Dhaka 1:41 am, Tuesday, 24 December 2024

নাগরিক সনদ অনুযায়ী সেবা প্রদান, প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ

নাগরিক সনদ অনুসারে সেবা প্রদান, সনদ অনুসারে ৪৫ কার্য দিবসে নকশা অনুমোদন, নকশা অনুমোদন ও অবৈধ নির্মাণের বিষয়ে চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ৭ সদস্য বিশিষ্ট ইমারত কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ পূর্বক কার্য সম্পাদন করা হয় রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষ আরডিএ’তে। তবুও একটি সুবিধাবাদী অসাধু দালাল চক্র সুবিধা বঞ্চিত হয়ে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ায় দপ্তরটি বিরুদ্ধে ।

ইতোমধ্যে আগে চেয়ে ব্যাপক পরিবর্তন ও কাজের ধরণসহ হয়রানি বন্ধে নেওয়া হয়েছে কার্যত নতুন উদ্দ্যোগ। কমিটি যখন কোন অবৈধ অনুমোদন দেয় না, তখনই শুরু হয় কমিটিসহ আরডিএ’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার। এক্ষেত্রে এককভাবে অথরাইজড অফিসার বা কোন অফিসার এর পক্ষে অনুমোদন প্রদানের সুযোগ না থাকলেও অফিসারদের বেকায়দায় ফেলতে মরিয়া একটি চক্র। অনেকেই জানেই না কোন প্রক্রিয়ায় অনুমোদন হয়। কারো একক সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়ার সুযোগ নাই সেখানে।
জানা যায়, প্রতি মাসের ৩য় সোমবার সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় ওই মাসে প্রাপ্ত সকল আবেদন মঞ্জুর বা এর িদ্ধান্ত হয়। অথরাইজড অফিসার সিদ্ধান্ত অনুসারে তা স্বাক্ষর করে বিতরণ করেন। জানা যায় গত মাস পর্যন্ত নকশা অনুমোদন আবেদনের মঞ্জুর পত্র বা করনীয় পত্র সরবরাহ করা হয়েছে। কোন আবেদন এ পর্যন্ত পেন্ডিং নাই। অনুমোদিত নকশা পেতে সরাসরি কেউ আসলে তাঁর বৈধ কাগজ থাকলে অনুমোদন পেতে কোনো বেগ পেতে হয় না। তবে অনেক অবৈধ নকশা অনুমোদন না পেয়ে অফিসের বাহিরের দালাল দ্বারা অনেকেই প্রতারিত হয়।
অথরাইজড অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, অনেক ক্ষেত্রে আবেদনে উপযুক্ত কাগজ পত্র না থাকলে বা নকশা বিধি মত প্রস্তুত না হলে তা সংশোধনের জন্য পত্র প্রদান করা হয়। সে ক্ষেত্রে জবাব পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিতরণ করা হয়। এতে কোনো অনিয়ম বা দূর্নীতি ঘূষ গ্রহণের সুযোগ নাই।

সরেজমিনে সেবা গ্রহণকারীদের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা সময়মত নকশা পাচ্ছেন। আরডিএ তে কোন টাকা দিতে হয়নি। নকশা অনুমোদন নেওয়ার পুরাতন অনেক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, এখন বৈধ কাগজ জমা দিলে অনুমোদন পেতে কোনো অসুবিধা হয় না। সরাসরি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনো টাকা লাগে না। তবে কোনো দালাল মারফত গেলে সেক্ষেত্রে অনেকে টাকা চায়। তাই দালাল বর্জনের পরামর্শও দেয় অনেকেই।

অন্য এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, তিনি রকি নামের একজন কে নকশা করার দায়িত্ব দিয়েছেন। ৬ মাসের বেশী হলেও নকশা না পেয়ে অথরাইজড শাখায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ঐ লোক আমার আবেদন জমা ই দেয়নি। পরে সরাসরিই যোগাযোগ করলে এসব জানতে পারি। এ ব্যাপারে অথরাইজড অফিসার এই ধরনের লোক থেকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান। তিনি জানান, যেসব ব্যক্তি নকশা করার উপযুক্ত তাদের তালিকা নোটিশ বোর্ড এ দেওয়া আছে।
কোন প্রকার দালাল ছাড়া আবেদনকারীকে নিজে উপস্থিত হয়ে নকশা সংগ্রহের অনুরোধও করেন তিনি।

আরডিএ কতৃপক্ষ বলছেন অবৈধ অনুমোদন না পাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা একটু বেশি হওয়ায় তাঁরা সুবিধা করতে না পেরে মিথ্যাচার করেন। এগুলো তদন্ত করলেই সঠিক তথ্য বেড়িয়ে আসবে। প্রোপাগাণ্ডা থেকে সর্ত কারও অনুরোধ রেন কতৃপক্ষ।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষের নবাগত চেয়ারম্যান এস এম তুহিনুর আলম বলেন, জনগণের দৌড় গোড়ায় সেবা পৌছাতে আমরা বদ্ধপরিকর। অনেকে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন। এসব বিষয় সঠিক তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করা প্রয়োজন। ব্যাপক পরিবর্তনের মাধ্যমে সেজে ঢালানো হয়েছে আরডিএ।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

