ভুয়া মেজর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রাজশাহী মহানগরীর ঢাকা বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নগরীর মতিহার থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তর করে।
গ্রেপ্তারকৃত চিন্তাহরন বিশ্বাস (৩৯)। তিনি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার থলপাড়ার মহেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে।
নগর পুলিশ জানায়,চিন্তাহরন হিন্দু ধর্মের অনুসারী হয়েও মো: রোয়ান সিকদার নামে একটি ভুয়া ফেইসবুক আইডি খোলেন। পাঁচ মাস পূর্বে এই ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে পরিচিত হন। তখন তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দেয় এবং সেনাবাহিনীর অধীনে ক্যালিফোর্নিয়াতে পিএইচডি করছে বলে জানায় ।
এছাড়াও বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা,বড় ভাই পুলিশ সুপার,ভাবি মেডিকেলে পড়াশোনা করেন এবং মা-বোন ডাক্তার এসকল কথা বলে চিন্তাহরন ঐ ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিয়ের প্রলোভন দেন। একপর্যায়ে সেই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সাথেও সখ্যতা গড়ে উঠে তার। সেই সুবাদে চিন্তা হরন ভুক্তভোগী সেই ছাত্রীর দুলাভাইকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকরির প্রলোভন দেন। এজন্য চিন্তা হরণ ঐ পরিবারের কাছ থেকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকা নেন।
এদিকে চাকরি না দিয়ে আরও তিন লক্ষ টাকা লাগবে বলে চাপ দিতে থাকেন। চিন্তাহরনের এমন আচরণে ওই ছাত্রীসহ তার পরিবারের সন্দেহ হলে তাঁরা মতিহার থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।
উক্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আরএমপি’র মতিহার বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মধুসুদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মতিহার থানা পুলিশের একটি টিম বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন।
নগরীর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: মোবারক পারভেজের দিকনির্দেশনায় পুলিশের একটি দল ফেসবুকে সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে পরিচয়দাকারী রোহানের প্রকৃত পরিচয় শনাক্ত করে।
এরপর কৌশলে চিন্তাহরনকে টাঙ্গাইল থেকে রাজশাহীতে ডেকে এনে শনিবার বিকাল পৌনে ৬ টায় গ্রেপ্তার করা হয়। চিন্তাহরনের বিরুদ্ধে একই অপরাধে সিলেট মেট্রোপলিটনের শাহপরান থানায় আরও একটি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি চিন্তাহরনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে কখনো নিজেকে সেনাবাহিনীর কিংবা পুলিশের ঊর্ধ্বতন অফিসার বা আত্মীয়র পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আরএমপি’র মতিহার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।