Dhaka 3:11 pm, Saturday, 21 December 2024
বেকিং নিউজ :
Logo হোমনাকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ Logo Kometa Casino Live Casino 💰 Get 200% up to INR 10 000 INR 💰 180 Free Spins Logo কুমিল্লার দেবিদ্বার বিহার মন্ডল এলাকায় বিএনপি’র কর্মী সভা অনুষ্ঠিত Logo মোহনপুরে এবার দেড় লাখ টন আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা Logo চৌদ্দগ্রামে ডলবা গ্রাম কমিটি গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo বিচারবিভাগের রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুণঃপ্রবর্তনের সুযোগ এসেছে – কুমিল্লায় হাবিব উন নবী সোহেল Logo আবাসিক হোটেল থেকে ৫ তরুণ ও ৩ তরুণী গ্রেফতার  Logo কুমিল্লায় কাপড়ের ব‍্যাগে গাঁজা পাচারকালে আটক দুই নারী Logo ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৪ Logo মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৯ নং ওয়ার্ডে দিনব্যাপী ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

হারিয়ে যাচ্ছে বাউফলের ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্য

অপরিকল্পিত আবাসস্থল, আন্তরিকতা, প্রয়োজনীয় পরিচর্যা, রোপনের সঠিক তত্ত্বাবধানের অভাবে কালের বিবর্তনে ও আধুনিকতার ছোয়া পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্য সামগ্রী। অধিকাংশ কারুশিল্পীরা মৃত্যুবরণ করেছেন এবং তাদের উত্তরসূরীরা বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে যাচ্ছে যার ফলে এলাকা থেকে বাঁশ ও বেত নির্ভরশিল্প হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। একসময় গ্রামের হাট বাজারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের বাঁশের তৈরি শিল্প যেমন কুলা, ডালা, হাঝি বেতের জলডাঙ্গা, মাছ ধরার ফাঁদ, মাছ রাখার খাড়ই, ধান ও অনান্য ফসল সংরক্ষণের পাত্র সহ বিভিন্ন রকম কারুশিল্প।

এছাড়াও বাশেঁর খুঁটি, বেড়া ঘরের দরজা, জানালা ঘরের চালা ইত্যাদির উপকরণ তৈরি হত বাশঁ থেকে। গ্রামের খড়ের ঘরগুলো এক সময় বাশঁ দিয়েই নির্মান করা হত। বেত দিয়ে তৈরি হয় ঢালা, হাঝি এছাড়াাও ছোট ছেলে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে এগুলোতে বাঁশের তৈরি মতো এখন আর চোখে পড়ছে না উপজেলার কালাইয়া, বগা, বিলবিলাস,কালীশুরী, কাছিপাড়া, হাজিরহাট, চন্দ্রদ্বীপ, নওমালা এ সমস্ত বাজারগুলোতে এখন আর আগের মত বাশেঁর তৈরি সামগ্রী তেমন চোখে পড়ে না সরেজমিনে এমনটাই চিত্র ফুটে ওঠে । মৌসুম এলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নের অলিপুরা, পশ্চিম বিলবিলাসাসের কিছু কারিগর বাশেঁর তৈরি পন্যসামগ্রী তৈরি করেন। মৌসুম শেষ হলে অনেক পরিবারকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়।

সদর ইউনিয়নের বলরাম সিকদার জানান, ইরি ও আমনধান ওঠলে আমরা কিছু বাশঁ কিনি চড়া দামে পর অনেক কষ্ট করে কিছু ঢালা-হাঝি, চালন, কুলা, পালই, খাচাঁ বানাই গাড়ই ভাড়া ও খাজনা দেয়ার পর তেমন লাভ হয় না। পানের বরজে ও নির্মান শিল্পে বাশেঁর ব্যাপক ব্যবহার হওয়ার কারণে বাশেঁর দাম বেশী। আমরা সরকারিভাবে কোন সহায়তা পাইলে ভাল হইত।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

হোমনাকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

হারিয়ে যাচ্ছে বাউফলের ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্য

আপলোড সময় : 07:35:24 pm, Wednesday, 11 December 2024

অপরিকল্পিত আবাসস্থল, আন্তরিকতা, প্রয়োজনীয় পরিচর্যা, রোপনের সঠিক তত্ত্বাবধানের অভাবে কালের বিবর্তনে ও আধুনিকতার ছোয়া পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্য সামগ্রী। অধিকাংশ কারুশিল্পীরা মৃত্যুবরণ করেছেন এবং তাদের উত্তরসূরীরা বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে যাচ্ছে যার ফলে এলাকা থেকে বাঁশ ও বেত নির্ভরশিল্প হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। একসময় গ্রামের হাট বাজারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের বাঁশের তৈরি শিল্প যেমন কুলা, ডালা, হাঝি বেতের জলডাঙ্গা, মাছ ধরার ফাঁদ, মাছ রাখার খাড়ই, ধান ও অনান্য ফসল সংরক্ষণের পাত্র সহ বিভিন্ন রকম কারুশিল্প।

এছাড়াও বাশেঁর খুঁটি, বেড়া ঘরের দরজা, জানালা ঘরের চালা ইত্যাদির উপকরণ তৈরি হত বাশঁ থেকে। গ্রামের খড়ের ঘরগুলো এক সময় বাশঁ দিয়েই নির্মান করা হত। বেত দিয়ে তৈরি হয় ঢালা, হাঝি এছাড়াাও ছোট ছেলে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে এগুলোতে বাঁশের তৈরি মতো এখন আর চোখে পড়ছে না উপজেলার কালাইয়া, বগা, বিলবিলাস,কালীশুরী, কাছিপাড়া, হাজিরহাট, চন্দ্রদ্বীপ, নওমালা এ সমস্ত বাজারগুলোতে এখন আর আগের মত বাশেঁর তৈরি সামগ্রী তেমন চোখে পড়ে না সরেজমিনে এমনটাই চিত্র ফুটে ওঠে । মৌসুম এলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নের অলিপুরা, পশ্চিম বিলবিলাসাসের কিছু কারিগর বাশেঁর তৈরি পন্যসামগ্রী তৈরি করেন। মৌসুম শেষ হলে অনেক পরিবারকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়।

সদর ইউনিয়নের বলরাম সিকদার জানান, ইরি ও আমনধান ওঠলে আমরা কিছু বাশঁ কিনি চড়া দামে পর অনেক কষ্ট করে কিছু ঢালা-হাঝি, চালন, কুলা, পালই, খাচাঁ বানাই গাড়ই ভাড়া ও খাজনা দেয়ার পর তেমন লাভ হয় না। পানের বরজে ও নির্মান শিল্পে বাশেঁর ব্যাপক ব্যবহার হওয়ার কারণে বাশেঁর দাম বেশী। আমরা সরকারিভাবে কোন সহায়তা পাইলে ভাল হইত।