কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনের আ’লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের ভাতিজা ঠিকাদার তোফায়েল হোসেন (৫০) কে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
পুলিশ সুপার, কুমিল্লা’র দিকনির্দেশনায় ও সহ: পুলিশ সুপার (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে এবং অফিসার ইনচার্জ চৌদ্দগ্রাম থানার সার্বিক সহায়তায় চৌদ্দগ্রাম থানার অন্তর্গত শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামে গত (১৩নভেম্বর) বুধবার রাতে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে আলোচিত চৌদ্দগ্রামে ৮ বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার (এইট মার্ডার) ঘটনায় মামলার এজাহার ভুক্ত ১৫নং আসামী তোফায়েল হোসেনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী তোফায়েল হোসেন বসুয়ারা গ্রামের মৃত আম্বর আলীর ছেলে এবং উপজেলা আ’লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। মুজিবুল হকের আত্মীয় হওয়ায় বিগত সময়ে তাঁর হয়ে চৌদ্দগ্রামের ঠিকাদারিসহ চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ আছে তোফায়েল হোসেনের হোসেনের বিরুদ্ধে।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রামে জগমোহনপুর এলাকায় ৮ ঘুমন্ত বাস যাত্রীকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।সেময় সময় মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও চৌদ্দগ্রামের সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, দলের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, রুহুল কবির রিজভী ও সালাহ উদ্দিন আহমেদকে হুকুমের আসামি করা হয়। দুটি মামলায় ১১২ জনের নাম উল্লেখসহ ১৪২ জনকে আসামী করা হয়।
৫ আগস্টের সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর গত ১১ সেপ্টেম্বর বাসের পরিচালক মোঃ আবুল খায়ের বাদী হয়ে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হককে প্রধান আসামী করে ১৯০ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেটের ৫নং আমলী আদালতে পৃথক আরো একটি মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ এটিএম আক্তার উজ্জামান বলেন, ২০১৫ সালে চৌদ্দগ্রামে ৮ বাস যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার (এইট মার্ডার) ঘটনায় মামলার গ্রেফতারকৃত আসামী তোফায়েল হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।