Dhaka 9:07 am, Saturday, 21 December 2024
বেকিং নিউজ :
Logo Kometa Casino Live Casino 💰 Get 200% up to INR 10 000 INR 💰 180 Free Spins Logo কুমিল্লার দেবিদ্বার বিহার মন্ডল এলাকায় বিএনপি’র কর্মী সভা অনুষ্ঠিত Logo মোহনপুরে এবার দেড় লাখ টন আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা Logo চৌদ্দগ্রামে ডলবা গ্রাম কমিটি গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo বিচারবিভাগের রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুণঃপ্রবর্তনের সুযোগ এসেছে – কুমিল্লায় হাবিব উন নবী সোহেল Logo আবাসিক হোটেল থেকে ৫ তরুণ ও ৩ তরুণী গ্রেফতার  Logo কুমিল্লায় কাপড়ের ব‍্যাগে গাঁজা পাচারকালে আটক দুই নারী Logo ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৪ Logo মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৯ নং ওয়ার্ডে দিনব্যাপী ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত Logo কুমিল্লা তিতাস উপজেলায় ৯ নং মজিদপুর ইউনিয়নের বি এন পির নবগঠিত আহবায়ক কমিটি ঘোষণা

মেঘনায় ভারতের ‘র’ এজেন্ট আখ্যায়িত করে ইউনও’র বিরুদ্ধে মানববন্ধন

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় স্বৈরাচার আওয়ামিলীগের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা ও ভারতের ‘র’ এজেন্ট আখ্যায়িত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ‘মেঘনা নাগরিক সমাজ।’ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে অপসারণের ৪৮ ঘন্টার সময় দিয়ে এ মানববন্ধন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মেঘনা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল অদুদ মুন্সী, সহ-সভাপতি আশরাফুল হক কুসুম ভূইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাবুদ্দীন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মতিন, যুগ্ম আহ্বায়ক, মো. জহিরুল ইসলাম, বিএনপির মহিলা দলের সভানেত্রী মিলি আক্তার প্রমুখ।

জানা গেছে, অসাধারণ গুণের অধিকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেনু দাসকে এ উপজেলায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে রাখতে চাচ্ছে। কারণ তিনি দক্ষ, বিচক্ষণ, মানবিক ও সদালাপী কর্মকর্তা।

এদিকে মেঘনা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সলিম উল্লাহ সহ দলের একাধিক নেতা-কর্মীরা আমাদের এই প্রতিনিধিকে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র” এর এজেন্ট বলা হয়েছে, যা সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেওয়ার মতো মন্তব্য। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠানো হয়েছে। তাছাড়া আমরা যতটুকু জানি বিসিএস-এ নিয়োগ পাওয়া থেকে শুরু করে চাকরি জীবনে বিভিন্নধাপে ডিজিএফআই ও এনএসআই তাদের নজরে রাখে। আর যদি এটাই হয় তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে তারা মাঠপর্যায়ে কীভাবে থাকে? এভাবে তো তাদের থাকার কথা না! মো. সলিম উল্লাহ আরও বলেন- আমাদের দল থেকে এ ধরনের মানববন্ধন করতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে ও বর্তমান সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য দল থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক কর্মী বলেন- মেঘনা নাগরিক সমাজ যদি ইউএনও’র অপসারণ চাইত তাহলে তারাই উপস্থিত থাকতো। কিন্তু এখানে কিছু বিএনপির নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ব্যানারে নাগরিক সমাজের নাম দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী উপস্থিত থাকায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে তাদের দলের নেতাকর্মীরা এই উপজেলার নদীপথে বিভিন্ন মহলে অবৈধভাবে বালু উত্তলন করতো। এখন নামিয় বিএনপির কিছু নেতারা রাতের আঁধারে একইভাবে বালু উত্তলন করছে বলে আমি জানতে পেরেছি। আর তারাই এখন দলবদ্ধ হয়ে এই কর্মকর্তার অপসারণ চাচ্ছে। আমরা মেঘনার তৃণমূলের বিএনপির নেতাকর্মীরা এই ইউএনওকে চাই। তিনি আরও বলেন- মেঘনার ইউএনও রেনু দাস মহোদয় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ রাখায় সুবিধাভোগীদের গাত্রদাহ!

