নাটোরের সিংড়ায় দোকানের চুরি যাওয়া টাকা আদায়ের জন্য কর্মচারীকে চাঁপ দেয়ায় বাসার মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় দোকান মালিক দুইজনকে ধারালো হাসুয়া দ্বারা কুপিয়েছে কর্মচারী
শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাত্রিতে আনুমানিক ০১:০০ ঘটিকার সময় উপজেলার পৌর শহরের মুশারী পট্টি এলাকায় চলনবিল প্রিমিয়াম সুইটস্ মিষ্ঠান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী তপন কুমার হালদার(৩২) পিতা মৃত- জিতেন হালদার ও হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্ঠান এক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিন কুন্ডু (৩৩) পিতা মৃত-শ্যামপদ কুন্ডুর সাথে এঘটনা ঘটে। তাদের উভয়ের বাসা হাট সিংড়া।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, আহত তপন হালদারে দোকানের কর্মচারী হিসেবে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার দশগ্রাম গ্রামের সুনীল কুমার পালের ছেলে সুপ্ত কুমার পাল ওরফে সুদেব (২৬),
পিতা কর্মচারী হিসাবে কাজ করতো, সে চলনবিল প্রিমিয়াম সুইটস্ মিষ্টির দোকানে কাজ করার সময় সুপ্ত কুমার পাল দোকান থেকে দুই লক্ষ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় পালিয়ে যায়। রবে কশলে তাদের শুক্রবার সুপ্ত কুমার পাল ও তার পিতা সুদেব পালকে সিংড়ায় ডেকে এনে উঠোন বৈঠকে কথাবার্তা চলাকালীন সময়ে প্রথমে টাকা চুরির কথা অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে স্বীকারোক্তি দিয়ে আগামী রবিবার টাকা ফেরত দেওয়ার রাজি হয়। তাদের আলোচনা শেষ হতে রাত্রী হয়ে যাওয়াতে কর্মচারী সুপ্ত ও তার বাবা সুদেবকে তপনের ভাড়াটে বাসার ২য় তলায় একটি কক্ষে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়ে ওই কক্ষের মধ্যে, রবিন কুন্ডু,তপন হাওলাদার কর্মচারী সঞ্জয় এবং সুপ্ত ওরফে সুদেব এবং সুপ্ত এর বাবা সুনীল ছিল রবিন ও তপন মোবাইল দেখতে দেখতে এক সময় ঘুমিয়ে গেলে তখন সুপ্ত রুমে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে তপনকে উদ্দেশ্য করে কোপ দিলে প্রায় ১৪সে.মি. পেট কেটে ভুরি বের হয়ে যায় এবং ডান হাতে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। পাশে শুয়ে থাকা রবিন কুন্ডু তপনকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে মাথার ডান পাশে প্রায় ১০সে.মি এবং ডান হাতে ৬সে.মি. ধারালো হাসুয়ার কোপ লেগে সেও গুরুতর আহত হয়। সংবাদ পেয়ে সিংড়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদেরকে দ্রুত তপনের বাসা হইতে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। এবং তপন হাওলাদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানান।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম বলেন, তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের কে ওই বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে তবে কোন আসামীকে আটক করা যায়নি।