Dhaka 7:02 am, Sunday, 22 December 2024

প্রতিটি খুঁটি ২৬ লাখ টাকার বেশি দিয়ে কিনেছে রাসিক

ছবি : স্বপ্নের বাংলাদেশ

রাজশাহীতে ফ্লাডলাইট স্থাপনে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

স্টাফ রির্পোটার : রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) ফ্লাডলাইট স্থাপনে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক। ফ্লাডলাইট স্থাপন এবং সহায়ক উপকরণের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে সোয়া দুই কোটি টাকা হলেও রাসিক সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ৯ কোটি সাত লাখ ৭৭ হাজার টাকার বিল পরিশোধ করেছে। এমন একটি অভিযোগ দুদকের উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান টিম দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে সম্প্রতি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এতে নানা অসঙ্গতি ও দুর্নীতি ধরা পড়েছে। ফ্লাইডলাইট স্থাপনের প্রতিটি খুঁটি বাজারমূল্যের চেয়ে ২৬ লাখ টাকা বেশি দিয়ে কিনেছে রাসিক। ফলে দুদকে লিটনসহ টেন্ডারসংশিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে রাসিকের গুরুত্বপূর্ণ ১৬টি মোড়ে ১৬টি হাইমাস্ট পোল ও ফ্লাডলাইট স্থাপন করা হয়। ফ্লাডলাইট স্থাপন এবং সহায়ক উপকরণের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে সোয়া দুই কোটি টাকা হলেও রহস্যজনক কারণে রাসিকের বিদ্যুৎ বিভাগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংকে প্রায় সাত কোটি টাকা বেশি বিল পরিশোধ করেছে। তখন অভিযোগ ওঠেÑ লিটনের ঘনিষ্ঠ আশরাফুল হুদা টিটুর মালিকানাধীন হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংকে কাজ পাইয়ে দিতে প্রতিষ্ঠানটির এস্টিমেট অনুযায়ী টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। ফলে এককভাবে ওই প্রতিষ্ঠানটিই কার্যাদেশ পায়।

দর বিশ্লেষণে ধরা পড়ে চীনের তৈরি ২০ থেকে ২৫ মিটার উচ্চতার একটি হাইমাস্ট পোল বা খুঁটির সর্বোচ্চ দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই লাখ ৪১ হাজার টাকা। এর সঙ্গে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর, পরিবহন ও স্থাপন ব্যয় এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ১৫ শতাংশ মুনাফা যোগ করলে একেকটি খুঁটির খরচ পড়ে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ৭২ হাজার ৫১৫ টাকা। কিন্তু রাসিক প্রতিটি খুঁটির জন্য হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংকে ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করেছে। প্রতিটি খুঁটিতে অতিরিক্ত বিল দেওয়া হয়েছে ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৪৮৫ টাকা।

আর ফ্লাডলাইটে ব্যবহৃত ১০০ ওয়াট ক্ষমতার ৩২০টি এলইডি লাইটের প্রতিটির বাজারমূল্য ১৫ হাজার ৮৭৩ টাকা হলেও টেন্ডারে প্রতিটি সাড়ে ৬৫ হাজার টাকা দরে দুই কোটি ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। ২০০ ওয়াটের ৩২টি এলইডি লাইটের প্রতিটির দাম ৬৩ হাজার ৮০০ টাকা করে দুই কোটি চার লাখ ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়।

ফ্লাডলাইটে সংযোজিত ২০০টি ২৫০ ওয়াট ক্ষমতার এলইডির লাইটের প্রতিটির বাজারমূল্য ১৯ হাজার ৩০৯ টাকা হলেও টেন্ডারে প্রতিটির মূল্য ৭৫ হাজার টাকা হিসাবে মোট ব্যয় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা ধরা হয়। বাজারদর অনুযায়ী ৬৩ এএমলি অটো লজিক কন্ট্রোলারের এক ইউনিটের বাজারমূল্য ৩৬ হাজার টাকা। কিন্তু ঠিকাদারকে ১৬টি এএমপি কন্ট্রোলারের প্রতি এককের মূল্য ৭২ হাজার টাকা হিসাবে মোট ১১ লাখ ১৫২ হাজার টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। একইভাবে এক হাজার ২৪০ মিটার ক্যাবল সরবরাহেও ঠিকাদারকে ৩৭ হাজার ২০০ টাকা বেশি বিল দিয়েছে রাসিক।

