Dhaka 1:46 pm, Friday, 27 December 2024
বেকিং নিউজ :
Logo হত্যা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি তানভীর কারাগারে Logo সরকারি পরিত্যাক্ত বালু অবৈধভাবে বিক্রয় ও এলাকার রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo রামপাল ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে কৃষিবিদ শামীম Logo রাজশাহীতে লিগ্যাল এইড কমিটির সদস‍্যদের ওরিয়েন্টেশন Logo মোহনপুরে বিএনপি’র ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি নেতা রায়হানুল আলম রায়হান Logo বেনাপোলে জামায়াতে ইসলামী কর্মী সমাবেশ Logo লালমোহন ইসলামী মডেল মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল প্রকাশিত Logo ডাসের উদ্যোগে শিক্ষক সুপারভাইজারদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন Logo ভোলা জেলার সহকারি প্রধান শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা Logo চৌদ্দগ্রামে জামপুর বিএনপি’র গ্রাম কমিটি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সিলেটে গরমে বেড়েছে জ্বর,নিউমোনিয়া,ডারিয়া ও হিটস্ট্রোক রোগ

সিলেট হঠাৎ করে গরমে বেড়েছে নানা রোগবাই রোগ। প্রতিদিন সিলেটের আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে বাড়ছে গরম।

গত কয়েক দিন ধরে সিলেটে প্রচন্ড গরমে যেসব অসুস্থতা দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, ঠান্ডা, জ্বর-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, পানিশূন্যতা, হিটস্ট্রোক। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। তীব্র গরমের কারণে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকে অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা। এ সময়ে সিলেটের সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। হাসপাতালে আসা রোগীদের অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, ১ সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। একই সাথে বর্হিবিভাগে রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এর অধিকাংশই ডায়রিয়া, জ¦র-সর্দি-কাশিসহ গরম জনিত রোগের বলে জানা গেছে। ঈদের আগের দিন হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগী ছিলেন ১৩০০ জন। শনিবার থেকে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২২০০ ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এত বেশী সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে শুধু ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫০ জন। গত ৭ দিনে সিলেটে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৭২ জন। চলতি এপ্রিল মাসের ২০ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩১০ জন। গড়ে দৈনিক ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ১১৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়ায় ১৫০ জন আক্রান্ত ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের রোগে ৫০ এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৯৮ জন।

এদিকে গত ৭ দিনে ১৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত শুধু শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৪ জন এবং এই সময়ে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪৪ জন। চলতি এপ্রিল মাসে (২০ এপ্রিল পর্যন্ত) শ^াসতন্ত্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯৯ জন ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৫৭ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে ১৫০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলারও ৬৬, সুনামগঞ্জে ৭, হবিগঞ্জে ৪২ ও মৌলভীবাজারের ৩৫জন রয়েছেন। এর আগে শুক্রবার বিভাগে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৪৭ জন, বৃহস্পতিবার ১৫০, বুধবার ১৪৬, মঙ্গলবার ১২৪, সোমবার ১৩৫, রোববার ১২৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত। গত সপ্তাহে শনিবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ১০৩ জন। ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, ঈদের পর থেকে হাসপাতালে রোগীর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। যেখানে সাধারণত ১৩০০-১৫০০ রোগী ভর্তি থাকেন সেই জায়গায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২২০০ ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যাটা বাড়ছে। ভর্তির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আউটডোরের রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বর্হিবিভাগে যেখানে দৈনিক ৩০০০ থেকে ৩৫০০ রোগী দেখা হতো সেখানে এই সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

Write Your Comment

About Author Information

জনপ্রিয়

হত্যা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি তানভীর কারাগারে

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

সিলেটে গরমে বেড়েছে জ্বর,নিউমোনিয়া,ডারিয়া ও হিটস্ট্রোক রোগ

আপলোড সময় : 10:20:14 pm, Monday, 22 April 2024

সিলেট হঠাৎ করে গরমে বেড়েছে নানা রোগবাই রোগ। প্রতিদিন সিলেটের আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে বাড়ছে গরম।

গত কয়েক দিন ধরে সিলেটে প্রচন্ড গরমে যেসব অসুস্থতা দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, ঠান্ডা, জ্বর-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, পানিশূন্যতা, হিটস্ট্রোক। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। তীব্র গরমের কারণে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকে অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা। এ সময়ে সিলেটের সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। হাসপাতালে আসা রোগীদের অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, ১ সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। একই সাথে বর্হিবিভাগে রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এর অধিকাংশই ডায়রিয়া, জ¦র-সর্দি-কাশিসহ গরম জনিত রোগের বলে জানা গেছে। ঈদের আগের দিন হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগী ছিলেন ১৩০০ জন। শনিবার থেকে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২২০০ ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এত বেশী সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে শুধু ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫০ জন। গত ৭ দিনে সিলেটে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৭২ জন। চলতি এপ্রিল মাসের ২০ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩১০ জন। গড়ে দৈনিক ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ১১৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়ায় ১৫০ জন আক্রান্ত ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের রোগে ৫০ এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৯৮ জন।

এদিকে গত ৭ দিনে ১৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত শুধু শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৪ জন এবং এই সময়ে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪৪ জন। চলতি এপ্রিল মাসে (২০ এপ্রিল পর্যন্ত) শ^াসতন্ত্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯৯ জন ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৫৭ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে ১৫০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলারও ৬৬, সুনামগঞ্জে ৭, হবিগঞ্জে ৪২ ও মৌলভীবাজারের ৩৫জন রয়েছেন। এর আগে শুক্রবার বিভাগে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৪৭ জন, বৃহস্পতিবার ১৫০, বুধবার ১৪৬, মঙ্গলবার ১২৪, সোমবার ১৩৫, রোববার ১২৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত। গত সপ্তাহে শনিবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ১০৩ জন। ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানান, ঈদের পর থেকে হাসপাতালে রোগীর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। যেখানে সাধারণত ১৩০০-১৫০০ রোগী ভর্তি থাকেন সেই জায়গায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২২০০ ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যাটা বাড়ছে। ভর্তির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আউটডোরের রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বর্হিবিভাগে যেখানে দৈনিক ৩০০০ থেকে ৩৫০০ রোগী দেখা হতো সেখানে এই সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে।