কুমিল্লার দেবিদ্বারে অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এবং ফিজিশিয়ান স্যাম্পল প্রদর্শণ, সংরক্ষণ ও বিক্রি দায়ে এ জরিমানা করা হয়। এ সময় জব্দকৃত ওষুধগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।
মেয়াদোত্তীর্ণ ও অননুমোদিত ওষুধ রাখায় তিন ফার্মেসী মালিককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে নিউমার্কেট এলাকার সরকারি হাসপাতালের সামনে তিন ফার্মেসী মালিককে মোট ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
এসময় কুমিল্লার ওষুধ প্রশাসনের সহকারি পরিচালক সালমা সিদ্দিকা, দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বাকের হোসেন, উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর কামরুন্নাহারসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালের সামনে শালঘর ফার্মেসীতে অননুমোদিত ওষুধ রাখায় ফার্মেসীর মালিক আতিকুর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা, গোমতী ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় মালিক মো.রফিকুল ইসলামকে ৩০ হাজার টাকা ও সেবা ফার্মেসীতে ওষুধ ফ্রিজিং না করায় মালিক কাজী আব্দুল মবিনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান,দেবিদ্বারে অবাধে গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন ওষুধের ফার্মেসি। এসব ফার্মেসিগুলোতে মেয়াদ উত্তীর্ণ, নকল এবং অবৈধভাবে আসা বিভিন্ন দেশের ওষুধ বিক্রয় হয়। অনেক চিকিৎসক কোম্পানীর কমিশনের লোভে প্রেসক্রিপসনে অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লেখেন। আমরা না বুঝেই এসব ওষুধ কিনে খাই।
গ্রীণ ফার্মেসীর মালিক মো.আবদুল খালেক বাবুল ও সেবা ফার্মেসীর মালিক কাজী আব্দুল মবিন জানান, চিকিৎসকরা এমন কিছু ওষুধের নাম লেখেন যার অনুমোদন না থাকলেও ক্রেতার সুবিধার্থে আমরা রাখতে বাধ্য হই। আমরা আসলে জানিনা তিনি চিকিৎসক হয়ে এমন ওষুধ কেন লেখেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, দেবিদ্বারে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অননুমোদিত ওষুধ রাখায় তিন ফার্মেসী মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। ফার্মেসী মালিকদের সর্তক করা হয়েছে। জন স্বার্থে এমন অভিযান নিয়মিত চলবে।
কুমিল্লা ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক সালমা সিদ্দিকা বলেন, কুমিলা ঔষধ প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। দেবিদ্বারে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অধিকাংশ ফার্মেসি মালিক দোকান বন্ধ করে পালিয়ে গিয়েছে। অভিযান চলাকালে তিনটি ফার্মেসিতে অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এবং ফিজিশিয়ান স্যাম্পল প্রদর্শণ, সংরক্ষণ করা দেখতে পাই। এ কারণে জরিমানাসহ ভবিষ্যতে ওইসব ঔষধ বিক্রি না করতে বলা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান নিয়মিত চলমান থাকবে।