এদিকে ওই সময় এ পুকুর চুরির ঘটনা জানাজানি হলে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিনের নেতৃত্বে একটি টিম নগরভবনে অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জব্দ করে। অভিযানকালে দরপত্রের শর্তানুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতার সনদ দুদককে দেখাতে পারেনি রাসিক কর্তৃপক্ষ। বিদেশ থেকে আমদানি করা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের শিপমেন্ট ডকুমেন্ট, এলসি, বিল অব ল্যান্ডিং, শুল্ক, কর ও ভ্যাট পরিশোধসংক্রান্ত কোনো কাগজপত্রের অস্তিত্বও মেলেনি।

এ ছাড়া কাগজপত্রে দেওয়া ঠিকানায় গিয়েও হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কার্যালয় পাওয়া যায়নি। কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা মেলে। এরপর বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। দুদকের মানিলন্ডারিং সেলের উপপরিচালক ইসমাইল হেেোসন নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম টেন্ডার সংক্রান্ত কাগজপত্র ও নথি যাচাই করে।

নগরভবনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, মেয়র লিটন ক্ষমতায় থাকাকালে অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালী মহল থেকে তদবির করেছিলেন। ফলে অনুসন্ধানেই কয়েক বছর চলে যায়। তবে সম্প্রতি অনুসন্ধানে গতি পায়। ফলে অভিযোগ তদন্তের ফল নতুন মোড় নিচ্ছে বলেও জানিয়েছে দুদকের একটি সূত্র।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান কমিটির প্রধান ইসমাইল হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, কিছু দিন আগে আমরা প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিয়েছি। অনুসন্ধানে দুর্নীতি পাইনি এ কথা বলা যাবে না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, নগর ভবনকেন্দ্রিক যেসব টেন্ডার হয়েছে সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ এগুলো নিয়ে মানুষের বহু অভিযোগ আছে। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর রাসিক মেয়র লিটনও গা ঢাকা দিয়েছেন। তাকে মেয়রের পদ থেকেও বরখাস্ত করে অন্তর্র্বতী সরকার।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

প্রতিটি খুঁটি ২৬ লাখ টাকার বেশি দিয়ে কিনেছে রাসিক

আপলোড সময় : 10:57:13 am, Thursday, 26 September 2024

রাজশাহীতে ফ্লাডলাইট স্থাপনে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

স্টাফ রির্পোটার : রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) ফ্লাডলাইট স্থাপনে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক। ফ্লাডলাইট স্থাপন এবং সহায়ক উপকরণের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে সোয়া দুই কোটি টাকা হলেও রাসিক সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ৯ কোটি সাত লাখ ৭৭ হাজার টাকার বিল পরিশোধ করেছে। এমন একটি অভিযোগ দুদকের উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান টিম দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে সম্প্রতি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এতে নানা অসঙ্গতি ও দুর্নীতি ধরা পড়েছে। ফ্লাইডলাইট স্থাপনের প্রতিটি খুঁটি বাজারমূল্যের চেয়ে ২৬ লাখ টাকা বেশি দিয়ে কিনেছে রাসিক। ফলে দুদকে লিটনসহ টেন্ডারসংশিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে রাসিকের গুরুত্বপূর্ণ ১৬টি মোড়ে ১৬টি হাইমাস্ট পোল ও ফ্লাডলাইট স্থাপন করা হয়। ফ্লাডলাইট স্থাপন এবং সহায়ক উপকরণের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে সোয়া দুই কোটি টাকা হলেও রহস্যজনক কারণে রাসিকের বিদ্যুৎ বিভাগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংকে প্রায় সাত কোটি টাকা বেশি বিল পরিশোধ করেছে। তখন অভিযোগ ওঠেÑ লিটনের ঘনিষ্ঠ আশরাফুল হুদা টিটুর মালিকানাধীন হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংকে কাজ পাইয়ে দিতে প্রতিষ্ঠানটির এস্টিমেট অনুযায়ী টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। ফলে এককভাবে ওই প্রতিষ্ঠানটিই কার্যাদেশ পায়।

