Dhaka 7:24 pm, Tuesday, 24 December 2024
বেকিং নিউজ :
Logo বাঘায় অবৈধ পুকুর খননে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা Logo লালমোহনে ফুটপাতের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান Logo বাউফলে সাদপন্থি তাবলীগ জামাতের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo বড়দিন উপলক্ষে বুধবার বন্ধ থাকবে বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি Logo Tratar para Recursos Real en Casino con manga larga Facultad Logo গোদাগাড়ীতে রাত হলেই শুরু হয় পুকুর খননের মহাউৎসব,নিরব ভূমিকায় প্রশাসন Logo ময়মনসিংহে সরকারী দপ্তর থেকে বিদেশি পিস্তলসহ বিপুল অস্ত্র-মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ Logo রাজশাহী জেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত-সভাপতি আসাদ-সম্পাদক আখতার Logo লালমোহন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ফল প্রকাশ ও অভিভাবক সমাবেশ Logo বাউফলে ফ্লিম্মি ষ্টাইলে ধান ও মাছ লুটের অভিযোগ

ধাদাশ টু মহাকাশ জ্ঞানের আলো এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু

ট্রেনের নাম জ্ঞানের আলো এক্সপ্রেস। টেনটি যাত্রা শুরু করে কলকাকলি স্টেশন থেকে। চলাচল করে ধাদাশ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত। এ ট্রেনের তিনটি বগি রয়েছে। তবে এটি কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন নয়। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটি একটি স্কুলভবন।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ধাদাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ট্রেনের আদলে সাজানো হয়েছে। মূলত শিক্ষার্থীদের স্কুলের প্রতি আকৃষ্ট করতেই এমন উদ্যোগ।

বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে,সুন্দর করে সাজানো স্কুলটি। স্কুলে প্রবেশ পথে দেখা মিলবে একটি বিশ্ব মানচিত্রের গ্লোব। এর পাশেই একটি ভাবন। সে ভবনে রয়েছে প্রাক-প্রাথমিক ও শিশু শ্রেণির ক্লাস রুম। প্রতিটি ক্লাসরুম বেশ সাজানো। দেয়ালে আঁকা বিভিন্ন চিত্র থেকে পড়ানো হয় শিশুদের। এক পাশে রাখা আছে শিশুদের জন্য খেলার সব সামগ্রী। এসব ভবনের ছাদে আঁকা আছে মহাকাশ। পাশের দেওয়ালে আঁকা আছে মিনা-রাজুসহ বেশকিছু কার্টুন।

ভবনের ঠিক উল্টো পাশে ট্রেনের আদলে ভবন। দেওয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ট্রেনের আকার। রঙ দিয়ে বানানো হয়েছে কাঁচের জানালাও। ভবনের টিনের সঙ্গে একটি বোর্ডে লিখা আছে কলকাকলি স্টেশন। পাশে একটি কাগজের ওপর লেখা ‘জ্ঞানের আলো এক্সপ্রেস’। লাগানো আছে বগি নম্বর। সেই বগির নম্বর দেওয়া হয়েছে ৬২০৫। পাশেই লেখা আছে গন্তব্য ধাদাশ টু মহাকাশ। তার একটু দূরে লেখা আছে আরেকটি বগি নম্বর। সেটির নম্বর ৬২৭১। মূলত এসব বাগি হলো এক একটি ক্লাস রুম। এ ট্রেনে তিনটি ক্লাসরুম রয়েছে।

স্কুলের শিক্ষার্থীরা বলেন,আমাদের আগে ক্লাসরুম ভালো লাগতো না। এখন বেশ ভালো লাগে। এটির জন্য সাবই আগে ক্লাসে চলে আসি।এখন আমাদের খুব ভালো লাগে। মনে হয় ট্রেনে চড়ে ক্লাস করছি।

স্কুলটির শিক্ষিকা ফারজানা খাতুন বলেন,আসলে ভবনটি অনেক পুরাতন। এটি দেখতেও খারাপ লাগতো। প্রধান শিক্ষিকা এটি নিয়ে একটি আইডিয়া চান। পরে এটিকে নিয়ে বানান। এটি বানানোর পর অনেক ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে সত্যি সত্যি ট্রেন। আসলে এটি একটি রূপক ট্রেন। এটি হবার পর শিক্ষার্থীরা অনেক আগ্রহী হয়েছে। তারাও ক্লাসে আসছে। আমাদেরও বেশ ভালো লাগছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা খাতুন বলেন,কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এখান থেকে শুরু করে আরও বড় বড় জায়গাতে যাবে। এ চিন্তা থেকেই এটি করা হয়েছে।

