দীর্ঘ ১৭ বছর পর নাটোরে জেলা বিএনপির অফিসে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢল নেমেছে। এসময় উৎসাহিত নেতাকর্মীরা একটি শান্তি মিছিল বের করেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে শহরের আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা বিএনপির আয়োজনে একটি শান্তি মিছিল বের করা হয়।মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের কানাইখালী এলাকায় সামনে এসে এক সমাবেশ করে। এরপরে মিছিলটি পুণরায় বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকে বিভিন্ন উপজেলা থেকে শত শত নেতাকর্মীরা দলে দলে জড়ো হতে থাকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে। এসময় নেতাকর্মীদের স্লোগান স্লোগানে মুখোর হয়ে ওঠে পুরো রাজপথ। এসময় আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের। বিএনপির নেতা অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ছবি নিয়ে কর্মীরা রাস্তায় নেমে স্লোগান দেন।
আমজাদ হোসেন নামে বিএনপির এক কর্মী বলেন, আজ আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। ঈদের দিনের মতো আনন্দ লাগছে। এত বছর খুনি হাসিনার অত্যাচার-নির্যাতনে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারিনি। হামা-মামলা দিয়ে আমাদের আটকানো হয়েছে। আজ মনে হচ্ছে, নতুন ভাবে প্রাণ ফিরে পেয়েছি।
রায়হান নামে আরেক কর্মী বলেন, আজ প্রাণ ফিরে পেয়েছি। স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারছি। দীর্ঘ কত বছর আমাদের এ অফিসে আসতে পারিনি। আমাদের মারধর, নির্যাতন করা হয়েছে। আজ আমরা স্বাধীন। বিএনপি নেতা দুলু ভাইয়ের হাত ধরে আবার আমরা নতুন করে রাজনীতি শুরু করবো। দেশের মানুষের জন্য কাজ করবো।বিএনপির নেতা দুলু বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর জালিম শাসকের হাতে দেশ পরিচালনা হয়েছে। ছাত্র সমাজ সাধারণ জনগণ ও দলের নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মাধ্যমে এক অবৈধ খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। কিন্তু আমাদের সব ধর্ম-বর্ণ সাধারণ জনগণ ও কারও ওপর যেন কোনো ধরনের আঘাত না হয়। সেই দিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।
এসময় সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন— বিএনপির চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা অ্যাড. এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদ রনি, যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ জনিসহ নেতৃবৃন্দ।