দর বিশ্লেষণে ধরা পড়ে চীনের তৈরি ২০ থেকে ২৫ মিটার উচ্চতার একটি হাইমাস্ট পোল বা খুঁটির সর্বোচ্চ দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই লাখ ৪১ হাজার টাকা। এর সঙ্গে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর, পরিবহন ও স্থাপন ব্যয় এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ১৫ শতাংশ মুনাফা যোগ করলে একেকটি খুঁটির খরচ পড়ে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ৭২ হাজার ৫১৫ টাকা। কিন্তু রাসিক প্রতিটি খুঁটির জন্য হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংকে ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করেছে। প্রতিটি খুঁটিতে অতিরিক্ত বিল দেওয়া হয়েছে ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৪৮৫ টাকা।

আর ফ্লাডলাইটে ব্যবহৃত ১০০ ওয়াট ক্ষমতার ৩২০টি এলইডি লাইটের প্রতিটির বাজারমূল্য ১৫ হাজার ৮৭৩ টাকা হলেও টেন্ডারে প্রতিটি সাড়ে ৬৫ হাজার টাকা দরে দুই কোটি ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। ২০০ ওয়াটের ৩২টি এলইডি লাইটের প্রতিটির দাম ৬৩ হাজার ৮০০ টাকা করে দুই কোটি চার লাখ ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়।

ফ্লাডলাইটে সংযোজিত ২০০টি ২৫০ ওয়াট ক্ষমতার এলইডির লাইটের প্রতিটির বাজারমূল্য ১৯ হাজার ৩০৯ টাকা হলেও টেন্ডারে প্রতিটির মূল্য ৭৫ হাজার টাকা হিসাবে মোট ব্যয় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা ধরা হয়। বাজারদর অনুযায়ী ৬৩ এএমলি অটো লজিক কন্ট্রোলারের এক ইউনিটের বাজারমূল্য ৩৬ হাজার টাকা। কিন্তু ঠিকাদারকে ১৬টি এএমপি কন্ট্রোলারের প্রতি এককের মূল্য ৭২ হাজার টাকা হিসাবে মোট ১১ লাখ ১৫২ হাজার টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। একইভাবে এক হাজার ২৪০ মিটার ক্যাবল সরবরাহেও ঠিকাদারকে ৩৭ হাজার ২০০ টাকা বেশি বিল দিয়েছে রাসিক।

এদিকে ওই সময় এ পুকুর চুরির ঘটনা জানাজানি হলে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিনের নেতৃত্বে একটি টিম নগরভবনে অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জব্দ করে। অভিযানকালে দরপত্রের শর্তানুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতার সনদ দুদককে দেখাতে পারেনি রাসিক কর্তৃপক্ষ। বিদেশ থেকে আমদানি করা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের শিপমেন্ট ডকুমেন্ট, এলসি, বিল অব ল্যান্ডিং, শুল্ক, কর ও ভ্যাট পরিশোধসংক্রান্ত কোনো কাগজপত্রের অস্তিত্বও মেলেনি।

এ ছাড়া কাগজপত্রে দেওয়া ঠিকানায় গিয়েও হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কার্যালয় পাওয়া যায়নি। কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা মেলে। এরপর বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। দুদকের মানিলন্ডারিং সেলের উপপরিচালক ইসমাইল হেেোসন নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম টেন্ডার সংক্রান্ত কাগজপত্র ও নথি যাচাই করে।

নগরভবনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, মেয়র লিটন ক্ষমতায় থাকাকালে অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালী মহল থেকে তদবির করেছিলেন। ফলে অনুসন্ধানেই কয়েক বছর চলে যায়। তবে সম্প্রতি অনুসন্ধানে গতি পায়। ফলে অভিযোগ তদন্তের ফল নতুন মোড় নিচ্ছে বলেও জানিয়েছে দুদকের একটি সূত্র।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান কমিটির প্রধান ইসমাইল হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, কিছু দিন আগে আমরা প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিয়েছি। অনুসন্ধানে দুর্নীতি পাইনি এ কথা বলা যাবে না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, নগর ভবনকেন্দ্রিক যেসব টেন্ডার হয়েছে সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ এগুলো নিয়ে মানুষের বহু অভিযোগ আছে। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর রাসিক মেয়র লিটনও গা ঢাকা দিয়েছেন। তাকে মেয়রের পদ থেকেও বরখাস্ত করে অন্তর্র্বতী সরকার।