Dhaka 6:19 pm, Saturday, 21 December 2024
বেকিং নিউজ :
Logo রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত Logo দাউদকান্দির বারোপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে আওয়ামীলীগ পন্থী সদস্য সচিব, নেতাকর্মীদের তীব্র ক্ষোভ Logo ভিক্টোরিয়া কলেজ রোভার স্কাউটের ৫০ বছর উদযাপন Logo সংবিধান দিয়ে ফ্যাস্টিট হাসিনা দেশের মানুষকে হত্যা করেছে:ইসহাক খন্দকার Logo সোনাইমুড়ীতে হোসেনপুর ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদরাসার উদ্বোধন Logo মোহনপুরে ২০ বছর পরে আগামীকাল উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল Logo নাটোরে মহাশ্মশানে ডাকাতি, মন্দিরে লুটপাট ও খুন Logo রাজশাহী তানোরে দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রতারণায় প্রথম স্ত্রী নিঃস্ব Logo সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরল ১৫ বাংলাদেশি নারী-শিশু Logo হোমনাকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

নোয়াখালীতে দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় দিনমজুর আব্দুর রহমানকে (৩২) জবাই করে হত্যার ৪৪ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত আব্দুর রহমান উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের লাতু ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনজমুর ছিলেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার উপপরিদর্শ (এসআই) ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ নেওয়াজ তানভীরের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে একই দিন রাত ৯টার দিকে পুনরায় দাফন করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে একদল সন্ত্রাসী দিনমজুর আব্দুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একই দিন বিকেল ৫টার উপলোর পূর্ব মাইজচরা গ্রামের দই বেপারী বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার পুরুষাঙ্গ ও বামহাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। একপর্যায়ে তাকে জবাই করে নির্মম ভাবে হত্যা করে। তখন সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিহতের পুরুষ স্বজনেরা কেউ ঘটনাস্থলে লাশের পাশে যেতে পারেনি। নিহতের মরদেহ ঘিরে রাখে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। পরে রাত গভীর হলে মহিলারা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। পরে ৭ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

সুধারাম থানার উপপরিদর্শ (এসআই) ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, তখন আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে নিহতের স্বজনেরা মামলা করতে পারেনি। পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ১৪ আগস্ট নিহতের পিতা বাদী হয়ে ২২জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে সুধারাম থানার হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

জিএমআরএ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

নোয়াখালীতে দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

আপলোড সময় : 10:38:53 pm, Thursday, 19 September 2024

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় দিনমজুর আব্দুর রহমানকে (৩২) জবাই করে হত্যার ৪৪ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত আব্দুর রহমান উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের লাতু ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনজমুর ছিলেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার উপপরিদর্শ (এসআই) ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ নেওয়াজ তানভীরের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে একই দিন রাত ৯টার দিকে পুনরায় দাফন করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে একদল সন্ত্রাসী দিনমজুর আব্দুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একই দিন বিকেল ৫টার উপলোর পূর্ব মাইজচরা গ্রামের দই বেপারী বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার পুরুষাঙ্গ ও বামহাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। একপর্যায়ে তাকে জবাই করে নির্মম ভাবে হত্যা করে। তখন সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিহতের পুরুষ স্বজনেরা কেউ ঘটনাস্থলে লাশের পাশে যেতে পারেনি। নিহতের মরদেহ ঘিরে রাখে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। পরে রাত গভীর হলে মহিলারা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। পরে ৭ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

সুধারাম থানার উপপরিদর্শ (এসআই) ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, তখন আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে নিহতের স্বজনেরা মামলা করতে পারেনি। পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ১৪ আগস্ট নিহতের পিতা বাদী হয়ে ২২জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে সুধারাম থানার হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

জিএমআরএ