নাগরিক সনদ অনুযায়ী সেবা প্রদান, প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ

আপলোড সময় : 07:37:48 pm, Sunday, 1 September 2024

নাগরিক সনদ অনুসারে সেবা প্রদান, সনদ অনুসারে ৪৫ কার্য দিবসে নকশা অনুমোদন, নকশা অনুমোদন ও অবৈধ নির্মাণের বিষয়ে চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ৭ সদস্য বিশিষ্ট ইমারত কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ পূর্বক কার্য সম্পাদন করা হয় রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষ আরডিএ’তে। তবুও একটি সুবিধাবাদী অসাধু দালাল চক্র সুবিধা বঞ্চিত হয়ে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ায় দপ্তরটি বিরুদ্ধে ।

ইতোমধ্যে আগে চেয়ে ব্যাপক পরিবর্তন ও কাজের ধরণসহ হয়রানি বন্ধে নেওয়া হয়েছে কার্যত নতুন উদ্দ্যোগ। কমিটি যখন কোন অবৈধ অনুমোদন দেয় না, তখনই শুরু হয় কমিটিসহ আরডিএ’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার। এক্ষেত্রে এককভাবে অথরাইজড অফিসার বা কোন অফিসার এর পক্ষে অনুমোদন প্রদানের সুযোগ না থাকলেও অফিসারদের বেকায়দায় ফেলতে মরিয়া একটি চক্র। অনেকেই জানেই না কোন প্রক্রিয়ায় অনুমোদন হয়। কারো একক সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়ার সুযোগ নাই সেখানে।
জানা যায়, প্রতি মাসের ৩য় সোমবার সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় ওই মাসে প্রাপ্ত সকল আবেদন মঞ্জুর বা এর িদ্ধান্ত হয়। অথরাইজড অফিসার সিদ্ধান্ত অনুসারে তা স্বাক্ষর করে বিতরণ করেন। জানা যায় গত মাস পর্যন্ত নকশা অনুমোদন আবেদনের মঞ্জুর পত্র বা করনীয় পত্র সরবরাহ করা হয়েছে। কোন আবেদন এ পর্যন্ত পেন্ডিং নাই। অনুমোদিত নকশা পেতে সরাসরি কেউ আসলে তাঁর বৈধ কাগজ থাকলে অনুমোদন পেতে কোনো বেগ পেতে হয় না। তবে অনেক অবৈধ নকশা অনুমোদন না পেয়ে অফিসের বাহিরের দালাল দ্বারা অনেকেই প্রতারিত হয়।
অথরাইজড অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, অনেক ক্ষেত্রে আবেদনে উপযুক্ত কাগজ পত্র না থাকলে বা নকশা বিধি মত প্রস্তুত না হলে তা সংশোধনের জন্য পত্র প্রদান করা হয়। সে ক্ষেত্রে জবাব পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিতরণ করা হয়। এতে কোনো অনিয়ম বা দূর্নীতি ঘূষ গ্রহণের সুযোগ নাই।

সরেজমিনে সেবা গ্রহণকারীদের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা সময়মত নকশা পাচ্ছেন। আরডিএ তে কোন টাকা দিতে হয়নি। নকশা অনুমোদন নেওয়ার পুরাতন অনেক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, এখন বৈধ কাগজ জমা দিলে অনুমোদন পেতে কোনো অসুবিধা হয় না। সরাসরি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনো টাকা লাগে না। তবে কোনো দালাল মারফত গেলে সেক্ষেত্রে অনেকে টাকা চায়। তাই দালাল বর্জনের পরামর্শও দেয় অনেকেই।

অন্য এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, তিনি রকি নামের একজন কে নকশা করার দায়িত্ব দিয়েছেন। ৬ মাসের বেশী হলেও নকশা না পেয়ে অথরাইজড শাখায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ঐ লোক আমার আবেদন জমা ই দেয়নি। পরে সরাসরিই যোগাযোগ করলে এসব জানতে পারি। এ ব্যাপারে অথরাইজড অফিসার এই ধরনের লোক থেকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান। তিনি জানান, যেসব ব্যক্তি নকশা করার উপযুক্ত তাদের তালিকা নোটিশ বোর্ড এ দেওয়া আছে।
কোন প্রকার দালাল ছাড়া আবেদনকারীকে নিজে উপস্থিত হয়ে নকশা সংগ্রহের অনুরোধও করেন তিনি।

আরডিএ কতৃপক্ষ বলছেন অবৈধ অনুমোদন না পাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা একটু বেশি হওয়ায় তাঁরা সুবিধা করতে না পেরে মিথ্যাচার করেন। এগুলো তদন্ত করলেই সঠিক তথ্য বেড়িয়ে আসবে। প্রোপাগাণ্ডা থেকে সর্ত কারও অনুরোধ রেন কতৃপক্ষ।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষের নবাগত চেয়ারম্যান এস এম তুহিনুর আলম বলেন, জনগণের দৌড় গোড়ায় সেবা পৌছাতে আমরা বদ্ধপরিকর। অনেকে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন। এসব বিষয় সঠিক তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করা প্রয়োজন। ব্যাপক পরিবর্তনের মাধ্যমে সেজে ঢালানো হয়েছে আরডিএ।