্তর্কোন্দল রয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধার জেলা-উপজেলায়ও নতুন করে কোন্দল রয়েছে। এই কোন্দল নিরসনসহ দল গোছাতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। বিশেষ দুর্গম চরাঞ্চলে সাংগঠনিক শক্তি জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সূত্রমতে, বৈঠকে রংপুর মহানগরীর ছয় থানা কমিটি অনুমোদনের ক্ষমতা খর্ব করা হয় মহানগর আওয়ামী লীগের, যা এখন কেন্দ্রীয় কমিটি করবে। একইভাবে কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া কোনো জেলা কমিটি উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন কিংবা ভাঙতে পারবে না এবং কাউকে পদ থেকে অব্যাহতিও দিতে পারবে না বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রংপুর মহানগর কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও ফের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মহানগরের ছয় থানা কমিটি গঠনের এক বছর পার হলেও অনুমোদন না দেওয়া, আহ্বায়কের একক সিদ্ধান্তে বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করাসহ নানা কারণে দলের ভেতরে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়। দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে চরম স্থবিরতা বিরাজ করে, নেতকর্মীর মাঝেও দেখা দেয় বিভক্তি। গতকালের বৈঠকে এই বিষয়গুলো তুলে ধরে স্থানীয় নেতারা এর অবসানে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চান। এই অবস্থায় কেন্দ্র থেকে থানা কমিটি অনুমোদনের ওই সিদ্ধান্ত আসে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সমকালকে বলেন, অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করা হয়েছে। যেখানে দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল ও মতানৈক্য দূর করে দলকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে জেলা-উপজেলা নেতাকর্মীর ভূমিকা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দলের পঞ্চগড় জেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের কোনো নেতা কিংবা এমপি উপজেলায় চেয়ারম্যান বা কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবেন না।

দলের রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রংপুরসহ বিভাগের কিছু কিছু সাংগঠনিক জেলায় সমস্যা আছে। যার সমাধানে বৈঠকে নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এ ছাড়া থানা বা উপজেলা কমিটি গঠন বা ভাঙতেও কেন্দ্রের নির্দেশনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

নীলফামারী জেলা সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ এবং লালমনিরহাট জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান এমপি জানান, বৈঠকে দলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা জানান, আগামী নির্বাচনগুলো যাতে করে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য সব নেতাকর্মীকে সজাগ থাকাসহ সংসদ নির্বাচন নিয়েও মনোক্ষণ্ন কিংবা হতাশা না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই রকম কথা জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা সাধারণ সম্পাদক দীপক রায় ও কুড়িগ্রাম জেলার সহসভাপতি সাঈদ হাসান লোবান।