সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫৯ কোটি ৪ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসবের মধ্যে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদও রয়েছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিজিবির অভিযানে জব্দ করা চোরাচালান সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে—৪ কেজি ৩৩৫ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ কেজি রূপা, ২ লাখ ৬২ হাজার ৬৮১টি কসমেটিক্স, ৪ হাজার ১৮৮টি ইমিটেশন গহনা, ২১ হাজার ৭টি শাড়ি, ১৯ হাজার ২২৬টি থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর, কম্বল, তৈরি পোশাক, ৬ হাজার ৫৩৪ ঘনফুট কাঠ, ২ হাজার ৬১২ কেজি চা পাতা, ৪০ হাজার ৬৩৫ কেজি কয়লা, ২টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৬টি ট্রাক, ২টি কাভার্ড ভ্যান, ১টি বাস, ৪টি পিকআপ, ১টি প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস, ৩৩টি সিএনজি-ইজিবাইক এবং ৯৪টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে—৩টি পিস্তল, ১টি রাইফেল, ৫টি এসএমজি, ৪টি রিভলভার, ৯টি বিভিন্ন প্রকার গান, ১৯টি ম্যাগাজিন, ৪.০১০ কেজি গান পাউডার, ১৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড এবং এক হাজার ১১ রাউন্ড গুলি।
তাছাড়া জব্দ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে—৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৭ পিস ইয়াবা, ৫ কেজি ১০৩ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৪০ দশমিক ৭৫১ কেজি হেরোইন, ১৩ হাজার ৩৪৬ বোতল ফেনসিডিল, ১৭ হাজার ৩০১ বোতল বিদেশি মদ, ১ হাজার ৪০০ লিটার বাংলা মদ, ৮২ হাজার ৫২০ পিস মদ তৈরির ট্যাবলেট, ১ হাজার ৯৫২ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৮২০ কেজি গাঁজা, ৫৪ হাজার ৫৮০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৩ হাজার ১১৬ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৩ দশমিক ২০০ কেজি কোকেন, ৮৬৩ বোতল এমকেডিল-কফিডিল, ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৫ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ৪ হাজার ৬৯৭টি অ্যানেগ্রা-সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৫০০ গ্রাম এলএসডি, ৯৭ প্যাকেট কীটনাশক এবং ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫৯টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
একইসঙ্গে ফেব্রুয়ারি মাসে সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার, অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১২১ জন চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ১০ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৪৩৫ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করা হয়েছে।