Dhaka 8:54 pm, Monday, 23 December 2024

সদরঘাট পর্যন্ত মেট্রোরেল নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার

পুরান ঢাকার সদরঘাট পর্যন্ত মেট্রোরেলের সংযোগ নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকালে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সদরঘাটের সঙ্গে মেট্রোরেলের কানেকশন যেন হয় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। ঢাকা শহরে বসবাসকারী দক্ষিণাঞ্চলবাসীও মেট্রোরেলে সদরঘাটে আসতে পারবেন। এটা অল্প কিছু দিনের মধ্যেই হতে পারে। সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। সদরঘাটও এই সুবিধা পাবে।

 

নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সদরঘাটের চিরায়ত চিত্র বদলে গেছে। এখানেও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে এটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। আগে স্পিডবোটে শ্যামপুর থেকে সদরঘাটে আসতে হয়েছে। আমি সরাসরি রাস্তা দিয়ে এখানে আসতে পারিনি। কারণ গোলাপ শাহ মাজার থেকে এ পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যেতো। এখন পদ্মা সেতুর কারণে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। মানুষের মধ্যে আনন্দ দেখতে পাচ্ছি। স্বাভাবিকভাবে লঞ্চে চলাচল করতে পারছে। কোনও ধাক্কাধাক্কি নেই।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (ছবি: ফোকাস বাংলা)

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে দেখতাম লঞ্চ রাত ৮টায় ছেড়ে যাবে, কিন্তু যাত্রীরা সকালবেলা এসে লঞ্চে বসে থাকতো দুপুরের খাবার নিয়ে। বর্তমানে সে অবস্থাটা নেই। আস্তে আস্তে এই পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সাংবাদিকদের কাছে একটা লোভনীয় ছবি ছিল পুরো লঞ্চ থেকে ছাদ পর্যন্ত শুধু মানুষ আর মানুষ। এই ছবি কিন্তু এখন আর পাওয়া যাবে না। গতকাল আমি ফেসবুকে একটা ছবি দেখছিলাম। বললাম, এটা এখন একটা ইতিহাস, এটা আর ফিরে আসবে না।

 

সদরঘাটের কর্মীরা এখন একটু স্বস্তিতে আছেন মন্তব্য করে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন পন্টুন ও গ্যাংওয়ে দেওয়া হয়েছে, পরিবেশ ধরে রাখার জন্য অনেক লঞ্চ মালিক ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করেছেন। কারণ এই জায়গায় ভালো সার্ভিস দিতে না পারলে মানুষ বিমুখ হয়ে যাবে। পরিবেশ ভালো আছে, আমাদের লোকজন যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। যাত্রীসাধারণকে সেবা দেওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

সদরঘাট পর্যন্ত মেট্রোরেল নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার

আপলোড সময় : 08:22:05 pm, Sunday, 7 April 2024

পুরান ঢাকার সদরঘাট পর্যন্ত মেট্রোরেলের সংযোগ নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকালে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সদরঘাটের সঙ্গে মেট্রোরেলের কানেকশন যেন হয় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। ঢাকা শহরে বসবাসকারী দক্ষিণাঞ্চলবাসীও মেট্রোরেলে সদরঘাটে আসতে পারবেন। এটা অল্প কিছু দিনের মধ্যেই হতে পারে। সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। সদরঘাটও এই সুবিধা পাবে।

 

নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সদরঘাটের চিরায়ত চিত্র বদলে গেছে। এখানেও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে এটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। আগে স্পিডবোটে শ্যামপুর থেকে সদরঘাটে আসতে হয়েছে। আমি সরাসরি রাস্তা দিয়ে এখানে আসতে পারিনি। কারণ গোলাপ শাহ মাজার থেকে এ পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যেতো। এখন পদ্মা সেতুর কারণে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। মানুষের মধ্যে আনন্দ দেখতে পাচ্ছি। স্বাভাবিকভাবে লঞ্চে চলাচল করতে পারছে। কোনও ধাক্কাধাক্কি নেই।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (ছবি: ফোকাস বাংলা)

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে দেখতাম লঞ্চ রাত ৮টায় ছেড়ে যাবে, কিন্তু যাত্রীরা সকালবেলা এসে লঞ্চে বসে থাকতো দুপুরের খাবার নিয়ে। বর্তমানে সে অবস্থাটা নেই। আস্তে আস্তে এই পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সাংবাদিকদের কাছে একটা লোভনীয় ছবি ছিল পুরো লঞ্চ থেকে ছাদ পর্যন্ত শুধু মানুষ আর মানুষ। এই ছবি কিন্তু এখন আর পাওয়া যাবে না। গতকাল আমি ফেসবুকে একটা ছবি দেখছিলাম। বললাম, এটা এখন একটা ইতিহাস, এটা আর ফিরে আসবে না।

 

সদরঘাটের কর্মীরা এখন একটু স্বস্তিতে আছেন মন্তব্য করে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন পন্টুন ও গ্যাংওয়ে দেওয়া হয়েছে, পরিবেশ ধরে রাখার জন্য অনেক লঞ্চ মালিক ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করেছেন। কারণ এই জায়গায় ভালো সার্ভিস দিতে না পারলে মানুষ বিমুখ হয়ে যাবে। পরিবেশ ভালো আছে, আমাদের লোকজন যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। যাত্রীসাধারণকে সেবা দেওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।