Dhaka 11:36 am, Sunday, 22 December 2024

বাউফলে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পটুয়াখালীর বাউফলে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জাহাঙ্গীর হোসেন (৬০) নামে এক ভুক্তোভোগী।

বাউফল পৌরসভার ৮ নস্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। সোমবার দুপুরে বাউফল পৌরসভার হাসপাতাল সড়কের একটি হোটেলের একটি কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এ সময় জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নাজিরপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওসমান মৃধার মৃত্যুর পরে পটুয়াখালী আদালত কর্তৃক তাঁর নাবালক দুই ছেলে মো. রফিক ও শফিক এবং কন্যা সামচুন্নাহারের অভিভাবকশীপ আদেশ প্রাপ্ত হয়ে ওসমানের স্ত্রী জমিলা খাতুন দাতা হয়ে একই বাড়ীর মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুর রহিমের কাছে ১৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। পরবর্তীতে আব্দুর রহিম দাতা হয়ে ওই জমি থেকে মো. এমদাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছে ৮.৫০ শতাংশ ও মো. বেলায়েত হোসেন নামে অপর একজনের কাছে ৩.৫০ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। এরপর মো. বেলায়েতের কাছ থেকেও আবার ওই ৩.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন এমদাদ হোসেন। পরবর্তীতে মো. এমদাদ হোসেন ও তার ভাই মো. মিজানুর রহমান এবং মা ভানু বিবি ও মামী সাফিয়া খাতুনের কাছ থেকে ১৯৯০ সালের ২৮ অক্টোবর বাউফল পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৌজা- ৮৬, খতিয়ান-৭৩৬, দাগ নং- ৫৩৪৪, ৫৩৮৫, ৫৩৮৬ থেকে মোট ২৩.৫০ শতাংশ জমি আমি( জাহাঙ্গীর হোসেন) ক্রয় করি । যা দীর্ঘ ৩৪ বছর পর্যন্ত ভোগদখল করে আসছি। গত ৮ আগষ্ট দুপুর ২ টার দিকে অভিভাবকশীপ প্রাপ্ত হয়ে জমিলা খাতুনের বিক্রি করা ওই জমিতে তার ছেলে মো. রফিক ও মো. শফিক এবং মেয়ে মোসা. শামচুন্নাহারের নেতৃত্বে স্থানীয় জয়নাল আবেদিনের ছেলে মোঃ মজিবর মোল্লা এবং জব্বার মাতুব্বরের ছেলে মোঃ সহিদুল ইসলামসহ ১৫/২০ জনের একটি দল আমার বসতঘরের সামনে দখলীয় ওই জমিতে হঠাৎ করে জোরপূর্বক একটি টিনের ছাপড়া ঘর তুলে দখল করেন। এ বিষয় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

বাউফলে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপলোড সময় : 09:27:36 pm, Monday, 7 October 2024

পটুয়াখালীর বাউফলে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জাহাঙ্গীর হোসেন (৬০) নামে এক ভুক্তোভোগী।

বাউফল পৌরসভার ৮ নস্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। সোমবার দুপুরে বাউফল পৌরসভার হাসপাতাল সড়কের একটি হোটেলের একটি কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এ সময় জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নাজিরপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওসমান মৃধার মৃত্যুর পরে পটুয়াখালী আদালত কর্তৃক তাঁর নাবালক দুই ছেলে মো. রফিক ও শফিক এবং কন্যা সামচুন্নাহারের অভিভাবকশীপ আদেশ প্রাপ্ত হয়ে ওসমানের স্ত্রী জমিলা খাতুন দাতা হয়ে একই বাড়ীর মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুর রহিমের কাছে ১৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। পরবর্তীতে আব্দুর রহিম দাতা হয়ে ওই জমি থেকে মো. এমদাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছে ৮.৫০ শতাংশ ও মো. বেলায়েত হোসেন নামে অপর একজনের কাছে ৩.৫০ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। এরপর মো. বেলায়েতের কাছ থেকেও আবার ওই ৩.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন এমদাদ হোসেন। পরবর্তীতে মো. এমদাদ হোসেন ও তার ভাই মো. মিজানুর রহমান এবং মা ভানু বিবি ও মামী সাফিয়া খাতুনের কাছ থেকে ১৯৯০ সালের ২৮ অক্টোবর বাউফল পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৌজা- ৮৬, খতিয়ান-৭৩৬, দাগ নং- ৫৩৪৪, ৫৩৮৫, ৫৩৮৬ থেকে মোট ২৩.৫০ শতাংশ জমি আমি( জাহাঙ্গীর হোসেন) ক্রয় করি । যা দীর্ঘ ৩৪ বছর পর্যন্ত ভোগদখল করে আসছি। গত ৮ আগষ্ট দুপুর ২ টার দিকে অভিভাবকশীপ প্রাপ্ত হয়ে জমিলা খাতুনের বিক্রি করা ওই জমিতে তার ছেলে মো. রফিক ও মো. শফিক এবং মেয়ে মোসা. শামচুন্নাহারের নেতৃত্বে স্থানীয় জয়নাল আবেদিনের ছেলে মোঃ মজিবর মোল্লা এবং জব্বার মাতুব্বরের ছেলে মোঃ সহিদুল ইসলামসহ ১৫/২০ জনের একটি দল আমার বসতঘরের সামনে দখলীয় ওই জমিতে হঠাৎ করে জোরপূর্বক একটি টিনের ছাপড়া ঘর তুলে দখল করেন। এ বিষয় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।