বাংলাদেশের সব অফিস আদালতে ই-সিগনেচার বা ইলেক্ট্রনিক-সাক্ষর বিধান নিশ্চিত করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং সার্টিফিকেট প্রদানকারী নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। লয়েল লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট একটি মানবাধিকার সংগঠন এই রিটটি দায়ের করেন। অনলাইন ট্রাঞ্জেকশন ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ রিটটি দায়ের করেন তারা।
প্রসঙ্গত, ডিজিাটল সেবার জায়গাগুলোতে যেমন উন্নয়ন ঘটেছে, সাথে সাথে অপরাধ বিশেষ করে, সাইবার অপরাধও কিন্তু বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে কোর্ট-ব্যাংকিং খাত থেকে শুরু করে অফিস কার্যক্রমে অনেক ক্ষেত্রে স্বাক্ষর করতে হয়। কিন্তু সেগুলোর অথেন্টিকেশন অনেক সময় হারিয়ে যায়; অনেকে স্বাক্ষর করলেও পরে অস্বীকার করেন এবং তিনি প্রকৃতপক্ষে স্বাক্ষর করেছিলেন কিনা তা কোর্টে প্রমাণ করাও কষ্টকর হয়। ই-স্বাক্ষর চালু হলে স্বাক্ষর অস্বীকার করার সুযোগ থাকবে না; কারণ যিনি স্বাক্ষর করবেন তিনি তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে তার স্বাক্ষরটি প্রদান করবেন।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব) বলেন, অফিস-আদালেতর অনলাইন কার্যক্রমে ই-সিগনেচার প্রদানের বিষয়ে বিধান থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ই-সিগনেচার বাস্তবায়ন হলে অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।