Dhaka 8:52 pm, Sunday, 22 December 2024

৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি

গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং সেচ ও জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই ঋণের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এলাকার ৬ লাখ মানুষ জলবায়ুজনিত আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে।

গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এডিবি ঢাকা অফিস। প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৮৫ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অঙ্ক ৭৭৯ কোটি টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। কার্যকরী অভিযোজন ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ২০৫০ সালের মধ্যে কৃষিতে মোট দেশজ উৎপাদন ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে।

 

এডিবির জ্যেষ্ঠ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ পুষ্কর শ্রীবাস্তব বলেন, এই অতিরিক্ত সহায়তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বাড়াবে। নারী ও দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য আয় এবং টেকসই জীবিকা বাড়াতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য কমবে। এ প্রকল্পের ফলে জলবায়ু-সহনশীল বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচব্যবস্থা চালু হবে। এ ছাড়া লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ কমবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ৬ লাখেরও বেশি মানুষের উপকার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি

আপলোড সময় : 08:31:22 pm, Friday, 15 March 2024

গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং সেচ ও জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই ঋণের মাধ্যমে দেশের উপকূলীয় এলাকার ৬ লাখ মানুষ জলবায়ুজনিত আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে।

গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এডিবি ঢাকা অফিস। প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৮৫ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অঙ্ক ৭৭৯ কোটি টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। কার্যকরী অভিযোজন ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ২০৫০ সালের মধ্যে কৃষিতে মোট দেশজ উৎপাদন ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে।

 

এডিবির জ্যেষ্ঠ প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ পুষ্কর শ্রীবাস্তব বলেন, এই অতিরিক্ত সহায়তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বাড়াবে। নারী ও দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য আয় এবং টেকসই জীবিকা বাড়াতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য কমবে। এ প্রকল্পের ফলে জলবায়ু-সহনশীল বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচব্যবস্থা চালু হবে। এ ছাড়া লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ কমবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ৬ লাখেরও বেশি মানুষের উপকার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।