Dhaka 11:07 am, Monday, 23 December 2024

রাজশাহীতে সাংবাদিক হাসান মীরের ইন্তেকাল

স্বনামধন্য বেতার ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক হাসান মীর আর নেই। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। রোববার বেলা ১১টায় তার মরদেহ রাজশাহী নগরের রাণীবাজারের বাসভবন ‘সাকুরা’তে আনা হয়। দুপুর একটা পর্যন্ত আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খিরা তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাদ জোহর জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফনের জন্য কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর-মোসলেমপুর নিজ গ্রামে নেওয়া হয়।

বাদ মাগরিব পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে দাফন করার কথা রয়েছে। হাসান মীর স্ত্রী, এক ছেলে, চার মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মীর হাসান ইউনুস সংক্ষেপে হয়েছেন হাসান মীর। জন্ম ১৯৪১ সালে। কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬১ সালে ঢাকায় পিলখানায় তৎকালীন ইপিআর-এ সিগনালম্যান সিপাই হিসেবে। এরপর নানা পথঘাট ঘুরে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বেতারের বার্তাবিভাগে যোগদান করেন এবং এই চাকরির সুবাদেই রেডিও জাপান এনএইইচকে-এর বিদেশি ভাষা বিভাগে কাজ করার সুযোগ ঘটে।

চাকরিরত অবস্থায় করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন হাসান মীর।

চাকরিজীবন শেষে রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক প্রথম প্রভাত (পরবর্তীতে নতুন প্রভাত) পত্রিকায় নিয়মিত ‘আজকের রাজশাহী’ নামে কলাম লিখতেন। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ চেনা-অচেনা, কাঁচের খরগোশ, জাপানের রূপকথা, হিরোশিমা-নাগাসাকি ও প্রাচীন জাপানি গল্প।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

রাজশাহীতে সাংবাদিক হাসান মীরের ইন্তেকাল

আপলোড সময় : 08:51:25 pm, Sunday, 24 November 2024

স্বনামধন্য বেতার ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক হাসান মীর আর নেই। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। রোববার বেলা ১১টায় তার মরদেহ রাজশাহী নগরের রাণীবাজারের বাসভবন ‘সাকুরা’তে আনা হয়। দুপুর একটা পর্যন্ত আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খিরা তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাদ জোহর জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফনের জন্য কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর-মোসলেমপুর নিজ গ্রামে নেওয়া হয়।

বাদ মাগরিব পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে দাফন করার কথা রয়েছে। হাসান মীর স্ত্রী, এক ছেলে, চার মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মীর হাসান ইউনুস সংক্ষেপে হয়েছেন হাসান মীর। জন্ম ১৯৪১ সালে। কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬১ সালে ঢাকায় পিলখানায় তৎকালীন ইপিআর-এ সিগনালম্যান সিপাই হিসেবে। এরপর নানা পথঘাট ঘুরে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বেতারের বার্তাবিভাগে যোগদান করেন এবং এই চাকরির সুবাদেই রেডিও জাপান এনএইইচকে-এর বিদেশি ভাষা বিভাগে কাজ করার সুযোগ ঘটে।

চাকরিরত অবস্থায় করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন হাসান মীর।

চাকরিজীবন শেষে রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক প্রথম প্রভাত (পরবর্তীতে নতুন প্রভাত) পত্রিকায় নিয়মিত ‘আজকের রাজশাহী’ নামে কলাম লিখতেন। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ চেনা-অচেনা, কাঁচের খরগোশ, জাপানের রূপকথা, হিরোশিমা-নাগাসাকি ও প্রাচীন জাপানি গল্প।