বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর (টিটিসি) অধ্যক্ষ এস,এম ইমদাদুল হকের পদত্যাগ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টিটিসি অধ্যক্ষের কার্যালয়ের (কোইকা ভবন) সামনে তাঁরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
কর্মসূচিতে টিটিসির বিভিন্ন ট্রেডের সাবেক ও বর্তমান শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন। বিক্ষোভ চলাকালে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তাঁরা স্লোগান দেন।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, কোরিয়ান ভাষা শিক্ষার নামে শর্ত জুড়ে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক।
গত ১২ সেপ্টেম্বর কোরিয়ান ভাষার ওপর পরিক্ষা ছিল তাদের। পরিক্ষা শেষে তারা সকল পরিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে অধ্যক্ষর কাছে জানতে চান,কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি হতে হলে কার্পেন্ট্রি কোর্স করা বাধ্যতামূলক কেন?
নিয়মানুযায়ী এটা বাধ্যতামূলক না হলেও অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন,আমরা কার্পেন্ট্রি কোর্স করতে চাইনা আমাদের টাকা ঘুরত দেন। অধ্যক্ষ তাদের আশ্বস্ত করে আগামী সপ্তাহের ১৯ সেপ্টেম্বর অফিসে ডাকেন। ১৯ তারিখে শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপে ম্যাসেজ দিয়ে অধ্যক্ষ জানান,তিনি অসুস্থ অফিসে আসতে পারবেন না। পরে ২২ সেপ্টেম্বর ডাকের তাদের।
রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক নিজ হাতে শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়ার কথা কিন্তু তিনি উপস্থিত না থেকে নুরুন নাহার নামের একজন ইনস্ট্রাক্টরকে দায়িত্ব
দেন তাদের টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।
এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিয়ে দেন এবং দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগ দাবি জানান।
দাবি আদায় না হলে শিক্ষার্থীরা লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন। আগামীকাল সোমবারও তাঁরা একই কর্মসূচি পালন করবেন বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ইঞ্জি: এসএম ইমদাদুল হককে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য প্রতারণার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এসএম এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
ক্ষমতাচ্যুত আ’লীগ সরকারের কিছু মন্ত্রী,এমপি ও দলটির কতিপয় নেতার অত্যন্ত ঘণিষ্ঠ হিসেবে বহুল পরিচিত এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকলেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি।
জিএমআরএ