যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদারে দেশটির লেবার সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়ে গতকাল শুক্রবার লেখা এক চিঠিতে শেখ হাসিনা লেবার সরকারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন গতকাল জানিয়েছে, তারা ওই চিঠি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘যুক্তরাজ্যে গত ৪ জুলাইয়ের নির্বাচনে আপনার দলের ঐতিহাসিক বিজয় এবং ইউনাইটেড কিংডম অব গ্রেট ব্রিটেন ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আমি আমার এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে লিখছি।
এই দ্ব্যর্থহীন বিজয় আপনার দেশকে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার এবং বিশ্বব্যাপী শান্তিকে উৎসাহিত করার জন্য আপনার নেতৃত্বর প্রতি ব্রিটিশ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের স্পষ্ট সাক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘আমি এই সুযোগে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে লেবার পার্টির চিরস্থায়ী বন্ধুত্ব এবং ১৯৭১ সালে আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের সময় স্যার হ্যারল্ড উইলসন, থমাস উইলিয়ামস কেসি এবং লর্ড পিটার শোরের মতো আইকনিক নেতা এবং প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল আকাঙ্ক্ষার ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক গঠিত হওয়ার কথা স্মরণ করছি।’
শেখ হাসিনা নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘আমার সরকার আমাদের দুটি কমনওয়েলথ দেশের পারস্পরিক স্বার্থে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, জলবায়ু এবং কৌশলগত অংশীদারিকে আরো শক্তিশালী করার জন্য আপনার যোগ্য নেতৃত্বাধীন লেবার সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।’
শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমরা এক সঙ্গে আমাদের দুই দেশের অভিন্ন মঙ্গলের জন্য সাত লাখেরও বেশি সক্রিয় এবং উদ্যোগী বাংলাদেশি-ব্রিটিশ প্রবাসীর অমূল্য অবদানকে কাজে লাগাতে থাকব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, সুখ ও বিশাল দায়িত্বে সাফল্য এবং বন্ধুপ্রতিম যুক্তরাজ্যের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।