Dhaka 10:42 pm, Monday, 30 December 2024

রাজশাহীতে বিতর্কিত আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তাফিজের মাদক সেবনের ভিডিও নিয়ে তোলপাড়  

রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসার নামে ফুটপাত থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া প্রতারক গ্রীণ প্লাজা রিয়েল অ্যাস্টেট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি)মোস্তাফিজুর রহমানের জুয়া ও মাদক সেবনের ভিডিও নিয়ে রাজশাহীতে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি করেছে।

সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও স্বপ্নের বাংলাদেশ পএিকার হাতে এসে পৌঁছিছে।

এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন নেতাদের অর্থের যোগান দিয়েছেন এই মোস্তাফিজুর রহমান।

মাদক সেবনের ১০ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়,
মোস্তাফিজুর রহমানসহ আরো তিনজন ব্যক্তি একটি কক্ষে জুয়া খেলার পাশাপাশি ইয়াবা সেবনে একসাথে মাদক আড্ডায় মেতে উঠেছে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তাদের এমন মাদক সেবনের কর্মকাণ্ড। ভিডিওটিতে মোস্তাফিজুর রহমান কক্ষে থাকা সিসি ক্যামেরা দেখিয়ে বাকি তিন জনকে সতর্ক করতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন,মোস্তাফিজুর রহমান
নিয়মিত মাদক সেবনের সাথে জড়িত।প্রায় সময়ই মাদকের আড্ডা বসায়। এতে যোগ দেয় অনন্য বহিরা গতরাও। তাদের এমন কর্মকাণ্ড চললেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভয়ে এতেদিন কেউ মুখ খুলতে পারেনা বলে অভিযোগ তাদের।

প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ীর প্রকাশ্যে এমন মাদক সেবনের চিত্র রাজশাহীতে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

উল্লেখ্য,চলতি বছরের ২৬ শে মার্চ আবাসন ব্যবসার নামে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারিত গ্রাহকদের দায়ের করা মামলায় নগরীর বোয়ালিয়া থানায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।এছাড়াও বিভিন্ন সময় নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে একাধিকবার গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন তিনি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা জায়,একযুগ আগেও রাজশাহীর একটি বেসরকারি কোম্পানির অফিস সহকারী (পিওন)পদে চাকরি করতেন এই মোস্তাফিজুর রহমান।পড়াশোনার খরচ জোগাতে হিমশিম খাওয়া মোস্তাফিজুর রহমান এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে আশ্রয় নেন।এর পর তাদের সাথে প্রতারণা করে ৯০ লাখ টাকা এবং ৩ কাঠার একটি প্লট আবাসন ব্যবসার নামে হাতিয়ে নেন।এরপর থেকে মোস্তাফিজুর রহমানের উত্থান শুরু।একের পর এক প্রতারণা করে মাত্র পাঁচ থেকে সাত বছরের মাথায় ফুটপাত থেকে উঠে আসা প্রতারক মোস্তাফিজ হয়ে যান কয়েক কোটি টাকার মালিক। চড়েন বিলাসবহুল গাড়িতে।

এছাড়াও রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের মতো প্রতিষ্ঠানে পরিচালকের পদও বাগিয়ে নিয়েছিলেন এই মোস্তাফিজুর রহমান।দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্মের মূল হোতা  মোস্তাফিজুর রহমানের বেপরোয়া জীবনযাপনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজশাহীর সুশীল সমাজ।সেই সাথে অতি দ্রুত মুস্তাফিজুর রহমানকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানান তারা।

ভিডিও সত্যতা জানতে,গ্রীণ প্লাজা রিয়েল অ্যাস্টেট
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)মোস্তাফিজুর রহমানকে মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Write Your Comment

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

রাজশাহীতে বিতর্কিত আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তাফিজের মাদক সেবনের ভিডিও নিয়ে তোলপাড়  

আপলোড সময় : 05:54:31 pm, Sunday, 6 October 2024

রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসার নামে ফুটপাত থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া প্রতারক গ্রীণ প্লাজা রিয়েল অ্যাস্টেট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি)মোস্তাফিজুর রহমানের জুয়া ও মাদক সেবনের ভিডিও নিয়ে রাজশাহীতে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি করেছে।

সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও স্বপ্নের বাংলাদেশ পএিকার হাতে এসে পৌঁছিছে।

এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন নেতাদের অর্থের যোগান দিয়েছেন এই মোস্তাফিজুর রহমান।

মাদক সেবনের ১০ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়,
মোস্তাফিজুর রহমানসহ আরো তিনজন ব্যক্তি একটি কক্ষে জুয়া খেলার পাশাপাশি ইয়াবা সেবনে একসাথে মাদক আড্ডায় মেতে উঠেছে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তাদের এমন মাদক সেবনের কর্মকাণ্ড। ভিডিওটিতে মোস্তাফিজুর রহমান কক্ষে থাকা সিসি ক্যামেরা দেখিয়ে বাকি তিন জনকে সতর্ক করতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন,মোস্তাফিজুর রহমান
নিয়মিত মাদক সেবনের সাথে জড়িত।প্রায় সময়ই মাদকের আড্ডা বসায়। এতে যোগ দেয় অনন্য বহিরা গতরাও। তাদের এমন কর্মকাণ্ড চললেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভয়ে এতেদিন কেউ মুখ খুলতে পারেনা বলে অভিযোগ তাদের।

প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ীর প্রকাশ্যে এমন মাদক সেবনের চিত্র রাজশাহীতে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

উল্লেখ্য,চলতি বছরের ২৬ শে মার্চ আবাসন ব্যবসার নামে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারিত গ্রাহকদের দায়ের করা মামলায় নগরীর বোয়ালিয়া থানায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।এছাড়াও বিভিন্ন সময় নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে একাধিকবার গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন তিনি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা জায়,একযুগ আগেও রাজশাহীর একটি বেসরকারি কোম্পানির অফিস সহকারী (পিওন)পদে চাকরি করতেন এই মোস্তাফিজুর রহমান।পড়াশোনার খরচ জোগাতে হিমশিম খাওয়া মোস্তাফিজুর রহমান এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে আশ্রয় নেন।এর পর তাদের সাথে প্রতারণা করে ৯০ লাখ টাকা এবং ৩ কাঠার একটি প্লট আবাসন ব্যবসার নামে হাতিয়ে নেন।এরপর থেকে মোস্তাফিজুর রহমানের উত্থান শুরু।একের পর এক প্রতারণা করে মাত্র পাঁচ থেকে সাত বছরের মাথায় ফুটপাত থেকে উঠে আসা প্রতারক মোস্তাফিজ হয়ে যান কয়েক কোটি টাকার মালিক। চড়েন বিলাসবহুল গাড়িতে।

এছাড়াও রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের মতো প্রতিষ্ঠানে পরিচালকের পদও বাগিয়ে নিয়েছিলেন এই মোস্তাফিজুর রহমান।দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্মের মূল হোতা  মোস্তাফিজুর রহমানের বেপরোয়া জীবনযাপনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজশাহীর সুশীল সমাজ।সেই সাথে অতি দ্রুত মুস্তাফিজুর রহমানকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানান তারা।

ভিডিও সত্যতা জানতে,গ্রীণ প্লাজা রিয়েল অ্যাস্টেট
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)মোস্তাফিজুর রহমানকে মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।