Dhaka 1:46 am, Monday, 23 December 2024

রোজায় সুলভ মূল্যে মিলবে দুধ, ডিম মাংস ও মাছ

আসন্ন রমজান মাসে সাধারণ মানুষ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে পারে, সে জন্য মাসব্যাপী সুলভমূল্যে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এই কর্মসূচির আওতায় তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ৯.১৭ টাকা (এক ডজন ১১০ টাকা) দরে বিক্রি করা হবে।

গতকাল রবিবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ভ্রাম্যমাণ বাজারে সুলভমূল্যে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ বিপণন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর বক্তব্য দেন।

 

মন্ত্রী জানান, প্রথম রোজা থেকে শুরু হয়ে ২৮ রোজা পর্যন্ত দুধ, ডিম ও মাংস বিপণন ব্যবস্থা রাজধানীর ২৫টি স্থানে পরিচালিত হবে। তা ছাড়া স্থায়ী বাজারে আরো পাঁচটি স্থানসহ মোট ৩০টি পয়েন্টে এই বিক্রয় ব্যবস্থা চালু থাকবে।

ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রগুলো হলো—নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি (বনানী), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ষাট ফুট রোড (মিরপুর), খিলগাঁও (লেভেলক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), আরামবাগ (মতিঝিল), রামপুরা, কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বসিলা (মোহাম্মদপুর), হাজারীবাগ (শিকশন), লুকাস (নাখালপাড়া), আরামবাগ (মতিঝিল), কামরাঙ্গীর চর, মিরপুর-১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার), কাকরাইল এবং স্থায়ী বাজার হলো মিরপুর শাহ আলী বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, নতুন বাজার (১০০ ফুট), কমলাপুর, কাজী আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী  মো. আব্দুর রহমান বলেন, পণ্য বিক্রির জন্য সুসজ্জিত পিকআপ কুলভ্যান ব্যবহার করা হবে।

প্রতিটি বিক্রয়কেন্দ্রে সকাল ৯টার মধ্যে পণ্যগুলো নিয়ে কুলভ্যানগুলো পৌঁছে যাবে এবং সকাল ১০টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।

 

এ ছাড়া রমজান মাসে বাজারে মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্য ক্রেতাদের কাছে সহনীয় রাখতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতাদের কাছে মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চারটি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের চারটি নির্ধারিত স্থানে মাছ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বঙ্গবন্ধু চত্বর, খামারবাড়ী, ফার্মগেট; মিরপুর-১ (ঈদগাহ মাঠ); সেগুনবাগিচা বাজার ও মেরুল বাড্ডা বাজার এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন মুগদাপাড়া (মদিনাবাগ বাজার); যাত্রাবাড়ী (দয়াল ভরসা মার্কেট); মতিঝিল (বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষিণ-পূর্ব কর্নার) ও পলাশী মোড়ে এই কর্মসূচি পরিচালিত হবে।

মন্ত্রী বলেন, রুই মাছ প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি ১৩০ টাকা এবং পাবদা মাছ প্রতি কেজি ৩৩০ টাকায় বিক্রি করা হবে।

 

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাছ বিক্রির কার্যক্রম চলবে। আজ সোমবার থেকে শুরু হয়ে রমজান মাসের ১৫ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন এসব স্পটে মাছ বিক্রি করা হবে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

রোজায় সুলভ মূল্যে মিলবে দুধ, ডিম মাংস ও মাছ

আপলোড সময় : 07:39:34 pm, Wednesday, 13 March 2024

আসন্ন রমজান মাসে সাধারণ মানুষ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে পারে, সে জন্য মাসব্যাপী সুলভমূল্যে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এই কর্মসূচির আওতায় তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ৯.১৭ টাকা (এক ডজন ১১০ টাকা) দরে বিক্রি করা হবে।

গতকাল রবিবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ভ্রাম্যমাণ বাজারে সুলভমূল্যে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ বিপণন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর বক্তব্য দেন।

 

মন্ত্রী জানান, প্রথম রোজা থেকে শুরু হয়ে ২৮ রোজা পর্যন্ত দুধ, ডিম ও মাংস বিপণন ব্যবস্থা রাজধানীর ২৫টি স্থানে পরিচালিত হবে। তা ছাড়া স্থায়ী বাজারে আরো পাঁচটি স্থানসহ মোট ৩০টি পয়েন্টে এই বিক্রয় ব্যবস্থা চালু থাকবে।

ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রগুলো হলো—নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি (বনানী), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), আজিমপুর মাতৃসদন (আজিমপুর), গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ষাট ফুট রোড (মিরপুর), খিলগাঁও (লেভেলক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গনি রোড), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), আরামবাগ (মতিঝিল), রামপুরা, কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বসিলা (মোহাম্মদপুর), হাজারীবাগ (শিকশন), লুকাস (নাখালপাড়া), আরামবাগ (মতিঝিল), কামরাঙ্গীর চর, মিরপুর-১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়া), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বঙ্গবাজার), কাকরাইল এবং স্থায়ী বাজার হলো মিরপুর শাহ আলী বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, নতুন বাজার (১০০ ফুট), কমলাপুর, কাজী আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী  মো. আব্দুর রহমান বলেন, পণ্য বিক্রির জন্য সুসজ্জিত পিকআপ কুলভ্যান ব্যবহার করা হবে।

প্রতিটি বিক্রয়কেন্দ্রে সকাল ৯টার মধ্যে পণ্যগুলো নিয়ে কুলভ্যানগুলো পৌঁছে যাবে এবং সকাল ১০টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।

 

এ ছাড়া রমজান মাসে বাজারে মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্য ক্রেতাদের কাছে সহনীয় রাখতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতাদের কাছে মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চারটি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের চারটি নির্ধারিত স্থানে মাছ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বঙ্গবন্ধু চত্বর, খামারবাড়ী, ফার্মগেট; মিরপুর-১ (ঈদগাহ মাঠ); সেগুনবাগিচা বাজার ও মেরুল বাড্ডা বাজার এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন মুগদাপাড়া (মদিনাবাগ বাজার); যাত্রাবাড়ী (দয়াল ভরসা মার্কেট); মতিঝিল (বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষিণ-পূর্ব কর্নার) ও পলাশী মোড়ে এই কর্মসূচি পরিচালিত হবে।

মন্ত্রী বলেন, রুই মাছ প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি ১৩০ টাকা এবং পাবদা মাছ প্রতি কেজি ৩৩০ টাকায় বিক্রি করা হবে।

 

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাছ বিক্রির কার্যক্রম চলবে। আজ সোমবার থেকে শুরু হয়ে রমজান মাসের ১৫ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন এসব স্পটে মাছ বিক্রি করা হবে।