তিনি বলেন,শিক্ষার্থীদের এ ভবনটি নষ্ট ছিল। আমাদের নতুন ভবনগুলো বেশ ভালো। তাদেরগুলো অনেক সুন্দর কিন্তু পুরাতন এ ভবনটি এতটা ভালো ছিল না। তাই তারা একদিন আমার কাছে দাবি করে এটি নতুনের মত করে দিতে। পরে তারা কেউ মহাকাশ চাই। কেই বাঘ, কেউ এরোপ্লেন চাই। সব ভেবে আমার ট্রেন বানিয়েছি। এটি হবার পর থেকে আমাদের উপস্থিত হার বেড়েছে। মূলত ছাত্রদের স্কুল মুখি করতে এমন কাজ করা হচ্ছে।

Write Your Comment

About Author Information

জনপ্রিয়

বাঘায় অবৈধ পুকুর খননে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

ধাদাশ টু মহাকাশ জ্ঞানের আলো এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু

আপলোড সময় : 10:21:26 pm, Wednesday, 13 November 2024

ট্রেনের নাম জ্ঞানের আলো এক্সপ্রেস। টেনটি যাত্রা শুরু করে কলকাকলি স্টেশন থেকে। চলাচল করে ধাদাশ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত। এ ট্রেনের তিনটি বগি রয়েছে। তবে এটি কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন নয়। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটি একটি স্কুলভবন।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ধাদাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ট্রেনের আদলে সাজানো হয়েছে। মূলত শিক্ষার্থীদের স্কুলের প্রতি আকৃষ্ট করতেই এমন উদ্যোগ।

বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে,সুন্দর করে সাজানো স্কুলটি। স্কুলে প্রবেশ পথে দেখা মিলবে একটি বিশ্ব মানচিত্রের গ্লোব। এর পাশেই একটি ভাবন। সে ভবনে রয়েছে প্রাক-প্রাথমিক ও শিশু শ্রেণির ক্লাস রুম। প্রতিটি ক্লাসরুম বেশ সাজানো। দেয়ালে আঁকা বিভিন্ন চিত্র থেকে পড়ানো হয় শিশুদের। এক পাশে রাখা আছে শিশুদের জন্য খেলার সব সামগ্রী। এসব ভবনের ছাদে আঁকা আছে মহাকাশ। পাশের দেওয়ালে আঁকা আছে মিনা-রাজুসহ বেশকিছু কার্টুন।

ভবনের ঠিক উল্টো পাশে ট্রেনের আদলে ভবন। দেওয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ট্রেনের আকার। রঙ দিয়ে বানানো হয়েছে কাঁচের জানালাও। ভবনের টিনের সঙ্গে একটি বোর্ডে লিখা আছে কলকাকলি স্টেশন। পাশে একটি কাগজের ওপর লেখা ‘জ্ঞানের আলো এক্সপ্রেস’। লাগানো আছে বগি নম্বর। সেই বগির নম্বর দেওয়া হয়েছে ৬২০৫। পাশেই লেখা আছে গন্তব্য ধাদাশ টু মহাকাশ। তার একটু দূরে লেখা আছে আরেকটি বগি নম্বর। সেটির নম্বর ৬২৭১। মূলত এসব বাগি হলো এক একটি ক্লাস রুম। এ ট্রেনে তিনটি ক্লাসরুম রয়েছে।

স্কুলের শিক্ষার্থীরা বলেন,আমাদের আগে ক্লাসরুম ভালো লাগতো না। এখন বেশ ভালো লাগে। এটির জন্য সাবই আগে ক্লাসে চলে আসি।এখন আমাদের খুব ভালো লাগে। মনে হয় ট্রেনে চড়ে ক্লাস করছি।

স্কুলটির শিক্ষিকা ফারজানা খাতুন বলেন,আসলে ভবনটি অনেক পুরাতন। এটি দেখতেও খারাপ লাগতো। প্রধান শিক্ষিকা এটি নিয়ে একটি আইডিয়া চান। পরে এটিকে নিয়ে বানান। এটি বানানোর পর অনেক ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে সত্যি সত্যি ট্রেন। আসলে এটি একটি রূপক ট্রেন। এটি হবার পর শিক্ষার্থীরা অনেক আগ্রহী হয়েছে। তারাও ক্লাসে আসছে। আমাদেরও বেশ ভালো লাগছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা খাতুন বলেন,কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এখান থেকে শুরু করে আরও বড় বড় জায়গাতে যাবে। এ চিন্তা থেকেই এটি করা হয়েছে।

তিনি বলেন,শিক্ষার্থীদের এ ভবনটি নষ্ট ছিল। আমাদের নতুন ভবনগুলো বেশ ভালো। তাদেরগুলো অনেক সুন্দর কিন্তু পুরাতন এ ভবনটি এতটা ভালো ছিল না। তাই তারা একদিন আমার কাছে দাবি করে এটি নতুনের মত করে দিতে। পরে তারা কেউ মহাকাশ চাই। কেই বাঘ, কেউ এরোপ্লেন চাই। সব ভেবে আমার ট্রেন বানিয়েছি। এটি হবার পর থেকে আমাদের উপস্থিত হার বেড়েছে। মূলত ছাত্রদের স্কুল মুখি করতে এমন কাজ করা হচ্ছে।