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক স্বপ্নের বাংলাদেশ পত্রিকা কে বলেন, আমি এব্যাপারে কিছু জানি না।

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

Kometa Casino Live Casino 💰 Get 200% up to INR 10 000 INR 💰 180 Free Spins

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

মেঘনায় ভারতের ‘র’ এজেন্ট আখ্যায়িত করে ইউনও’র বিরুদ্ধে মানববন্ধন

আপলোড সময় : 05:27:11 pm, Wednesday, 25 September 2024

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় স্বৈরাচার আওয়ামিলীগের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা ও ভারতের ‘র’ এজেন্ট আখ্যায়িত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ‘মেঘনা নাগরিক সমাজ।’ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে অপসারণের ৪৮ ঘন্টার সময় দিয়ে এ মানববন্ধন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মেঘনা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল অদুদ মুন্সী, সহ-সভাপতি আশরাফুল হক কুসুম ভূইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাবুদ্দীন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মতিন, যুগ্ম আহ্বায়ক, মো. জহিরুল ইসলাম, বিএনপির মহিলা দলের সভানেত্রী মিলি আক্তার প্রমুখ।

জানা গেছে, অসাধারণ গুণের অধিকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেনু দাসকে এ উপজেলায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে রাখতে চাচ্ছে। কারণ তিনি দক্ষ, বিচক্ষণ, মানবিক ও সদালাপী কর্মকর্তা।

এদিকে মেঘনা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সলিম উল্লাহ সহ দলের একাধিক নেতা-কর্মীরা আমাদের এই প্রতিনিধিকে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র” এর এজেন্ট বলা হয়েছে, যা সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেওয়ার মতো মন্তব্য। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠানো হয়েছে। তাছাড়া আমরা যতটুকু জানি বিসিএস-এ নিয়োগ পাওয়া থেকে শুরু করে চাকরি জীবনে বিভিন্নধাপে ডিজিএফআই ও এনএসআই তাদের নজরে রাখে। আর যদি এটাই হয় তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে তারা মাঠপর্যায়ে কীভাবে থাকে? এভাবে তো তাদের থাকার কথা না! মো. সলিম উল্লাহ আরও বলেন- আমাদের দল থেকে এ ধরনের মানববন্ধন করতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে ও বর্তমান সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য দল থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক কর্মী বলেন- মেঘনা নাগরিক সমাজ যদি ইউএনও’র অপসারণ চাইত তাহলে তারাই উপস্থিত থাকতো। কিন্তু এখানে কিছু বিএনপির নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ব্যানারে নাগরিক সমাজের নাম দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী উপস্থিত থাকায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে তাদের দলের নেতাকর্মীরা এই উপজেলার নদীপথে বিভিন্ন মহলে অবৈধভাবে বালু উত্তলন করতো। এখন নামিয় বিএনপির কিছু নেতারা রাতের আঁধারে একইভাবে বালু উত্তলন করছে বলে আমি জানতে পেরেছি। আর তারাই এখন দলবদ্ধ হয়ে এই কর্মকর্তার অপসারণ চাচ্ছে। আমরা মেঘনার তৃণমূলের বিএনপির নেতাকর্মীরা এই ইউএনওকে চাই। তিনি আরও বলেন- মেঘনার ইউএনও রেনু দাস মহোদয় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ রাখায় সুবিধাভোগীদের গাত্রদাহ!

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক স্বপ্নের বাংলাদেশ পত্রিকা কে বলেন, আমি এব্যাপারে কিছু জানি না।